ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে পালাতে চাওয়া ১১ জনকে সুন্দরবনে রেখে পালিয়েছে দালাল

মামুনুর রশীদ রাজু, ব্যুরো চিফ

বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ১১ বাংলাদেশির শেষমেষ আটকা পড়েন সুন্দরবনের জঙ্গলে। পরে ভারতীয় বন দপ্তরের টহলরত কর্মীদের হাতে উদ্ধার হয়েছেন পাঁচ শিশু ও পাঁচ নারীসহ ওই ১১ জন। বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, আটক হওয়া সকলের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনায়। শেখ হাসিনার পতন ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তারা খুলনাকে অনিরাপদ মনে করেন।

 

তারা জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তারা’। এক পর্যায়ে ভারতে পালিয়ে যেতে এক দালালের শরণাপন্ন হয়ে খুলনা ছাড়েন তারা।

 

গ্রেপ্তার হওয়া এক নারীর অভিযোগ, দালালের সঙ্গে ৪৫ হাজার টাকার চুক্তি হয়েছিল নিরাপদে ভারতে পৌঁছে দেওয়ার। কিন্তু সীমান্ত পার করেই দালালরা তাদেরকে জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যায়।

 

শেষপর্যন্ত টহলদারির সময় ভারতের বন দপ্তরের কর্মীদের নজরে পড়েন তারা। পরে তাদের সকলকেই সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

 

ভুক্তভোগী ওই ১১ জনের মধ্যে কেবল একজন পুরুষ এবং তাকেই এখন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৬৯ বার পড়া হয়েছে

ভারতে পালাতে চাওয়া ১১ জনকে সুন্দরবনে রেখে পালিয়েছে দালাল

আপডেট সময় ০২:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ১১ বাংলাদেশির শেষমেষ আটকা পড়েন সুন্দরবনের জঙ্গলে। পরে ভারতীয় বন দপ্তরের টহলরত কর্মীদের হাতে উদ্ধার হয়েছেন পাঁচ শিশু ও পাঁচ নারীসহ ওই ১১ জন। বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, আটক হওয়া সকলের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনায়। শেখ হাসিনার পতন ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তারা খুলনাকে অনিরাপদ মনে করেন।

 

তারা জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তারা’। এক পর্যায়ে ভারতে পালিয়ে যেতে এক দালালের শরণাপন্ন হয়ে খুলনা ছাড়েন তারা।

 

গ্রেপ্তার হওয়া এক নারীর অভিযোগ, দালালের সঙ্গে ৪৫ হাজার টাকার চুক্তি হয়েছিল নিরাপদে ভারতে পৌঁছে দেওয়ার। কিন্তু সীমান্ত পার করেই দালালরা তাদেরকে জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যায়।

 

শেষপর্যন্ত টহলদারির সময় ভারতের বন দপ্তরের কর্মীদের নজরে পড়েন তারা। পরে তাদের সকলকেই সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

 

ভুক্তভোগী ওই ১১ জনের মধ্যে কেবল একজন পুরুষ এবং তাকেই এখন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ।