ঢাকা ০১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না খেজুর

নিজস্ব সংবাদ

ইফতারের অন্যতম উপকরণ খেজুরের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।  নিম্নমানের খেজুরের দাম ঠিক করা হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ Fresh Fruits importers  এসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়ে খেজুরের দাম নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে শুল্ক ছাড় দেয়া ছাড়া সরকার নির্ধারিত দামে খেজুর বিক্রি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। তারা জানান, ১৪০ টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে খেজুর আমদানি করতে হচ্ছে। তাহলে ১৭০ টাকায় কীভাবে বিক্রি করবো। সরকার যদি ট্যাক্স ফ্রি করে দেয়, তাহলেই এই দামে বিক্রি করা যাবে।

এবার রোজা শুরুর বেশ আগে থেকেই বাজারে খেজুরের দাম বাড়তি। কয়েক বছর ধরে খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। গত বছর রোজার আগে আজোয়া ও মেডজুলের মতো দামি খেজুর প্রতি কেজি ৯৫ সেন্ট থেকে ১ মার্কিন ডলারে আমদানির ঘোষণা দিয়েছিলেন অনেক ব্যবসায়ী। এই কারণ দেখিয়ে শুল্ক-কর বাড়ানো হয়েছিল।

শুল্ক-কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম আমদানি মূল্যও বেঁধে দেয়া হয়। সবমিলিয়ে প্রতি কেজি খেজুর আমদানিতে এখন করভার ৬৬ থেকে ২৬৫ টাকা। এরপর এ বছর খেজুরের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।

গতকাল রাজধানী ঢাকার বাজারে উন্নতমানের প্রতি কেজি খেজুর অন্তত এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যে জাইদি খেজুরের দাম সরকার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বেঁধে দিয়েছে, গতকাল সেই জাইদি খেজুরের দাম ছিলো ২৭০ টাকার আশপাশে। অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের দাম সরকার ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা বেঁধে দিলেও গতকাল তা ২০০ টাকার আশপাশে ছিল।

এদিকে খেজুরের দাম নির্ধারণের বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সাধারণ মানুষেরা যে খেজুরটা খায় সেটার যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবসায়ীদের চিঠিও দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কেউ বিক্রি করতে পারবে না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৫২:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
১৩৭ বার পড়া হয়েছে

সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না খেজুর

আপডেট সময় ১১:৫২:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

ইফতারের অন্যতম উপকরণ খেজুরের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।  নিম্নমানের খেজুরের দাম ঠিক করা হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ Fresh Fruits importers  এসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়ে খেজুরের দাম নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে শুল্ক ছাড় দেয়া ছাড়া সরকার নির্ধারিত দামে খেজুর বিক্রি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। তারা জানান, ১৪০ টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে খেজুর আমদানি করতে হচ্ছে। তাহলে ১৭০ টাকায় কীভাবে বিক্রি করবো। সরকার যদি ট্যাক্স ফ্রি করে দেয়, তাহলেই এই দামে বিক্রি করা যাবে।

এবার রোজা শুরুর বেশ আগে থেকেই বাজারে খেজুরের দাম বাড়তি। কয়েক বছর ধরে খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। গত বছর রোজার আগে আজোয়া ও মেডজুলের মতো দামি খেজুর প্রতি কেজি ৯৫ সেন্ট থেকে ১ মার্কিন ডলারে আমদানির ঘোষণা দিয়েছিলেন অনেক ব্যবসায়ী। এই কারণ দেখিয়ে শুল্ক-কর বাড়ানো হয়েছিল।

শুল্ক-কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম আমদানি মূল্যও বেঁধে দেয়া হয়। সবমিলিয়ে প্রতি কেজি খেজুর আমদানিতে এখন করভার ৬৬ থেকে ২৬৫ টাকা। এরপর এ বছর খেজুরের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।

গতকাল রাজধানী ঢাকার বাজারে উন্নতমানের প্রতি কেজি খেজুর অন্তত এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যে জাইদি খেজুরের দাম সরকার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বেঁধে দিয়েছে, গতকাল সেই জাইদি খেজুরের দাম ছিলো ২৭০ টাকার আশপাশে। অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের দাম সরকার ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা বেঁধে দিলেও গতকাল তা ২০০ টাকার আশপাশে ছিল।

এদিকে খেজুরের দাম নির্ধারণের বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সাধারণ মানুষেরা যে খেজুরটা খায় সেটার যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবসায়ীদের চিঠিও দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কেউ বিক্রি করতে পারবে না।