ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাঘাটায় পাগলের জমি জাল দলিল সম্পাদন! সাব-রেজিস্ট্রারসহ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সুলতান আহম্মেদ, সাঘাটা, গাইবান্ধা
উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের নশিরারপাড়া গ্রামে নবজ আলী (৬৫) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) ব্যক্তির জমি সাব-রেজিষ্টার, দলিল লেখক, সাক্ষী ও গ্রাহক যোগসাজসে দলিল সম্পাদনের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় সাব-রেজিস্ট্রারসহ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার নশিরারপাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের একমাত্র সন্তান নবজ আলী (৬৫) মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় সে চিরকুমার ।
তার ভাই-বোননা থাকায় পিতা-মাতারমৃত্যুর পর নবজ আলীর জমিজমা হ সকল সম্পত্তি স্বজনরা ভোগদখল করে আসছে। সেই সুবাদে সাব-রেজিস্ট্রার, দলিললেখক ও সাক্ষীদের যোগসাজসে সুকৌশলে নবজ আলীর চাচাতো ভাইয়ের (ওমর আলীর) ছেলে হাফিজুর রহমান গত ২২ জানুয়ারি এক একর ৩৬ শতক জমি একা ভোগ করার উদ্দেশ্যে গোপনে নবজ আলীর টিপ জাল করে নিজের নামে লিখে নেন। গোপনে জমি লিখে নেয়ার ঘটনা সম্প্রতি স্থানীয় লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে নবজ আলীর স্বজনরা গত রোববার সাব-রেজিস্ট্রারঅফিসে গিয়ে জাল দলিলের
নবির হোসেন অভিভাবক হিসেবে বাদি হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সাব-রেজিস্ট্রারমিরাজ মোর্শেদসহ ৬ জনকে আসামি করে সাঘাটা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। জমি গ্রহীতা হাফিজুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জমি লিখে নেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, নবজ আলী আমার চাচা। জেনেশুনে-বুঝেইতিনি জমি দলিল করে দিয়েছেন।
এবিষয়ে কামালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলাম সাজুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, পাগলের জমি দলিল সম্পাদনের সাথে জড়িতরা কাজটি ঠিক করেনি। এর একটা সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত। দলিল লেখক মাহমুদুল হাসান জানান, জমি দাতা এবং গ্রহীতাকে এর আগে সেভাবে চিনতাম না। পরে জানতে পেরেছি ওই জমিদাতা একজন পাগল।
দলিল সম্পাদনের বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রারমিরাজ মোর্শেদ জানান, জমি দাতা পাগল না কি বুঝতে পারেননি। নবজ আলীর মানসিক প্রতিবন্ধীর কার্ড তারা দেখাননি। আমার কাছে তখন পাগল মনে হয়নি। দেখে শুনেই দলিল সম্পাদন করা হয়েছে।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
১৩৯ বার পড়া হয়েছে

সাঘাটায় পাগলের জমি জাল দলিল সম্পাদন! সাব-রেজিস্ট্রারসহ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় ০৬:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের নশিরারপাড়া গ্রামে নবজ আলী (৬৫) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) ব্যক্তির জমি সাব-রেজিষ্টার, দলিল লেখক, সাক্ষী ও গ্রাহক যোগসাজসে দলিল সম্পাদনের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় সাব-রেজিস্ট্রারসহ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার নশিরারপাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের একমাত্র সন্তান নবজ আলী (৬৫) মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় সে চিরকুমার ।
তার ভাই-বোননা থাকায় পিতা-মাতারমৃত্যুর পর নবজ আলীর জমিজমা হ সকল সম্পত্তি স্বজনরা ভোগদখল করে আসছে। সেই সুবাদে সাব-রেজিস্ট্রার, দলিললেখক ও সাক্ষীদের যোগসাজসে সুকৌশলে নবজ আলীর চাচাতো ভাইয়ের (ওমর আলীর) ছেলে হাফিজুর রহমান গত ২২ জানুয়ারি এক একর ৩৬ শতক জমি একা ভোগ করার উদ্দেশ্যে গোপনে নবজ আলীর টিপ জাল করে নিজের নামে লিখে নেন। গোপনে জমি লিখে নেয়ার ঘটনা সম্প্রতি স্থানীয় লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে নবজ আলীর স্বজনরা গত রোববার সাব-রেজিস্ট্রারঅফিসে গিয়ে জাল দলিলের
নবির হোসেন অভিভাবক হিসেবে বাদি হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সাব-রেজিস্ট্রারমিরাজ মোর্শেদসহ ৬ জনকে আসামি করে সাঘাটা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। জমি গ্রহীতা হাফিজুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জমি লিখে নেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, নবজ আলী আমার চাচা। জেনেশুনে-বুঝেইতিনি জমি দলিল করে দিয়েছেন।
এবিষয়ে কামালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলাম সাজুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, পাগলের জমি দলিল সম্পাদনের সাথে জড়িতরা কাজটি ঠিক করেনি। এর একটা সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত। দলিল লেখক মাহমুদুল হাসান জানান, জমি দাতা এবং গ্রহীতাকে এর আগে সেভাবে চিনতাম না। পরে জানতে পেরেছি ওই জমিদাতা একজন পাগল।
দলিল সম্পাদনের বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রারমিরাজ মোর্শেদ জানান, জমি দাতা পাগল না কি বুঝতে পারেননি। নবজ আলীর মানসিক প্রতিবন্ধীর কার্ড তারা দেখাননি। আমার কাছে তখন পাগল মনে হয়নি। দেখে শুনেই দলিল সম্পাদন করা হয়েছে।