ঢাকা ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবি ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে উচ্চমূল্যে আবাসন ব্যাবসা

মইনুল ইসলাম রাজু, রাবি
আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারও উচ্চমূল্যে আবাসন ব্যাবসা চলছে। এই কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের আশেপাশের বিভিন্ন মেস, বাসাকে ভাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যাবস্থা করে তারা দর কষছেন উচ্চহারে।
পরিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের  বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট এবং পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তারা এর প্রচারণা চালাচ্ছে।
শিক্ষার্থী পরিচয়ে কথা হলো নবাব আব্দুল লতিফ হলের ৩৪৯ নাম্বার রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী এস. এম. নুরুজ্জামান এর সাথে। তিনি বলেন, মেঝেতে থাকতে হলে প্রতিরাতের জন্য গুণতে হবে ছয়শত টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলে আবাসিক শিক্ষার্থী মাহমুদুল ইসলাম ও আল-আমিন গড়ে তুলেছেন অন্য আরেকটি সেবা । নাম দিয়েছেন ‘শেল্টার সার্ভিস’। ‘শেল্টার সার্ভিস’ এ প্রতি রাতের জন্য দিতে হবে ১ হাজার আটশত টাকা।
সাংবাদিক পরিচয়ে আল-আমিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা ফ্যামিলি বাসা ভাড়া নিয়ে এই সেবা চালু করেছি। এইখানে একজন বা পরিবার মিলিয়ে যেভাবেই থাকবে একই খরচ পড়বে। আমরা এটাস্ট বাথরুমসহ ভালো মানের সেবা দিচ্ছি যার জন্য খরচ একটু বেশি।
এই বিষয়ে আরেক ব্যাবসায়ী এস. এম. নুরুজ্জামান বলেন, একটা রুমে তিনজন থাকার ব্যাবস্থা থাকে। আমরা একজন পেলাম কিন্তু বাকি দুইটা সিট ফাকা থাকলে আমাদের ক্ষতি হবে। এই কারণেই একটু বেশি খরচ পড়বে।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, উচ্চমূল্যে আবাসন ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীর যুক্ত থাকার তথ্য পেলে আমরা অবশ্যই অভিযান করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৪৯:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
২৬৩ বার পড়া হয়েছে

রাবি ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে উচ্চমূল্যে আবাসন ব্যাবসা

আপডেট সময় ০২:৪৯:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারও উচ্চমূল্যে আবাসন ব্যাবসা চলছে। এই কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের আশেপাশের বিভিন্ন মেস, বাসাকে ভাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যাবস্থা করে তারা দর কষছেন উচ্চহারে।
পরিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের  বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট এবং পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তারা এর প্রচারণা চালাচ্ছে।
শিক্ষার্থী পরিচয়ে কথা হলো নবাব আব্দুল লতিফ হলের ৩৪৯ নাম্বার রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী এস. এম. নুরুজ্জামান এর সাথে। তিনি বলেন, মেঝেতে থাকতে হলে প্রতিরাতের জন্য গুণতে হবে ছয়শত টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলে আবাসিক শিক্ষার্থী মাহমুদুল ইসলাম ও আল-আমিন গড়ে তুলেছেন অন্য আরেকটি সেবা । নাম দিয়েছেন ‘শেল্টার সার্ভিস’। ‘শেল্টার সার্ভিস’ এ প্রতি রাতের জন্য দিতে হবে ১ হাজার আটশত টাকা।
সাংবাদিক পরিচয়ে আল-আমিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা ফ্যামিলি বাসা ভাড়া নিয়ে এই সেবা চালু করেছি। এইখানে একজন বা পরিবার মিলিয়ে যেভাবেই থাকবে একই খরচ পড়বে। আমরা এটাস্ট বাথরুমসহ ভালো মানের সেবা দিচ্ছি যার জন্য খরচ একটু বেশি।
এই বিষয়ে আরেক ব্যাবসায়ী এস. এম. নুরুজ্জামান বলেন, একটা রুমে তিনজন থাকার ব্যাবস্থা থাকে। আমরা একজন পেলাম কিন্তু বাকি দুইটা সিট ফাকা থাকলে আমাদের ক্ষতি হবে। এই কারণেই একটু বেশি খরচ পড়বে।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, উচ্চমূল্যে আবাসন ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীর যুক্ত থাকার তথ্য পেলে আমরা অবশ্যই অভিযান করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।