ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ইবির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

জুলাইয়ের গণহত্যা সমর্থনের অভিযোগ তুলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের প্রভাষক তন্ময় সাহা জয়ের নামে চালানো অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে একটি প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটের সামনে যেয়ে মানববন্ধনে মিলিত হয়। এসময় বিভাগের ৩টি ব্যাপারে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা জেগেছে রে জেগেছে, ইবিয়ানরা জেগেছে; জেগেছে রে জেগেছে, জার্নালিজম জেগেছে; অপপ্রচারের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; তন্ময় স্যারের লাঞ্চনা, মানিনা মানবো না; তন্ময় স্যারের অপমান, মানিনা মানবো না; আমার শিক্ষক অপমানিত কেন, প্রশাসন জবাব চাই ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এছাড়াও তাদের হাতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মানি না মানবো না; শিক্ষকের সম্মান রক্ষা করো, মিথ্যাচার বন্ধ করো; Stand with তন্ময় স্যার লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদ হিমেল বলেন, আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি শিক্ষকের প্রতি হওয়া অবিচার ও অপমানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে। শিক্ষকরা সমাজের বাতিঘর। তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। একটি সমাজের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল। অথচ আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, শিক্ষক সমাজ নানা ধরনের লাঞ্ছনা ও অপবাদে জর্জরিত। এটি আমাদের সমাজের জন্য এক গভীর সংকেত। আমরা আমাদের শিক্ষকের নামে চালানো অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

অপর শিক্ষার্থী ইলিয়াস হোসেন বলেন, আন্দোলনের সময় স্যার আমার খবর নিয়েছেন। আমি বাসা থেকে যে সাপোর্ট পাইনি সে সাপোর্ট আমাকে আমার স্যার দিয়েছেন। যে সমস্ত শিক্ষক আন্দোলনের সময় আমাদের পক্ষে দাঁড়ায় নাই, তাদের বিচার করা হোক। পাশাপাশি আমার স্যারের অপমান যারা করেছে তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমি চাই। সারকে অপমান করা মানে জুলাইয়ের প্রত্যেকটা আন্দোলনকারীকে অপমান করা কারণ তিনি আমাদের পক্ষে ছিলেন। শিক্ষকের এমনও অপমান চব্বিশের ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না।

কানিজ ফাতেমা অবনী বলেন, আমাদের শিক্ষকের বিরুদ্ধে এধরণের অপপ্রচার আমরা মেনে নিব না৷ কারোর যদি স্যারের নামে কোন অভিযোগ থাকে তাহলে সে সামনে এসে বলুক। স্যার যে আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন এরকম কোন অভিযোগ আমাদের নাই বিপরীতে স্যার যে আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন এরকম অসংখ্য প্রমাণ, স্যারের ফেসবুক পোস্ট আমাদের কাছে আছে। সবাইকে বলব যে শিক্ষকদের যোগ্য সম্মানটা দিতে শিখুন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতের আঁধারে জুলাইয়ের গণহত্যা সমর্থন করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত এবং ক্লাস থেকে বয়কট ঘোষণা করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টানিয়ে দিয়ে যায় অজ্ঞাতনামারা। পরবর্তীতে বিতর্কের সৃষ্টি হলে সেসব ব্যানার সরিয়ে ফেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের সদস্যরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৩৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১২৪ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষকের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ইবির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৪:৩৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জুলাইয়ের গণহত্যা সমর্থনের অভিযোগ তুলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের প্রভাষক তন্ময় সাহা জয়ের নামে চালানো অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে একটি প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটের সামনে যেয়ে মানববন্ধনে মিলিত হয়। এসময় বিভাগের ৩টি ব্যাপারে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা জেগেছে রে জেগেছে, ইবিয়ানরা জেগেছে; জেগেছে রে জেগেছে, জার্নালিজম জেগেছে; অপপ্রচারের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; তন্ময় স্যারের লাঞ্চনা, মানিনা মানবো না; তন্ময় স্যারের অপমান, মানিনা মানবো না; আমার শিক্ষক অপমানিত কেন, প্রশাসন জবাব চাই ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এছাড়াও তাদের হাতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মানি না মানবো না; শিক্ষকের সম্মান রক্ষা করো, মিথ্যাচার বন্ধ করো; Stand with তন্ময় স্যার লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদ হিমেল বলেন, আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি শিক্ষকের প্রতি হওয়া অবিচার ও অপমানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে। শিক্ষকরা সমাজের বাতিঘর। তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। একটি সমাজের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল। অথচ আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, শিক্ষক সমাজ নানা ধরনের লাঞ্ছনা ও অপবাদে জর্জরিত। এটি আমাদের সমাজের জন্য এক গভীর সংকেত। আমরা আমাদের শিক্ষকের নামে চালানো অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

অপর শিক্ষার্থী ইলিয়াস হোসেন বলেন, আন্দোলনের সময় স্যার আমার খবর নিয়েছেন। আমি বাসা থেকে যে সাপোর্ট পাইনি সে সাপোর্ট আমাকে আমার স্যার দিয়েছেন। যে সমস্ত শিক্ষক আন্দোলনের সময় আমাদের পক্ষে দাঁড়ায় নাই, তাদের বিচার করা হোক। পাশাপাশি আমার স্যারের অপমান যারা করেছে তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমি চাই। সারকে অপমান করা মানে জুলাইয়ের প্রত্যেকটা আন্দোলনকারীকে অপমান করা কারণ তিনি আমাদের পক্ষে ছিলেন। শিক্ষকের এমনও অপমান চব্বিশের ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না।

কানিজ ফাতেমা অবনী বলেন, আমাদের শিক্ষকের বিরুদ্ধে এধরণের অপপ্রচার আমরা মেনে নিব না৷ কারোর যদি স্যারের নামে কোন অভিযোগ থাকে তাহলে সে সামনে এসে বলুক। স্যার যে আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন এরকম কোন অভিযোগ আমাদের নাই বিপরীতে স্যার যে আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন এরকম অসংখ্য প্রমাণ, স্যারের ফেসবুক পোস্ট আমাদের কাছে আছে। সবাইকে বলব যে শিক্ষকদের যোগ্য সম্মানটা দিতে শিখুন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতের আঁধারে জুলাইয়ের গণহত্যা সমর্থন করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত এবং ক্লাস থেকে বয়কট ঘোষণা করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টানিয়ে দিয়ে যায় অজ্ঞাতনামারা। পরবর্তীতে বিতর্কের সৃষ্টি হলে সেসব ব্যানার সরিয়ে ফেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের সদস্যরা।