শিক্ষক লাঞ্চনার প্রতিবাদে ইবি শাপলা ফোরামের মানববন্ধন
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্চনা, শিক্ষকদের কণ্ঠরোধের প্রচেষ্টা, অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে মানব বন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে এই মানববন্ধনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ।
উক্ত মানববন্ধনে শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রবিউল হোসেন, সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়শ্রী সেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবর রহমান, অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুল আরফিন ও অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দারসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
এসময় শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম নিয়োগ কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগে নিয়োগ স্থগিতের দাবিতে আমরা উপাচার্যের কার্যালয়ে উপস্থিত যাই। এসময় ২ জন শিক্ষক কথা বলার পরপরই কিছু অছাত্র এবং বহিরাগত প্রবেশ করে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ নানা হুমকি ধামকি দেয়। এই ঘটনার পর গত ১১ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত প্রশাসন কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য আজকে এখানে সমবেত হয়েছি।
শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, গুচ্ছে ইবি থাকবে কিনা সেই মিটিংয়ে উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ অপমানিত হয়েছেন। সবকিছুতেই যদি উপরের নির্দেশ থাকে তবে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। ইতোপূর্বে শিক্ষক লাঞ্চনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতে আমরা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু সেব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমরা কোন নির্দেশনা বা তথ্য পাইনি। তাই পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আজ মানববন্ধনে সমবেত হয়েছি। শিক্ষকদের সম্মান রক্ষার্থে ও লাঞ্চিতে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতে আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে।