ঢাকা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বজনীন পেনশন বিষয়ক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবী ইবি শাপলা ফোরামের

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রচারিত সর্বজনীন পেনশন বিষয়ক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম।

শনিবার (১৮ মে) সকালে শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবী জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ মার্চ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত একটি প্রজ্ঞাপন শাপলা ফোরামের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের স্পষ্টতঃ বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ যারপরনাই হতাশ ও সংক্ষুব্ধ। প্রচলিত পেনশন ব্যবস্থা স্থগিত করে সর্বজনীন নাম দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেবল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে বিশেষ বৈষম্যমূলক পেনশন চালু করার তীব্র বিরোধিতা করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম।

এতে আরো বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও জ্ঞান-সৃজন কেন্দ্র। সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত একপেশে নীতি প্রবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সঙ্গে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টির পরিবেশ বাধাগ্রস্থ করবে এবং মেধাবীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করবে মর্মে শাপলা ফোরাম মনে করে। তাছাড়া ঘোষিত প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকসমাজ একদিকে যেমন আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্থ হবে অন্যদিকে এ পেশা থেকে মেধাবীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। এজন্য শাপলা ফোরাম এ ধরনের বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের জোর দাবি জানাচ্ছে।

শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রচলিত পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে কখনো অসন্তোষ প্রকাশ করেনি। দুই ধরনের পেনশন ব্যবস্থা যদি চালু থাকে তাহলে শিক্ষকদের মধ্যে বড় ধরনের বৈষম্য তৈরি হবে। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে এক শিক্ষক পাবে একধরনের পেনশন আরেক শিক্ষক পাবে আরেক ধরনের পেনশন এটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত শিক্ষকদের মধ্যে অন্তকলহ ও অন্তঃদ্বন্ধ সৃষ্টি করবে ফলে মেধাবী যারা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহী তাদের নিরুৎসাহিত হয়ে শিক্ষকতা পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
৯৫ বার পড়া হয়েছে

সর্বজনীন পেনশন বিষয়ক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবী ইবি শাপলা ফোরামের

আপডেট সময় ০৩:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রচারিত সর্বজনীন পেনশন বিষয়ক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম।

শনিবার (১৮ মে) সকালে শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবী জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ মার্চ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত একটি প্রজ্ঞাপন শাপলা ফোরামের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের স্পষ্টতঃ বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ যারপরনাই হতাশ ও সংক্ষুব্ধ। প্রচলিত পেনশন ব্যবস্থা স্থগিত করে সর্বজনীন নাম দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেবল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে বিশেষ বৈষম্যমূলক পেনশন চালু করার তীব্র বিরোধিতা করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম।

এতে আরো বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও জ্ঞান-সৃজন কেন্দ্র। সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত একপেশে নীতি প্রবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সঙ্গে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টির পরিবেশ বাধাগ্রস্থ করবে এবং মেধাবীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করবে মর্মে শাপলা ফোরাম মনে করে। তাছাড়া ঘোষিত প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকসমাজ একদিকে যেমন আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্থ হবে অন্যদিকে এ পেশা থেকে মেধাবীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। এজন্য শাপলা ফোরাম এ ধরনের বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের জোর দাবি জানাচ্ছে।

শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রচলিত পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে কখনো অসন্তোষ প্রকাশ করেনি। দুই ধরনের পেনশন ব্যবস্থা যদি চালু থাকে তাহলে শিক্ষকদের মধ্যে বড় ধরনের বৈষম্য তৈরি হবে। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে এক শিক্ষক পাবে একধরনের পেনশন আরেক শিক্ষক পাবে আরেক ধরনের পেনশন এটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত শিক্ষকদের মধ্যে অন্তকলহ ও অন্তঃদ্বন্ধ সৃষ্টি করবে ফলে মেধাবী যারা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহী তাদের নিরুৎসাহিত হয়ে শিক্ষকতা পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে।