ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ

তিনি বলেন, ‘বিএনপি যে এই জ্বালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তারা অবরোধ আর হরতাল ডেকে যাচ্ছে। হরতাল-অবরোধ মানে কি কয়েকখান বাস পোড়ানো, গাড়ি পোড়ানো, যাত্রীসহ বাস পোড়ানো? ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘চাল যাচ্ছে, চালের গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে, ধান যাচ্ছে ধানের গাড়ি পোড়াচ্ছে। মানে মানুষকে ক্ষুধার্ত মারা। এই ঘটনা এর আগেও তারা করেছে ২০১৩ সালে। আমি জানি না তাদের কোনোমতে কেউ থামাতে পারবে কি না। এই মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত তো করতে পারবে না। ’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না, মানুষকে পুড়িয়ে মারার মধ্য দিয়ে কী আন্দোলন হয় সেটা আমার জানা নেই। আমরাও আন্দোলন করেছি জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, আর মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি যেন হয়, সেটা চিন্তা করে। কিন্তু আমি এ রকম আন্দোলন দেখিনি। ’

তিনি বলেন, ‘এটা দেখেছি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে, তারা আমাদের এভাবে সব জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। আর এখন দেখি ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলা, হাসপাতাল রেহাই পায় না। হাসপাতালের ওপর পর্যন্ত তারা বোমা হামলা করে। ঠিক আমাদের দেশে যেন সেই চিত্রটাই দেখতে পাই। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন আন্দোলনের নামে অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করা, পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে সেখানে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেওয়া; পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা; এ রকম বীভৎস ঘটনা বাংলাদেশে ঘটানো হচ্ছে। এটা নাকি আন্দোলন। তাহলে কার স্বার্থে আন্দোলন?’

গাজীপুরে রেললাইন কাটা এবং ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটু চিন্তা করে দেখুন, কী রকম ধ্বংসাত্মক কাজ, এরা আন্দোলন না, রেললাইন ফেলে দিয়ে, প্রায় আটটা বগি পড়ে যায়, একজন মানুষ মারা যায়, কয়েকজন আহত। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তার মানে হচ্ছে রেলের বগি ফেলে দিয়ে মানুষকে হত্যা করা। ’

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
১৫৩ বার পড়া হয়েছে

মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ১২:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

তিনি বলেন, ‘বিএনপি যে এই জ্বালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তারা অবরোধ আর হরতাল ডেকে যাচ্ছে। হরতাল-অবরোধ মানে কি কয়েকখান বাস পোড়ানো, গাড়ি পোড়ানো, যাত্রীসহ বাস পোড়ানো? ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘চাল যাচ্ছে, চালের গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে, ধান যাচ্ছে ধানের গাড়ি পোড়াচ্ছে। মানে মানুষকে ক্ষুধার্ত মারা। এই ঘটনা এর আগেও তারা করেছে ২০১৩ সালে। আমি জানি না তাদের কোনোমতে কেউ থামাতে পারবে কি না। এই মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত তো করতে পারবে না। ’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না, মানুষকে পুড়িয়ে মারার মধ্য দিয়ে কী আন্দোলন হয় সেটা আমার জানা নেই। আমরাও আন্দোলন করেছি জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, আর মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি যেন হয়, সেটা চিন্তা করে। কিন্তু আমি এ রকম আন্দোলন দেখিনি। ’

তিনি বলেন, ‘এটা দেখেছি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে, তারা আমাদের এভাবে সব জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। আর এখন দেখি ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলা, হাসপাতাল রেহাই পায় না। হাসপাতালের ওপর পর্যন্ত তারা বোমা হামলা করে। ঠিক আমাদের দেশে যেন সেই চিত্রটাই দেখতে পাই। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন আন্দোলনের নামে অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করা, পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে সেখানে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেওয়া; পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা; এ রকম বীভৎস ঘটনা বাংলাদেশে ঘটানো হচ্ছে। এটা নাকি আন্দোলন। তাহলে কার স্বার্থে আন্দোলন?’

গাজীপুরে রেললাইন কাটা এবং ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটু চিন্তা করে দেখুন, কী রকম ধ্বংসাত্মক কাজ, এরা আন্দোলন না, রেললাইন ফেলে দিয়ে, প্রায় আটটা বগি পড়ে যায়, একজন মানুষ মারা যায়, কয়েকজন আহত। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তার মানে হচ্ছে রেলের বগি ফেলে দিয়ে মানুষকে হত্যা করা। ’