ঢাকা ০১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুপেয় পানির প্ল্যান্ট ও সততা ফোয়ারা চালুর দাবি; উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

 

ক্লাসরুম সংকট, পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকা, সেশনজট, ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতাসহ বিভিন্ন অসঙ্গতি থাকলেও সততা ফোয়ারা ও সুপেয় পানির প্ল্যান্ট চালু নিয়ে হঠাৎ সরব ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। সুপেয় পানির প্ল্যান্ট ও সৌন্দর্য বর্ধনকারী সততা ফোয়ারা পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচির পরে উপাচার্যের কার্যালয় পর্যন্ত ঘেরাও করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

 

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে প্রশাসন ভবন চত্বরে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে একে একে জড়ো হতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে যেতে চাইলে প্রক্টরিয়াল বডি তাদের বাধা দেয়। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মানববন্ধনকারীরা।

 

এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে, ‘সততা ফোয়ারা পুনরায় চালু চাই, ভিসির দুয়ারে টোকা মারুন, সততা ফোয়ারা চালু করুন’, ‘পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই, শিক্ষার্থীদের থাকার পরিবেশ চাই, নয় ছয় বাদ দিন সততা ফোয়ারায় পানি দিন ইত্যাদি লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

 

আন্দোলনরত মেজবাহ বলেন, কোনো লুকোচুরি হবে না, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুপেয় পানির প্ল্যান্ট চালু করুন। বিশুদ্ধ পানি পান করার ব্যবস্থা করুন। অতি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হব।

 

জেরিন বলেন, প্রশাসনের অবহেলার জন্য সততা ফোয়ারা অকেজো হয়ে আছে। অবস্থা উত্তরণে কয়েকবার প্রশাসনের সাথে দেখা করছি কিন্তু কাজ না হওয়ায় আজকের মানাববন্ধন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

 

ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বনি আমিন বলেন, এটা একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। ক্যাম্পাসে কিছু দূর্নীতিবাজ মানুষ আছে, তাদের দুর করে ক্যাম্পাসে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যারা ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করতে চায় তাদের শক্ত হাতে জবাব দেব।

 

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে যেতে চাইলে প্রক্টরিয়াল বডি তদেরকে বাধা দেন। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মানববন্ধনকারীরা। পরে উপাচার্য কার্যালয়ে না আসায় দাবি আদায়ে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিসহ ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন।

 

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। তাদের দাবির সাথে আমরাও একমত। তাদের দাবির বিষয়টি ইতোমধ্যে প্রধান প্রকৌশলীর নিকট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরাও প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৪১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
৭৮ বার পড়া হয়েছে

সুপেয় পানির প্ল্যান্ট ও সততা ফোয়ারা চালুর দাবি; উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও

আপডেট সময় ০৭:৪১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

ক্লাসরুম সংকট, পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকা, সেশনজট, ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতাসহ বিভিন্ন অসঙ্গতি থাকলেও সততা ফোয়ারা ও সুপেয় পানির প্ল্যান্ট চালু নিয়ে হঠাৎ সরব ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। সুপেয় পানির প্ল্যান্ট ও সৌন্দর্য বর্ধনকারী সততা ফোয়ারা পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচির পরে উপাচার্যের কার্যালয় পর্যন্ত ঘেরাও করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

 

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে প্রশাসন ভবন চত্বরে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে একে একে জড়ো হতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে যেতে চাইলে প্রক্টরিয়াল বডি তাদের বাধা দেয়। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মানববন্ধনকারীরা।

 

এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে, ‘সততা ফোয়ারা পুনরায় চালু চাই, ভিসির দুয়ারে টোকা মারুন, সততা ফোয়ারা চালু করুন’, ‘পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই, শিক্ষার্থীদের থাকার পরিবেশ চাই, নয় ছয় বাদ দিন সততা ফোয়ারায় পানি দিন ইত্যাদি লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

 

আন্দোলনরত মেজবাহ বলেন, কোনো লুকোচুরি হবে না, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুপেয় পানির প্ল্যান্ট চালু করুন। বিশুদ্ধ পানি পান করার ব্যবস্থা করুন। অতি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হব।

 

জেরিন বলেন, প্রশাসনের অবহেলার জন্য সততা ফোয়ারা অকেজো হয়ে আছে। অবস্থা উত্তরণে কয়েকবার প্রশাসনের সাথে দেখা করছি কিন্তু কাজ না হওয়ায় আজকের মানাববন্ধন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

 

ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বনি আমিন বলেন, এটা একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। ক্যাম্পাসে কিছু দূর্নীতিবাজ মানুষ আছে, তাদের দুর করে ক্যাম্পাসে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যারা ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করতে চায় তাদের শক্ত হাতে জবাব দেব।

 

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে যেতে চাইলে প্রক্টরিয়াল বডি তদেরকে বাধা দেন। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মানববন্ধনকারীরা। পরে উপাচার্য কার্যালয়ে না আসায় দাবি আদায়ে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিসহ ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন।

 

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। তাদের দাবির সাথে আমরাও একমত। তাদের দাবির বিষয়টি ইতোমধ্যে প্রধান প্রকৌশলীর নিকট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরাও প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।