ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে সব পণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ

পবিত্র রমজান মাস কে সামনে রেখে চার নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব পণ্য হলো- চাল, ভোজ্য তেল, চিনি ও খেজুর। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠক কালে প্রধানমন্ত্রী শুল্ক কমানোর এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশসহ মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি জানান, পবিত্র রমজান মাস কে  সামনে রেখেই এই চার পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)কে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এসব পণ্যে শুল্ক কী পরিমাণ কমানো হবে, তা এনবিআর এখন ঠিক করবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের পর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সমন্বয়ের ভিত্তিতে এটির উপর কাজ করতে বলেছেন। মন্ত্রীদের কাছ থেকে এটির সর্বশেষ অবস্থা জেনেছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রীরা কী কী কাজ করেছেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এরপর প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। রমজানে যে পণ্যগুলোর দরকার হয়, বিশেষ করে খেজুর, ভোজ্য তেল, চিনি ও চাল- এ চারটি পণ্যের শুল্কহার হ্রাস করার জন্য এনবিআরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেটি নিয়ে এখন তারা কাজ করছে। কী পরিমাণ শুল্ক কমানো হবে সেটি এনবিআর হিসাব করে দেখবে, যাতে দ্রব্যমূল্যের চাপটা মানুষের ওপর কম থাকে। মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রীরা মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করছেন। বেশ কিছু আইটেমের ওপর প্রভাব আসা শুরু করেছে। আগামী রমজান মাস বিবেচনা করে আরও যাতে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সেজন্য এই চারটি পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
বাজারে যেন সরবরাহ ও চাহিদার কোনো ঘাটতি না থাকে, প্রধানমন্ত্রী সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন এলসি ওপেনের পরিমাণ অনেক বেশি আছে, খাদ্য মজুতের পরিমাণ অনেক বেশি আছে, এ তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরবরাহে যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সেদিকে সমন্বিতভাবে নজরদারি করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে মন্ত্রীরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাঠে যেভাবে কাজ চলছে সেটি কন্টিনিউ করতে বলেছেন। সাপ্লাই যাতে কোনোভাবেই বিঘ্ন না হয়, সেজন্য এলসি ওপেন করে দিচ্ছেন যাতে কেউ কোনো কারসাজি করতে না পারে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:০৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
৪৬০ বার পড়া হয়েছে

যে সব পণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:০৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

পবিত্র রমজান মাস কে সামনে রেখে চার নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব পণ্য হলো- চাল, ভোজ্য তেল, চিনি ও খেজুর। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠক কালে প্রধানমন্ত্রী শুল্ক কমানোর এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশসহ মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি জানান, পবিত্র রমজান মাস কে  সামনে রেখেই এই চার পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)কে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এসব পণ্যে শুল্ক কী পরিমাণ কমানো হবে, তা এনবিআর এখন ঠিক করবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের পর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সমন্বয়ের ভিত্তিতে এটির উপর কাজ করতে বলেছেন। মন্ত্রীদের কাছ থেকে এটির সর্বশেষ অবস্থা জেনেছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রীরা কী কী কাজ করেছেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এরপর প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। রমজানে যে পণ্যগুলোর দরকার হয়, বিশেষ করে খেজুর, ভোজ্য তেল, চিনি ও চাল- এ চারটি পণ্যের শুল্কহার হ্রাস করার জন্য এনবিআরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেটি নিয়ে এখন তারা কাজ করছে। কী পরিমাণ শুল্ক কমানো হবে সেটি এনবিআর হিসাব করে দেখবে, যাতে দ্রব্যমূল্যের চাপটা মানুষের ওপর কম থাকে। মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রীরা মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করছেন। বেশ কিছু আইটেমের ওপর প্রভাব আসা শুরু করেছে। আগামী রমজান মাস বিবেচনা করে আরও যাতে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সেজন্য এই চারটি পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
বাজারে যেন সরবরাহ ও চাহিদার কোনো ঘাটতি না থাকে, প্রধানমন্ত্রী সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন এলসি ওপেনের পরিমাণ অনেক বেশি আছে, খাদ্য মজুতের পরিমাণ অনেক বেশি আছে, এ তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরবরাহে যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সেদিকে সমন্বিতভাবে নজরদারি করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে মন্ত্রীরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাঠে যেভাবে কাজ চলছে সেটি কন্টিনিউ করতে বলেছেন। সাপ্লাই যাতে কোনোভাবেই বিঘ্ন না হয়, সেজন্য এলসি ওপেন করে দিচ্ছেন যাতে কেউ কোনো কারসাজি করতে না পারে।