মহা তাৎপর্যপূর্ণ রজনী শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়
আরবি শাবান মাসের ১৫ তারিখে (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) পালন করা হয় পবিত্র শবে বরাত। ‘শব’ অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ অর্থ মুক্তি। তাই শাব্দিক অর্থে শবে বরাত অর্থ হল মুক্তির রাত। এটির আরবি সংস্করণ হল, লাইলাতুল বারকাত। মুসলিম উম্মাহর কাছে এ রাত লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত নামে পরিচিত। মহা তাৎপর্যপূর্ণ রজনী এটি।
মুসলিমদের ইবাদতের জন্য যেসব দিবস ও রজনী বিখ্যাত, তারমধ্যে বিশেষভাবে বলা হয়েছে পাঁচটি রাতের কথা। এই বিশেষ পাঁচটি রাত হলো: দুই ঈদের রাত, শবে মেরাজ, শবে বরাত ও শবে কদর।
শবে বরাতের রাতে যা যা করা উচিত:
নফল নামাজ পড়া ও কুরআন তিলাওয়াত করা, তাসবিহ পাঠ করা, তওবা-ইস্তেগফার, দোয়া-দরুদ পাঠ করা। শবে বরাতের দিনের সাথে তার আগের ও পরেন দিন রোজা রাখার চেষ্টা করা উচিত। নবী কারিম (সা:) পুরো শাবান মাস রোজা রাখতেন।
শবে বরাতে নামাজের নিয়ম:
শবে বরাতে রাত জেগে নফল নামাজ পড়তে বলেছেন নবীজি। এ রাতের আলাদা কোনো নামাজ নেই বা রাকাআত উল্লেখ নেই। নফল নামাজই যত পড়তে পারবে ততই নেকি অর্জন করতে থাকবে বান্দা। অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, এ রাতে সেভাবেই নফল নামাজ পড়তে হবে। আলাদা করে কোনো নিয়তও করতে হবে না।
তবে এমনটি যেন না হয় যে অনেক রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি, তাসবিহ-তাহলিল করার ফলে, ফজরের ফরজ নামাজ জামাতের সাথে না পড়ে কেউ ঘুমিয়ে পড়ে।
যাদের গুনাহ ক্ষমা হবে না:
হাদিস শরিফে উল্লেখ আছে, শবে বরাতে আল্লাহ তাআলা সবাইকে মাফ করবেন। কিন্তু শিরককারী (যারা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক বা অংশীদার করে) ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে, তাদের ক্ষমা করবেন না। তাই আমরা হিংসা ও অহংকার পরিত্যাগ করি। কেননা অহংকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না ।
শবে বরাতের রাতে যা যা করা উচিত নয়:
শবে বরাতের রাতে বিভিন্ন আতশবাজি কিংবা পটকা ফাটানো উচিত নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত আনন্দ-উল্লাস বা হৈচৈ করাও সমিচীন নয়। ইবাদত বন্দেগি বাদ দিয়ে ঘোরাফেরা করা, অন্য কারও ইবাদতের বা ঘুমের বিঘ্ন ঘটানো, খাওয়া দাওয়ার পেছনে বেশি সময় নষ্ট করে ইবাদত থেকে দূরে থাকাও ঠিক নয়। এই দিনটিতে অনেকে বিশেষ খাবার-দাবারের আয়োজন করে থাকেন। তবে, শবে বরাতের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন আলেমরা।