ভয়ংকরভাবে বেড়েছে অনলাইন ক্রাইম
এআই কম্পোজিশন ভিডিও ক্যাপচার ও সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাক করে নুড বানিয়ে নীচের নম্বর থেকে ব্লাকমেল করার চেষ্টা করছে কিছু ইন্ডিয়ান। সাথে কিছু বাংলাদেশি বিকাশ নম্বর ব্যবহার করে লাখ টাকা হাতানোর চেষ্টায় মগ্ন।
সাবধান, সাইবার সচেতনতায় সাপোর্ট প্রয়োজন বাংলাদেশে। ইদানীং app ব্যবহার করে মানুষের মগজ হ্যাক করার চেষ্টার পরিমাণটা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে লক্ষ্য করা যায়। যেখানে ভুক্তভোগী ছেলেমেয়েরা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের কোনো রাস্তা খোলা থাকে না, কারণ সব ধাপেই এক্সেস পারমিশন ভুক্তভোগী নিজেই দিয়ে থাকেন।
মানুষের লোভ লালসার পথ ধরেই বয়ে আসে পাপ। আর পাপ মানেই পাপের ফলাফল ভোগের বাস্তবতা। অনলাইনের কিছু দলবদ্ধ চক্র মানুষের লোভটাকে খুব ভালোভাবে বুঝে নেয় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে। এরপর শুরু হয় টোপ৷ টাকা-পয়সা, প্রেম-ভালোবাসা, ইত্যাদি ভিন্ন-ভিন্ন টোপের ব্যবস্থার যোগাড় রয়েছে অপরাধী চক্রের ঝুলিতে। যে যেটা উপভোগ করতে চায় তাকে সেই টোপ দেওয়া হয়। টোপ গিলে ফেললেই শুরু হয় ব্লাকমেল, দাবি করা হয় বড় অংকের অর্থ বা অসম্ভব সব সুবিধা। এই জ্বালা সহ্য করার ক্ষমতা ভুক্তভোগীদের খুব কম থাকে, কারণ এখানে শেষ বলে কিছু নেই। জ্বালা সইতে না পেরে আত্মহননের পথও বেছে নেন অনেকেই।
তবে নিজেকে একটু সামলে নিয়ে লোভ লালসার একটা পর্যায়ে নিজেকে বন্দী রেখে অনলাইন ডিভাইস ব্যবহার করলে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। যেমন, যে কোনো মূল্যে নিজেকে বাধ্য করতে হবে- এরচেয়ে বেশি আমি যাব না, এর চেয়ে বেশি আমি খাব না, এর চেয়ে বেশি আমি নামবো না, এর চেয়ে বেশি আমি উঠবো না, এর চেয়ে বেশি আমার দরকার নাই, এমনকি এর চেয়ে বেশি আমি উপকারও করবো না।
উল্লেখ্য, দেশে সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের ৫০ দশমিক ২৭ শতাংশই নানাভাবে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ছবি বিকৃত করে অপপ্রচার, পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট, সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার এবং অনলাইনে-ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দিয়ে মানসিক হয়রানি। ক্রমেই এই ধরনের অপরাধ বাড়ছে।