ঢাকা ১২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যারা সিন্ডিকেট করে তাদের গণধোলাই দেওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যারা অবৈধ সিন্ডিকেট করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে সেই সব মসিন্ডিকেট সদস্যদের গণধোলাই দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি)  মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে তার এ মন্তব্য আসে।

মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ তৈরির একটা চক্রান্ত চলছে বলে আপনি নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক মহলও জড়িত আছে দেশের তো জড়িত আছেই এই আশঙ্কা থেকে আমরা দুরে আছি কি না, এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, যারাই এই নির্বাচন বানচালের পথে তারা যখন দেখলো নির্বাচন কিছুতেই আটকাতে পারবে না, কারণ মানুষের স্বতঃস্ফুর্ততা আছে, তখন চক্রান্ত হলো, যে জিনিসের দাম বাড়ালে সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তখন তারা আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করবে। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ, এই চক্রান্তটা আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা সব সময়, যখন করোনাভাইরাসের মহামারি দেখা দিলো, সারা বিশ্বব্যাপি স্যাংশন এলো, পণ্য পরিবহনে যখন বাধাগ্রস্ত হলো তখন থেকেই আমি বলে আসছি- আমাদের নিজেদের খাদ্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। এক ইঞ্চি জায়গা যেনো ফাঁকা না থাকে, অনাবাদী না থাকে।এভাবে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।

মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশে অভাব হলে শোনা যেতো পেটে ভাত নেই। আর এখন কি বলে, তেলের দাম পেঁয়াজের দাম, গরুর মাংসের দাম, এটা কি একটা পরিবর্তন না? পনের বছরের এই পরিবর্তনটা আসছে, সেটা তো স্বীকার করবেন। পনের বছর আগে কি ছিলো, ভাতের জন্য হাহাকার ছিলো, নুন ভাত, ভাতের ফেন ভিক্ষা চাইতো। এখন তো এগুলো নাই।

তিনি আরও বলেন, আপনি নিজেই তো বলেছেন ডিম লুকিয়ে রেখেছে। আপনার কি মনে হয় না যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করে তাদের এখানে কারসাজি আছে?  এর আগেও এ রকম পেঁয়াজের খুব অভাব, বস্তাকে বস্তা পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এই লোকগুলোকে কি করা উচিত? সেটা আপনারাই বলেন। এদের গণধোলাই দেওয়া উচিৎ। কারণ আমরা সরকার কিছু করতে গেলে বলে সরকার করছে, তার থেকে পাবলিক যদি এটার প্রতিকার করে তাহলে আর কেউ কিছু বলতে পারবে না।

ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষযটি গুরুত্ব দিয়েছিলেন, চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন অভ্যন্তরীণ বাজারে ডিমের সংকট বাজার ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায়ীদের কারসাজি কিভাবে মোকাবেলা করবেন, এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্র ছিলো, ষড়যন্ত্র আছে। আপনারা জানেন আমি আসার পর থেকে বারবার আমাকে বাধা দেওয়া, ক্ষমতায় যেনো না যেতে পারি। পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার ঘটনাই ধরেন না কেনো।

রাসেলকে ছাড়েনি, কারণ যেন ঐ রক্তের কেউ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে। আমি এবং আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম বেঁচে গেছি। তার পরে আমি ফিরে এসে দায়িত্ব নিয়েছি, আমার চেষ্টাই হচ্ছে- যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা দেশকে স্বাধীন করেছেন সেটাই পূরণ করা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৩১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
৬৬ বার পড়া হয়েছে

যারা সিন্ডিকেট করে তাদের গণধোলাই দেওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:৩১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যারা অবৈধ সিন্ডিকেট করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে সেই সব মসিন্ডিকেট সদস্যদের গণধোলাই দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি)  মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে তার এ মন্তব্য আসে।

মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ তৈরির একটা চক্রান্ত চলছে বলে আপনি নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক মহলও জড়িত আছে দেশের তো জড়িত আছেই এই আশঙ্কা থেকে আমরা দুরে আছি কি না, এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, যারাই এই নির্বাচন বানচালের পথে তারা যখন দেখলো নির্বাচন কিছুতেই আটকাতে পারবে না, কারণ মানুষের স্বতঃস্ফুর্ততা আছে, তখন চক্রান্ত হলো, যে জিনিসের দাম বাড়ালে সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তখন তারা আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করবে। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ, এই চক্রান্তটা আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা সব সময়, যখন করোনাভাইরাসের মহামারি দেখা দিলো, সারা বিশ্বব্যাপি স্যাংশন এলো, পণ্য পরিবহনে যখন বাধাগ্রস্ত হলো তখন থেকেই আমি বলে আসছি- আমাদের নিজেদের খাদ্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। এক ইঞ্চি জায়গা যেনো ফাঁকা না থাকে, অনাবাদী না থাকে।এভাবে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।

মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশে অভাব হলে শোনা যেতো পেটে ভাত নেই। আর এখন কি বলে, তেলের দাম পেঁয়াজের দাম, গরুর মাংসের দাম, এটা কি একটা পরিবর্তন না? পনের বছরের এই পরিবর্তনটা আসছে, সেটা তো স্বীকার করবেন। পনের বছর আগে কি ছিলো, ভাতের জন্য হাহাকার ছিলো, নুন ভাত, ভাতের ফেন ভিক্ষা চাইতো। এখন তো এগুলো নাই।

তিনি আরও বলেন, আপনি নিজেই তো বলেছেন ডিম লুকিয়ে রেখেছে। আপনার কি মনে হয় না যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করে তাদের এখানে কারসাজি আছে?  এর আগেও এ রকম পেঁয়াজের খুব অভাব, বস্তাকে বস্তা পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এই লোকগুলোকে কি করা উচিত? সেটা আপনারাই বলেন। এদের গণধোলাই দেওয়া উচিৎ। কারণ আমরা সরকার কিছু করতে গেলে বলে সরকার করছে, তার থেকে পাবলিক যদি এটার প্রতিকার করে তাহলে আর কেউ কিছু বলতে পারবে না।

ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষযটি গুরুত্ব দিয়েছিলেন, চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন অভ্যন্তরীণ বাজারে ডিমের সংকট বাজার ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায়ীদের কারসাজি কিভাবে মোকাবেলা করবেন, এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্র ছিলো, ষড়যন্ত্র আছে। আপনারা জানেন আমি আসার পর থেকে বারবার আমাকে বাধা দেওয়া, ক্ষমতায় যেনো না যেতে পারি। পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার ঘটনাই ধরেন না কেনো।

রাসেলকে ছাড়েনি, কারণ যেন ঐ রক্তের কেউ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে। আমি এবং আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম বেঁচে গেছি। তার পরে আমি ফিরে এসে দায়িত্ব নিয়েছি, আমার চেষ্টাই হচ্ছে- যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা দেশকে স্বাধীন করেছেন সেটাই পূরণ করা।