ঢাকা ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী- ৪ ভোটকেন্দ্রে আগুন, পুড়েছে বই ও আসবাবপত্র, ২টি ককটেল উদ্ধার

মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী

 

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে উত্তপ্ত জনপদে পরিনত হয়েছে। এ সুযোগে একের পর এক হামলা মামলা, হাওয়া পালটা ধাওয়াসহ অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে।

 

৭ জানুয়ারী’র ভোট গ্রহণের দিনকে ঘীরে একটি পক্ষ সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাগমারার গনিপুর ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জানালার কাচ ভেঙে কক্ষের কিছু আসবাব ও বইপত্র পুড়ে গেছে।

৫ জানুয়ারী (শুক্রবার) রাত ২ ঘটিকার সময় আক্কেলপুর উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে। এর আগেও বিদ্যালয়টি ভোটকেন্দ্র ছিল। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, রাত দুইটার পর ঘটনাটি ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের আক্কেলপুর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের অফিসকক্ষে ককটেল ছুড়ে মারে। জানালার কাচ ভেঙে ভেতরে আগুন ধরে যায়। এতে সেখানে থাকা বইপত্র পুড়ে যায়। এ সময় বিকট শব্দ শুনে লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বিদ্যালয়ের ফটকে দুটি ককটেল জাতীয় বস্তু ফেলে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরি সেবার নম্বরে (৯৯৯) ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ সেখান থেকে দুর্বৃত্তের ফেলে যাওয়া একটি মানিব্যাগ উদ্ধার করে এবং ককটেলসদৃশ বস্তু দুইটি ঘিরে রাখে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, বিদ্যালয়ের জানালার কাচ ভেঙে গেছে।

 

আইপিএসের ব্যাটারির ক্ষতি হয় এবং বইপুস্তক পুড়ে যায়। বিদ্যালয়ের ফটক থেকে উদ্ধার করা ককটেলসদৃশ বস্তু দুটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বিশেষজ্ঞ দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মতামত দিয়েছেন অনেক স্থানীয়রা। তারা বলছেন একটি পক্ষ চায় না নির্বাচন হোক, অন্য আরেকটি পক্ষ নির্বাচন বাতিলের পায়তারায় কৌশলী। সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভীতি সঞ্চার করতেও মরিয়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়া একটি দল। এদিকে জনপ্রিয়তা হারিয়ে আরেক প্রার্থী বহিরাগত জেএমবি ও সর্বহারাদের উত্তরসূরী নিয়ে মাঠে নেমেছে। একমাত্র নৌকাই চায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সর্তক অবস্থানে থাকার পরামর্শও দেয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪
১১৩ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী- ৪ ভোটকেন্দ্রে আগুন, পুড়েছে বই ও আসবাবপত্র, ২টি ককটেল উদ্ধার

আপডেট সময় ০৮:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪

 

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে উত্তপ্ত জনপদে পরিনত হয়েছে। এ সুযোগে একের পর এক হামলা মামলা, হাওয়া পালটা ধাওয়াসহ অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে।

 

৭ জানুয়ারী’র ভোট গ্রহণের দিনকে ঘীরে একটি পক্ষ সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাগমারার গনিপুর ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জানালার কাচ ভেঙে কক্ষের কিছু আসবাব ও বইপত্র পুড়ে গেছে।

৫ জানুয়ারী (শুক্রবার) রাত ২ ঘটিকার সময় আক্কেলপুর উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে। এর আগেও বিদ্যালয়টি ভোটকেন্দ্র ছিল। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, রাত দুইটার পর ঘটনাটি ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের আক্কেলপুর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের অফিসকক্ষে ককটেল ছুড়ে মারে। জানালার কাচ ভেঙে ভেতরে আগুন ধরে যায়। এতে সেখানে থাকা বইপত্র পুড়ে যায়। এ সময় বিকট শব্দ শুনে লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বিদ্যালয়ের ফটকে দুটি ককটেল জাতীয় বস্তু ফেলে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরি সেবার নম্বরে (৯৯৯) ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ সেখান থেকে দুর্বৃত্তের ফেলে যাওয়া একটি মানিব্যাগ উদ্ধার করে এবং ককটেলসদৃশ বস্তু দুইটি ঘিরে রাখে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, বিদ্যালয়ের জানালার কাচ ভেঙে গেছে।

 

আইপিএসের ব্যাটারির ক্ষতি হয় এবং বইপুস্তক পুড়ে যায়। বিদ্যালয়ের ফটক থেকে উদ্ধার করা ককটেলসদৃশ বস্তু দুটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বিশেষজ্ঞ দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মতামত দিয়েছেন অনেক স্থানীয়রা। তারা বলছেন একটি পক্ষ চায় না নির্বাচন হোক, অন্য আরেকটি পক্ষ নির্বাচন বাতিলের পায়তারায় কৌশলী। সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভীতি সঞ্চার করতেও মরিয়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়া একটি দল। এদিকে জনপ্রিয়তা হারিয়ে আরেক প্রার্থী বহিরাগত জেএমবি ও সর্বহারাদের উত্তরসূরী নিয়ে মাঠে নেমেছে। একমাত্র নৌকাই চায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সর্তক অবস্থানে থাকার পরামর্শও দেয়।