ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব সংবাদ

সিরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে এ পরোয়ানা জারি করেছেন দুই তদন্তকারী বিচারক।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ, তার ভাই মাহের আল-আসাদ এবং আরও দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ফ্রান্স।

সিরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে গত মঙ্গলবার এ পরোয়ানা জারি করেছেন দুই তদন্তকারী বিচারক। বুধবার বিচারবিভাগীয় একটি সূত্র সিএনএন-কে এ তথ্য জানিয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে বাশার আল আসাদসহ ওই চারজনের বিরুদ্ধে।

সিরিয়ার মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী এবং সিরিয়ান সেন্টার ফর লিগ্যাল স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ এর প্রতিষ্ঠাতা আনোয়া আল-বুন্নি সিএনএন-কে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ‘নজিরবিহীন’।

কোনও দেশের ক্ষমতায় থাকা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জেরে একটি দেশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এমন ঘটনা এটিই প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই পরোয়ানার ফলে আন্তর্জাতিক পুলিশ ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি হতে পারে বলে জার্মানি থেকে সিএনএন-কে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী মাইকেল চামাস। ইন্টারপোলের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তখন এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মেনে চলতে হবে বলে জানান তিনি।

বাশার আল–আসাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সে ২০২১ সালের মার্চে মামলাটি করেছে সিরিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়া অ্যান্ড ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন (এসসিএম), ওপেন সোসাইটি জাস্টিস ইনিশিয়েটিভ (ওএসজিআই) এবং সিরিয়ান আর্কাইভ।

বুধবার মামলার বাদী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০১৩ সালের অগাস্টে সিরিয়ার দুমা শহর এবং ইস্টার্ন ঘৌতা জেলায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নিষিদ্ধ রাসায়নিক হামলার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। ওই হামলায় ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।

বিবৃতিতে জানানো হয়, সিরিয়ার ঘৌতায় ২০১৩ সালের অগাস্টের ওই হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে অপরাধের অভিযোগে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করা হয়।

সিরিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়া অ্যান্ড ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন (এসসিএম) এর আইনজীবী মাজেন ডারউইশ বলেছেন, “সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে জারি হওয়া প্রথম এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সিরিয়ার রাসায়নিক হামলার শিকার ও তাদের পরিবার এবং বেঁচে যাওয়াদের জন্য এক নতুন জয় এবং সিরিয়ায় ন্যায়বিচারের পাশাপাশি স্থায়ী শান্তির পথে একটি ধাপ।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪৩:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
৩১০ বার পড়া হয়েছে

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেট সময় ০৮:৪৩:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

সিরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে এ পরোয়ানা জারি করেছেন দুই তদন্তকারী বিচারক।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ, তার ভাই মাহের আল-আসাদ এবং আরও দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ফ্রান্স।

সিরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে গত মঙ্গলবার এ পরোয়ানা জারি করেছেন দুই তদন্তকারী বিচারক। বুধবার বিচারবিভাগীয় একটি সূত্র সিএনএন-কে এ তথ্য জানিয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে বাশার আল আসাদসহ ওই চারজনের বিরুদ্ধে।

সিরিয়ার মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী এবং সিরিয়ান সেন্টার ফর লিগ্যাল স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ এর প্রতিষ্ঠাতা আনোয়া আল-বুন্নি সিএনএন-কে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ‘নজিরবিহীন’।

কোনও দেশের ক্ষমতায় থাকা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জেরে একটি দেশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এমন ঘটনা এটিই প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই পরোয়ানার ফলে আন্তর্জাতিক পুলিশ ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি হতে পারে বলে জার্মানি থেকে সিএনএন-কে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী মাইকেল চামাস। ইন্টারপোলের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তখন এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মেনে চলতে হবে বলে জানান তিনি।

বাশার আল–আসাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সে ২০২১ সালের মার্চে মামলাটি করেছে সিরিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়া অ্যান্ড ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন (এসসিএম), ওপেন সোসাইটি জাস্টিস ইনিশিয়েটিভ (ওএসজিআই) এবং সিরিয়ান আর্কাইভ।

বুধবার মামলার বাদী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০১৩ সালের অগাস্টে সিরিয়ার দুমা শহর এবং ইস্টার্ন ঘৌতা জেলায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নিষিদ্ধ রাসায়নিক হামলার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। ওই হামলায় ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।

বিবৃতিতে জানানো হয়, সিরিয়ার ঘৌতায় ২০১৩ সালের অগাস্টের ওই হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে অপরাধের অভিযোগে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করা হয়।

সিরিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়া অ্যান্ড ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন (এসসিএম) এর আইনজীবী মাজেন ডারউইশ বলেছেন, “সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে জারি হওয়া প্রথম এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সিরিয়ার রাসায়নিক হামলার শিকার ও তাদের পরিবার এবং বেঁচে যাওয়াদের জন্য এক নতুন জয় এবং সিরিয়ায় ন্যায়বিচারের পাশাপাশি স্থায়ী শান্তির পথে একটি ধাপ।”