ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরস্বতী পূজা: খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ

মামুনর রশীদ রাজু, ব্যুরো চিফ (খুলনা)

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ। সরস্বতী পূজা বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ পূজা উদযাপন কমিটি ২০২৪, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বিদ্যারদেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজার আয়োজন করে। আজ বুধবার সকাল ৮ টা প্রতিমা স্থাপন, সকাল ১০ টায় পূজারম্ভ, সকাল ১১ টায় পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, দুপুর ১২ টায় প্রসাদ বিতরণ এবং বিকাল ৫ টায় প্রতিমা নিরঞ্জন আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাজানো হয় সরস্বতী পূজা ২০২৪।

সরস্বতী পূজা বিষয়ে কলেজ পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র শীল বলেন- ঐতিহাসিক পুরাকাল থেকে হিন্দুদের মূল ধর্মগ্রন্থ বেদচর্চার মাধ্যমে ধর্মীয় কাজকর্ম শুরু হয়। এবং প্রতিটি শক্তি হিসেবে নানা রকমের উপাসনার কথা বেদে বলা আছে। সেখানে দেবদেবীর কথা সেইভাবে আসেনি। পরবর্তীতে সেই শক্তিসমূহ বিভিন্ন দেবদেবী রূপে মানুষ কল্পনা করে তার পূজা অর্চনা করা শুরু করে। সেই হিসেবে শিক্ষা বা বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে পূজা করে। বিশেষত ছাত্রছাত্রীরা স্কুল কলেজে কিংবা বাড়িতে বিদ্যা শিক্ষায় ভালো করার জন্য বিদ্যার দেবী মা সরস্বতীকে আরাধনা করেন এবং তার কাছে বিদ্যায় ভালো ফলাফল করার প্রার্থণা করেন।

 

শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ তিথি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। এ সময় নতুন ছাত্রছাত্রীরা তাদের হাতে খড়ি দেয় এবং বড় যারা তারা মায়ের কাছে বই-পুস্তক রেখে আরাধনা করেন, লেখার অভ্যাস করেন এবং তার কাছে ভক্তি ভরে বিদ্যার জন্য প্রার্থনা করেন।

 

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের শুরু থেকেই পূজাআর্চনা হয়ে থাকে। আগে একাডেমিক ভবনের সামনে পূজার আয়োজোন করা হতো। এখন কালের প্রবাহে কলেজের অবয়ব অনেক পরিবর্তন হয়েছে, উন্নত হয়েছে। সেই হিসেবে একটা মুক্ত মঞ্চ গড়ে উঠেছে। মুক্ত মঞ্চে দীর্ঘদিন পূজার ব্যবস্থা থাকাতে মেয়েরা এবং আশপাশের মানুষের বেশ জমায়েত হয়। একটা ভালো পরিবেশে পূজা হয় বিধায় সকলে এখানে আসেন। এই পূজা হিদু ছাত্রছাত্রীরা করে ঠিকই, কিন্তু পূজা দেখতে বা উৎসব উপভোগ করতে কলেজের সকল শিক্ষার্থী এখানে অংশগ্রহন করে। এবং বাইরে থেকে বিশেষ অতিথি যারা আসেন তারাও সকলে সনাতন ধর্মের মানুষ তা নয়। সব ধর্মের মানুষেরাই আসেন, তারা অনুষ্ঠান উপভোগ করতেই আসেন। খুলনায় আর কোথাও এরকম দেখা যায় না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:১৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
২২৩ বার পড়া হয়েছে

সরস্বতী পূজা: খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ

আপডেট সময় ০২:১৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ। সরস্বতী পূজা বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ পূজা উদযাপন কমিটি ২০২৪, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বিদ্যারদেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজার আয়োজন করে। আজ বুধবার সকাল ৮ টা প্রতিমা স্থাপন, সকাল ১০ টায় পূজারম্ভ, সকাল ১১ টায় পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, দুপুর ১২ টায় প্রসাদ বিতরণ এবং বিকাল ৫ টায় প্রতিমা নিরঞ্জন আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাজানো হয় সরস্বতী পূজা ২০২৪।

সরস্বতী পূজা বিষয়ে কলেজ পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র শীল বলেন- ঐতিহাসিক পুরাকাল থেকে হিন্দুদের মূল ধর্মগ্রন্থ বেদচর্চার মাধ্যমে ধর্মীয় কাজকর্ম শুরু হয়। এবং প্রতিটি শক্তি হিসেবে নানা রকমের উপাসনার কথা বেদে বলা আছে। সেখানে দেবদেবীর কথা সেইভাবে আসেনি। পরবর্তীতে সেই শক্তিসমূহ বিভিন্ন দেবদেবী রূপে মানুষ কল্পনা করে তার পূজা অর্চনা করা শুরু করে। সেই হিসেবে শিক্ষা বা বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে পূজা করে। বিশেষত ছাত্রছাত্রীরা স্কুল কলেজে কিংবা বাড়িতে বিদ্যা শিক্ষায় ভালো করার জন্য বিদ্যার দেবী মা সরস্বতীকে আরাধনা করেন এবং তার কাছে বিদ্যায় ভালো ফলাফল করার প্রার্থণা করেন।

 

শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ তিথি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। এ সময় নতুন ছাত্রছাত্রীরা তাদের হাতে খড়ি দেয় এবং বড় যারা তারা মায়ের কাছে বই-পুস্তক রেখে আরাধনা করেন, লেখার অভ্যাস করেন এবং তার কাছে ভক্তি ভরে বিদ্যার জন্য প্রার্থনা করেন।

 

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের শুরু থেকেই পূজাআর্চনা হয়ে থাকে। আগে একাডেমিক ভবনের সামনে পূজার আয়োজোন করা হতো। এখন কালের প্রবাহে কলেজের অবয়ব অনেক পরিবর্তন হয়েছে, উন্নত হয়েছে। সেই হিসেবে একটা মুক্ত মঞ্চ গড়ে উঠেছে। মুক্ত মঞ্চে দীর্ঘদিন পূজার ব্যবস্থা থাকাতে মেয়েরা এবং আশপাশের মানুষের বেশ জমায়েত হয়। একটা ভালো পরিবেশে পূজা হয় বিধায় সকলে এখানে আসেন। এই পূজা হিদু ছাত্রছাত্রীরা করে ঠিকই, কিন্তু পূজা দেখতে বা উৎসব উপভোগ করতে কলেজের সকল শিক্ষার্থী এখানে অংশগ্রহন করে। এবং বাইরে থেকে বিশেষ অতিথি যারা আসেন তারাও সকলে সনাতন ধর্মের মানুষ তা নয়। সব ধর্মের মানুষেরাই আসেন, তারা অনুষ্ঠান উপভোগ করতেই আসেন। খুলনায় আর কোথাও এরকম দেখা যায় না।