ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনে আড়াই হাজার কুইন্টাল মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা

মামুনর রশীদ রাজু, ব্যুরো চিফ (খুলনা)

আজ ভোর থেকেই নৌকা নিয়ে দল বেঁধে মধু আহরণ করতে সুন্দরবন ছুটছেন মৌয়ালরা।

সোমবার (১ এপ্রিল) থেকে মধু আহরণ মৌসুম শুরু হওয়ায় সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলের মৌয়ালরা মধু মহলে প্রবেশ করেছেন। বিভিন্ন ফরেস্ট স্টেশন থেকে অনুমতি নিয়ে বনে প্রবেশ করেছেন তারা। দেশের প্রাকৃতিক মধুর সবচেয়ে বড় উৎস সুন্দরবন থেকে মধু আহরণ মৌসুম চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত।

জানা যায় এ বছর সুন্দরবন পশ্চিম ও পূর্ব বিভাগে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আড়াই হাজার কুইন্টাল। আর মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৫০ কুইন্টাল।

বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৌয়ালরা বনে প্রবেশ করার পর মধু আহরণের জন্য মধু সংগ্রহের সময় মৌমাছি তাড়াতে অগ্নিকুণ্ড, মশাল বা অনুরূপ কোনো দাহ্য পদার্থ এবং রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন না। তাদের জন্য মোট নয়টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা অমান্য করেল তার বিরুদ্ধে বন আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

জানা গেছে, ১৮৬০ সাল থেকে সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করা হয়। বন সংলগ্ন একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বংশ-পরম্পরায় মধু সংগ্রহ করে। এদের মৌয়াল বলা হয়। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে সবচেয়ে বেশি মধু পাওয়া যায়। এখন বনে গরান, বাইন ও খলিশা ফুলের মধু পাওয়া যাবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:২৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
১৯৪ বার পড়া হয়েছে

সুন্দরবনে আড়াই হাজার কুইন্টাল মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা

আপডেট সময় ১১:২৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

আজ ভোর থেকেই নৌকা নিয়ে দল বেঁধে মধু আহরণ করতে সুন্দরবন ছুটছেন মৌয়ালরা।

সোমবার (১ এপ্রিল) থেকে মধু আহরণ মৌসুম শুরু হওয়ায় সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলের মৌয়ালরা মধু মহলে প্রবেশ করেছেন। বিভিন্ন ফরেস্ট স্টেশন থেকে অনুমতি নিয়ে বনে প্রবেশ করেছেন তারা। দেশের প্রাকৃতিক মধুর সবচেয়ে বড় উৎস সুন্দরবন থেকে মধু আহরণ মৌসুম চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত।

জানা যায় এ বছর সুন্দরবন পশ্চিম ও পূর্ব বিভাগে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আড়াই হাজার কুইন্টাল। আর মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৫০ কুইন্টাল।

বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৌয়ালরা বনে প্রবেশ করার পর মধু আহরণের জন্য মধু সংগ্রহের সময় মৌমাছি তাড়াতে অগ্নিকুণ্ড, মশাল বা অনুরূপ কোনো দাহ্য পদার্থ এবং রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন না। তাদের জন্য মোট নয়টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা অমান্য করেল তার বিরুদ্ধে বন আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

জানা গেছে, ১৮৬০ সাল থেকে সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করা হয়। বন সংলগ্ন একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বংশ-পরম্পরায় মধু সংগ্রহ করে। এদের মৌয়াল বলা হয়। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে সবচেয়ে বেশি মধু পাওয়া যায়। এখন বনে গরান, বাইন ও খলিশা ফুলের মধু পাওয়া যাবে।