ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সারাদেশে অপরিপক্ব আম-লিচুর বিস্তার

নিজস্ব সংবাদ

মৌসুমের শুরুতেই বাজার দখল করেছে আম ও লিচু। বাজারে ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসাপাত, অরুনা, আমরুপালি পরিচিত নানা প্রজাতির আম না থাকলেও মৌসুমের শুরুতেই মিলছে হিমসাগর, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বারিফল এবং কাঠিমনসহ কয়েক প্রজাতির আম। পাশাপাশি উচ্চদামে বিক্রি হচ্ছে থাইল্যান্ডের জাম্বু আম ও কয়েক প্রজাতির লিচুও। তবে দেশীয় আমের দামও আকাশছোঁয়া। প্রতিকেজি দেশীয় প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে।

 

অপরদিকে প্রতি একশ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১৬শ টাকায়। তবে বাজারে এমন চড়া দামে ফল কিনতে একদিকে যেমন ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন তেমনি নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব ফল বাজারে আসায় স্বাদ নিয়েও রয়েছে অভিযোগ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর পুরাতন পল্টন, মতিঝিল এবং এর আশেপাশের ফলের বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, দাম কমলে মানুষ বেশি করে ফল কিনতে পারবে। সবার খাওয়ার চাহিদাও বাড়বে। অন্যসব বছরের তুলনায় লিচুর দাম অনেক বেশি। আমের দামও অনেক বেশি। বিক্রেতারা বলছেন- প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন কমেছে রসালো ফল আম ও লিচুর। ফলে সঙ্গত কারণে একদিকে যেমন বাজারে আম এবং লিচুর সংকট তৈরি হবে তেমনি বিক্রিও হবে চড়া দামে। তবে মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার পর দাম অপেক্ষাকৃত কমবে বলেও দাবি বিক্রেতাদের।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে মৌসুমের শুরুতেই ৬ থেকে ৭ প্রজাতির আম পাওয়া যাচ্ছে। এসব আমের মধ্যে হিমসাগর প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোপালভোগ প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোবিন্দভোগ প্রতিকেজি ১৮০ টাকা, বারিফল প্রতিকেজি ৩০০ টাকা, কাঠিমন প্রতিকেজি ২০০ টাকা, সাতক্ষীরার গোপালভোগ প্রতিকেজি ৩৫০ টাকা, থাইল্যান্ডের জাম্বু আম (সবুজ প্রজাতি) প্রতিকেজি ১ হাজার টাকা এবং থাইল্যান্ডের জাম্বু আম (লাল প্রজাতি) ১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে প্রতি একশ পিস বোম্বাই লিচু ৫০০ টাকা, প্রতি একশ পিস কদমি লিচু ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, চায়না লিচু প্রতি একশ পিস ১৪শ টাকা, বেলোয়ারি লিচু প্রতি একশ পিস ৮০০ টাকা এবং হাওয়াই মিঠাই প্রজাতির একশ পিস লিচু ১৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

২৫ বছর ধরে ফলের ব্যবসা করছেন মো. হেলাল মিয়া। ঢাকা পোস্টের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এবছর ফলের দাম ভীষণ চড়া। যেসব ফল ১০০ টাকা কেজিতে গতবছর বিক্রি হয়েছে সে ফল পেতেই এ বছর গুনতে হবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বছর ফলের ফলন কম বলেও দাবি করেন এ ব্যবসায়ী। তবে ভরপুর মৌসুমে ফলের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালেই থাকবেই বলে মনে করেন এ ফল ব্যবসায়ী।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:২৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
১০৪ বার পড়া হয়েছে

সারাদেশে অপরিপক্ব আম-লিচুর বিস্তার

আপডেট সময় ০১:২৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

মৌসুমের শুরুতেই বাজার দখল করেছে আম ও লিচু। বাজারে ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসাপাত, অরুনা, আমরুপালি পরিচিত নানা প্রজাতির আম না থাকলেও মৌসুমের শুরুতেই মিলছে হিমসাগর, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বারিফল এবং কাঠিমনসহ কয়েক প্রজাতির আম। পাশাপাশি উচ্চদামে বিক্রি হচ্ছে থাইল্যান্ডের জাম্বু আম ও কয়েক প্রজাতির লিচুও। তবে দেশীয় আমের দামও আকাশছোঁয়া। প্রতিকেজি দেশীয় প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে।

 

অপরদিকে প্রতি একশ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১৬শ টাকায়। তবে বাজারে এমন চড়া দামে ফল কিনতে একদিকে যেমন ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন তেমনি নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব ফল বাজারে আসায় স্বাদ নিয়েও রয়েছে অভিযোগ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর পুরাতন পল্টন, মতিঝিল এবং এর আশেপাশের ফলের বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, দাম কমলে মানুষ বেশি করে ফল কিনতে পারবে। সবার খাওয়ার চাহিদাও বাড়বে। অন্যসব বছরের তুলনায় লিচুর দাম অনেক বেশি। আমের দামও অনেক বেশি। বিক্রেতারা বলছেন- প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন কমেছে রসালো ফল আম ও লিচুর। ফলে সঙ্গত কারণে একদিকে যেমন বাজারে আম এবং লিচুর সংকট তৈরি হবে তেমনি বিক্রিও হবে চড়া দামে। তবে মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার পর দাম অপেক্ষাকৃত কমবে বলেও দাবি বিক্রেতাদের।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে মৌসুমের শুরুতেই ৬ থেকে ৭ প্রজাতির আম পাওয়া যাচ্ছে। এসব আমের মধ্যে হিমসাগর প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোপালভোগ প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোবিন্দভোগ প্রতিকেজি ১৮০ টাকা, বারিফল প্রতিকেজি ৩০০ টাকা, কাঠিমন প্রতিকেজি ২০০ টাকা, সাতক্ষীরার গোপালভোগ প্রতিকেজি ৩৫০ টাকা, থাইল্যান্ডের জাম্বু আম (সবুজ প্রজাতি) প্রতিকেজি ১ হাজার টাকা এবং থাইল্যান্ডের জাম্বু আম (লাল প্রজাতি) ১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে প্রতি একশ পিস বোম্বাই লিচু ৫০০ টাকা, প্রতি একশ পিস কদমি লিচু ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, চায়না লিচু প্রতি একশ পিস ১৪শ টাকা, বেলোয়ারি লিচু প্রতি একশ পিস ৮০০ টাকা এবং হাওয়াই মিঠাই প্রজাতির একশ পিস লিচু ১৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

২৫ বছর ধরে ফলের ব্যবসা করছেন মো. হেলাল মিয়া। ঢাকা পোস্টের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এবছর ফলের দাম ভীষণ চড়া। যেসব ফল ১০০ টাকা কেজিতে গতবছর বিক্রি হয়েছে সে ফল পেতেই এ বছর গুনতে হবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বছর ফলের ফলন কম বলেও দাবি করেন এ ব্যবসায়ী। তবে ভরপুর মৌসুমে ফলের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালেই থাকবেই বলে মনে করেন এ ফল ব্যবসায়ী।