ঢাকা ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিল্পী শশিভূষণ পদকে ভূষিত হলেন অধ্যাপক শিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ

মামুনর রশীদ রাজু, ব্যুরো চিফ (খুলনা)

 

চারুকলায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘শিল্পী শশিভূষণ পদক ২০২৪’ সম্মাননায় ভূষিত হলেন অধ্যাপক শিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ। শিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ একজন বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংকন ও চিত্রায়ন বিভাগের অধ্যাপক।

 

বাংলাদেশের ভূ-সীমানায় প্রথম শিল্পশিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাতা মহান শিল্পী শশিভূষণ পালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এবছর (২০২৪ খ্রিঃ) প্রথম ‘শশি মেলা’ ও ‘শিল্পী শশিভূষণ পদক’ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন ইতিহাস রচনার শুভ সূচনা করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা স্কুল।

শিল্প শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান ‘মহেশ্বরপাশা স্কুল অফ আর্ট’। বাংলাদেশের ভূ-সীমানায় এই প্রথম শিল্পশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পথিকৃত চিত্রশিল্পী শশিভূষণ পাল। এই গুনী শিল্পীর প্রচেষ্টায় খুলনায় ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘মহেশ্বরপাশা স্কুল অফ আর্ট’ এর পরবর্তী ধারাবাহিকতায় প্রথমে খুলনা আর্ট কলেজ এবং তারপর আজকের এই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুল।

শিল্পী শশিভূষণ পাল ১৪ জানুয়ারি ১৮৭৮ সালে খুলনার মহেশ্বরপাশায় জন্মগ্রহণ করেন এবং মৃত্যুবরণ করেন ১ জুলাই ১৯৪৬ সালে। পথিকৃত চিত্রশিল্পী শশিভূষণ পালের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুলের ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী মেলার শেষ দিন ছিলো আজ। এদিনে নতুন-পুরাতন, ছাত্র-শিক্ষকদের উপস্থিতে উৎসব মুখর এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চারকলা প্রাঙ্গণ তথা ‘শশি মেলা ২০২৪’।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় চারুকলা স্কুলের আঙ্গিনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘শিল্পী শশিভূষণ পদক ২০২৪’ সম্মাননায় ভূষিত অধ্যাপক শিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন- শিল্পী শশিভূষণ পাল অনেক আগেই আমাদের দেশে আর্ট এবং পেইন্টিং চর্চার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছিলেন। যার গুরুত্ব এখন আমরা বুঝছি। প্রথমবারের মতো আয়োজিত শশিমেলা থেকে তাঁকে এভাবে স্মরণ করা অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ। আমি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং এ মেলা প্রতিবছর আয়োজন করা হোক সে প্রত্যাশা করি। একই সাথে তিনি এ পদক পাওয়ার মাধ্যমে নিজে গর্বিত ও খুশি হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।

একই অনুষ্ঠানে ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের অবসরপ্রাপ্ত তিন শিক্ষক চৈতন্য কুমার মল্লিক, বিমানেশ বিশ্বাস ও পূর্ণানন্দ সরকারকে সম্মাননা স্মারক, দেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিন থেকে শিক্ষার্থী মো. সাইফুল্লাহ আবিরকে ‘শশিভূষণ পাল ফেলোশিপ’ প্রদান করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৫৩:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
২১১ বার পড়া হয়েছে

শিল্পী শশিভূষণ পদকে ভূষিত হলেন অধ্যাপক শিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ

আপডেট সময় ০২:৫৩:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

 

চারুকলায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘শিল্পী শশিভূষণ পদক ২০২৪’ সম্মাননায় ভূষিত হলেন অধ্যাপক শিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ। শিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ একজন বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংকন ও চিত্রায়ন বিভাগের অধ্যাপক।

 

বাংলাদেশের ভূ-সীমানায় প্রথম শিল্পশিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাতা মহান শিল্পী শশিভূষণ পালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এবছর (২০২৪ খ্রিঃ) প্রথম ‘শশি মেলা’ ও ‘শিল্পী শশিভূষণ পদক’ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন ইতিহাস রচনার শুভ সূচনা করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা স্কুল।

শিল্প শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান ‘মহেশ্বরপাশা স্কুল অফ আর্ট’। বাংলাদেশের ভূ-সীমানায় এই প্রথম শিল্পশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পথিকৃত চিত্রশিল্পী শশিভূষণ পাল। এই গুনী শিল্পীর প্রচেষ্টায় খুলনায় ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘মহেশ্বরপাশা স্কুল অফ আর্ট’ এর পরবর্তী ধারাবাহিকতায় প্রথমে খুলনা আর্ট কলেজ এবং তারপর আজকের এই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুল।

শিল্পী শশিভূষণ পাল ১৪ জানুয়ারি ১৮৭৮ সালে খুলনার মহেশ্বরপাশায় জন্মগ্রহণ করেন এবং মৃত্যুবরণ করেন ১ জুলাই ১৯৪৬ সালে। পথিকৃত চিত্রশিল্পী শশিভূষণ পালের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুলের ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী মেলার শেষ দিন ছিলো আজ। এদিনে নতুন-পুরাতন, ছাত্র-শিক্ষকদের উপস্থিতে উৎসব মুখর এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চারকলা প্রাঙ্গণ তথা ‘শশি মেলা ২০২৪’।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় চারুকলা স্কুলের আঙ্গিনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘শিল্পী শশিভূষণ পদক ২০২৪’ সম্মাননায় ভূষিত অধ্যাপক শিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন- শিল্পী শশিভূষণ পাল অনেক আগেই আমাদের দেশে আর্ট এবং পেইন্টিং চর্চার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছিলেন। যার গুরুত্ব এখন আমরা বুঝছি। প্রথমবারের মতো আয়োজিত শশিমেলা থেকে তাঁকে এভাবে স্মরণ করা অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ। আমি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং এ মেলা প্রতিবছর আয়োজন করা হোক সে প্রত্যাশা করি। একই সাথে তিনি এ পদক পাওয়ার মাধ্যমে নিজে গর্বিত ও খুশি হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।

একই অনুষ্ঠানে ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের অবসরপ্রাপ্ত তিন শিক্ষক চৈতন্য কুমার মল্লিক, বিমানেশ বিশ্বাস ও পূর্ণানন্দ সরকারকে সম্মাননা স্মারক, দেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিন থেকে শিক্ষার্থী মো. সাইফুল্লাহ আবিরকে ‘শশিভূষণ পাল ফেলোশিপ’ প্রদান করা হয়।