ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রমিক অধিকার হরণ হলে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেবে আমেরিকা

নিজস্ব সংবাদ

বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১৬ নভেম্বর প্রথমবারের মতো একটি সমঝোতা স্বারকে সই করেছেন। বিষয়টিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে হোয়াইট হাউজ।

এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই খবর জানাতে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, যারা শ্রমিকদের হুমকি-ধামকি দেবে, ভয় দেখাবে, শ্রম ইউনিয়নের নেতা, শ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করা ব্যক্তি এবং শ্রম সংগঠনের উপর আক্রমণ করবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।

এ সময় ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার কর্মী কল্পনা আক্তারের উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমরা কল্পনা আক্তারের মতো মানুষদের পাশে থাকতে চাই, যিনি বলেন তিনি এখনো জীবিত আছেন কারণ আমেরিকার দূতাবাস তার পক্ষে কাজ করেছে। খবর বিবিসি।

তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশে নিয়োজিত আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসে কর্মরত ব্যক্তিরা শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের সাঙ্গে কাজ করবে যাতে করে আমাদের কাজের মধ্যে তাদের আওয়াজ প্রতিফলিত হয়।

সমঝোতা স্বারক সই নিয়ে  বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইতিহাসের সবচেয়ে শ্রম-বান্ধব প্রেসিডেন্ট এবং তিনি একটি টেকসই বৈশ্বিক অর্থনীতি গড়ে তোলার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইতিহাসের সর্বত্র, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে কমিউনিস্ট পোল্যান্ড, ব্রাজিলের সামরিক শাসন এবং মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়নগুলো গণতন্ত্রের পক্ষে নাগরিক আন্দোলনের মূল অস্ত্র হিসেবে কাজ করেছে।

এই বিবৃতিতেও শ্রম অধিকার সংরক্ষণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ ধরনের কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছেঃ

  • আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি শ্রম অধিকার রক্ষা, শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন এবং সংগঠনের অধিকার নিশ্চিত করতে কূটনীতি, অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ এবং বিদেশি সহায়তা ব্যবহার করা হবে।
  • ট্রেড ইউনিয়নের নেতা, শ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করা ব্যক্তি এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে হুমকি, ভয় দেখানো এবং সহিংসতার বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকরভাবে এগিয়ে আসা এবং তা প্রতিরোধ করা।
  • বৈশ্বিক শ্রম অ্যাজেন্ডা পরিচালনার জন্য ফেডারেল বিভাগ ও সংস্থাগুলোর সক্ষমতা আরো বাড়ানো।
  • বৈশ্বিক শ্রম মান উন্নয়ন, শ্রম সংগঠন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করা এবং তাদের সাথে জোট গঠন করা।
  • আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার রক্ষা ও উন্নয়নে বাণিজ্য সংক্রান্ত ও অন্যান্য উপায় বাড়ানো।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
২৬৭ বার পড়া হয়েছে

শ্রমিক অধিকার হরণ হলে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেবে আমেরিকা

আপডেট সময় ১২:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১৬ নভেম্বর প্রথমবারের মতো একটি সমঝোতা স্বারকে সই করেছেন। বিষয়টিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে হোয়াইট হাউজ।

এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই খবর জানাতে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, যারা শ্রমিকদের হুমকি-ধামকি দেবে, ভয় দেখাবে, শ্রম ইউনিয়নের নেতা, শ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করা ব্যক্তি এবং শ্রম সংগঠনের উপর আক্রমণ করবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।

এ সময় ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার কর্মী কল্পনা আক্তারের উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমরা কল্পনা আক্তারের মতো মানুষদের পাশে থাকতে চাই, যিনি বলেন তিনি এখনো জীবিত আছেন কারণ আমেরিকার দূতাবাস তার পক্ষে কাজ করেছে। খবর বিবিসি।

তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশে নিয়োজিত আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসে কর্মরত ব্যক্তিরা শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের সাঙ্গে কাজ করবে যাতে করে আমাদের কাজের মধ্যে তাদের আওয়াজ প্রতিফলিত হয়।

সমঝোতা স্বারক সই নিয়ে  বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইতিহাসের সবচেয়ে শ্রম-বান্ধব প্রেসিডেন্ট এবং তিনি একটি টেকসই বৈশ্বিক অর্থনীতি গড়ে তোলার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইতিহাসের সর্বত্র, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে কমিউনিস্ট পোল্যান্ড, ব্রাজিলের সামরিক শাসন এবং মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়নগুলো গণতন্ত্রের পক্ষে নাগরিক আন্দোলনের মূল অস্ত্র হিসেবে কাজ করেছে।

এই বিবৃতিতেও শ্রম অধিকার সংরক্ষণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ ধরনের কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছেঃ

  • আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি শ্রম অধিকার রক্ষা, শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন এবং সংগঠনের অধিকার নিশ্চিত করতে কূটনীতি, অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ এবং বিদেশি সহায়তা ব্যবহার করা হবে।
  • ট্রেড ইউনিয়নের নেতা, শ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করা ব্যক্তি এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে হুমকি, ভয় দেখানো এবং সহিংসতার বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকরভাবে এগিয়ে আসা এবং তা প্রতিরোধ করা।
  • বৈশ্বিক শ্রম অ্যাজেন্ডা পরিচালনার জন্য ফেডারেল বিভাগ ও সংস্থাগুলোর সক্ষমতা আরো বাড়ানো।
  • বৈশ্বিক শ্রম মান উন্নয়ন, শ্রম সংগঠন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করা এবং তাদের সাথে জোট গঠন করা।
  • আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার রক্ষা ও উন্নয়নে বাণিজ্য সংক্রান্ত ও অন্যান্য উপায় বাড়ানো।