ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সিন্ডিকেট ঠেকাতে মাঠে নেমেছে র‌্যাব

নিজস্ব সংবাদ

রোববার কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে যারা বৃদ্ধিতে কারসাজি করছেন, মজুত করে দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করবেন, তাদের পরিচয় যাই হোক শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও অভিযান চালাতে প্রতিটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশ দিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাব সবসময় এ ধরনের জনসম্পৃক্ত ঘটনায় অভিযান চালিয়ে থাকে। আজ থেকে র‌্যাব সবজিসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ও মজুতদারি বন্ধে অভিযান চালাবে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি চক্র সিন্ডিকেটের মাধ্যমে, নামে-বেনামে সিন্ডিকেট করে চাঁদাবাজি করছে, এই কারণে অনিয়ন্ত্রিত ও অযৌক্তিকভাবে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। আমাদের প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশনা হয়েছে, গোয়েন্দা নজরদারি চালাতে।

কমান্ডার মঈন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, এই ধরনের মজুতদার ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে যারা কারসাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। সামনে রমজান। পবিত্র মাসটিতে যাতে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকে সেজন্য র‌্যাবের প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নকে চাঁদাবাজ, মজুতদার ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে কারসাজিকারীদের শনাক্ত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, যারা ইচ্ছাকৃত, কারসাজি করে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করবেন, এখন করছেন, তারা যেই হোন না কেন, তারা যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও হয়ে থাকেন, সিন্ডিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে ছাড় দেয়া হবে না। কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। সরকারি মূল্যের বেশি দামে কেউ যদি নিত্যপণ্য বিক্রি বা মজুত করে অন্যত্র বিক্রির চেষ্টা করেন, তাদের শনাক্ত করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, যারা ইচ্ছাকৃত, কারসাজি করে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করবেন, এখন করছেন, তারা যেই হোন না কেন, তারা যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও হয়ে থাকেন, সিন্ডিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে ছাড় দেয়া হবে না। কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে জানান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:০৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
১০৪ বার পড়া হয়েছে

রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সিন্ডিকেট ঠেকাতে মাঠে নেমেছে র‌্যাব

আপডেট সময় ০৫:০৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রোববার কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে যারা বৃদ্ধিতে কারসাজি করছেন, মজুত করে দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করবেন, তাদের পরিচয় যাই হোক শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও অভিযান চালাতে প্রতিটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশ দিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাব সবসময় এ ধরনের জনসম্পৃক্ত ঘটনায় অভিযান চালিয়ে থাকে। আজ থেকে র‌্যাব সবজিসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ও মজুতদারি বন্ধে অভিযান চালাবে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি চক্র সিন্ডিকেটের মাধ্যমে, নামে-বেনামে সিন্ডিকেট করে চাঁদাবাজি করছে, এই কারণে অনিয়ন্ত্রিত ও অযৌক্তিকভাবে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। আমাদের প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশনা হয়েছে, গোয়েন্দা নজরদারি চালাতে।

কমান্ডার মঈন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, এই ধরনের মজুতদার ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে যারা কারসাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। সামনে রমজান। পবিত্র মাসটিতে যাতে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকে সেজন্য র‌্যাবের প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নকে চাঁদাবাজ, মজুতদার ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে কারসাজিকারীদের শনাক্ত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, যারা ইচ্ছাকৃত, কারসাজি করে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করবেন, এখন করছেন, তারা যেই হোন না কেন, তারা যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও হয়ে থাকেন, সিন্ডিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে ছাড় দেয়া হবে না। কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। সরকারি মূল্যের বেশি দামে কেউ যদি নিত্যপণ্য বিক্রি বা মজুত করে অন্যত্র বিক্রির চেষ্টা করেন, তাদের শনাক্ত করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, যারা ইচ্ছাকৃত, কারসাজি করে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করবেন, এখন করছেন, তারা যেই হোন না কেন, তারা যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও হয়ে থাকেন, সিন্ডিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে ছাড় দেয়া হবে না। কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে জানান।