ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি দুরুল হুদা, প্রেমিককে খুঁজে বের করল র‍্যাব

আনোয়ার সুলতান, সাভার

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হলো তারই স্বামী দুরুল হুদা। প্রেমিককে সাথে নিয়ে নিজের স্বামী দুরুল হুদাকে হত্যা করেছিল স্ত্রী মেহেরুন্নেসা। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল প্রেমিক। হত্যাকান্ডের প্রায় ২০ দিন পর যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ৪ ও ৫।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব ৪ সিপিসি ২ এর কোম্পানী কমান্ডার লে কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান। এর আগে রবিবার (১০ ডিসেম্বর) নওগাঁ জেলায় অভিযান চালিয়ে মতিউর রহমান মতিনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর রাতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে খাদিজা। পরে প্রেমিককে ঘরে ডেকে নিয়ে দুরুল হুদার হাত পা বেঁধে মুখ কস্টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে প্রেমিক।

গ্রেপ্তারকৃত মতিউর রহমান মতিনের (২৫) গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা থানায়। আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

নিহত দুরুল হুদা (৪২) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার উত্তর ফতেহপুর গ্রামের বাহের আলীর ছেলে। তিনি স্ত্রী মেহেরুন্নেসা ওরফে খাদিজা(২৮)কে নিয়ে আশুলিয়ায় বসবাস করে আসছিলেন ও পেশায় একটি কীটনাশক কারখানার প্যাকিংম্যান হিসেবে কাজ করতেন। গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় আশুলিয়ার পলাশবাড়ি বাতানটেক আলম মিয়ার মালিকানাধীন বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

র‍্যাব জানায়, মেহেরুন্নেসা ও মতিউর রহমান একই পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্বামী দুরুল হুদা এ বিষয় জানতে পারলে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। এ কারণে প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে স্ত্রী খাদিজা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯ নভেম্বর রাতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে খাদিজা। পরে প্রেমিককে ঘরে ডেকে নেয়। পরে দুরুল হুদার হাত পা বেঁধে মুখ কস্টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে প্রেমিক। পরদিন ২০ নভেম্বর কারখানা থেকে দুপুরে বাসায় এসে স্বামীর মরদেহ দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডেকে এনে নাটক সাজায় স্ত্রী। সন্দেহ হওয়ায় পরদিন স্ত্রী খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে র‍্যাবের কাছে সব স্বীকার করে খাদিজা। এরপর থেকে মতিউর রহমান আত্মগোপনে ছিলেন।

আশুলিয়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বলেন, এ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মতিউর রহমান মতিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। পরকীয়ার জেরেই এ হত্যাকান্ড। আমরা আসামীকে নিয়ে র‍্যাব-৫ (রাজশাহী) থেকে আশুলিয়া থানায় ফিরছি। মতিনকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে। এর আগে নিহতের স্ত্রী খাদিজা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
১২১ বার পড়া হয়েছে

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি দুরুল হুদা, প্রেমিককে খুঁজে বের করল র‍্যাব

আপডেট সময় ০৪:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হলো তারই স্বামী দুরুল হুদা। প্রেমিককে সাথে নিয়ে নিজের স্বামী দুরুল হুদাকে হত্যা করেছিল স্ত্রী মেহেরুন্নেসা। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল প্রেমিক। হত্যাকান্ডের প্রায় ২০ দিন পর যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ৪ ও ৫।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব ৪ সিপিসি ২ এর কোম্পানী কমান্ডার লে কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান। এর আগে রবিবার (১০ ডিসেম্বর) নওগাঁ জেলায় অভিযান চালিয়ে মতিউর রহমান মতিনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর রাতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে খাদিজা। পরে প্রেমিককে ঘরে ডেকে নিয়ে দুরুল হুদার হাত পা বেঁধে মুখ কস্টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে প্রেমিক।

গ্রেপ্তারকৃত মতিউর রহমান মতিনের (২৫) গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা থানায়। আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

নিহত দুরুল হুদা (৪২) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার উত্তর ফতেহপুর গ্রামের বাহের আলীর ছেলে। তিনি স্ত্রী মেহেরুন্নেসা ওরফে খাদিজা(২৮)কে নিয়ে আশুলিয়ায় বসবাস করে আসছিলেন ও পেশায় একটি কীটনাশক কারখানার প্যাকিংম্যান হিসেবে কাজ করতেন। গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় আশুলিয়ার পলাশবাড়ি বাতানটেক আলম মিয়ার মালিকানাধীন বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

র‍্যাব জানায়, মেহেরুন্নেসা ও মতিউর রহমান একই পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্বামী দুরুল হুদা এ বিষয় জানতে পারলে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। এ কারণে প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে স্ত্রী খাদিজা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯ নভেম্বর রাতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে খাদিজা। পরে প্রেমিককে ঘরে ডেকে নেয়। পরে দুরুল হুদার হাত পা বেঁধে মুখ কস্টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে প্রেমিক। পরদিন ২০ নভেম্বর কারখানা থেকে দুপুরে বাসায় এসে স্বামীর মরদেহ দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডেকে এনে নাটক সাজায় স্ত্রী। সন্দেহ হওয়ায় পরদিন স্ত্রী খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে র‍্যাবের কাছে সব স্বীকার করে খাদিজা। এরপর থেকে মতিউর রহমান আত্মগোপনে ছিলেন।

আশুলিয়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বলেন, এ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মতিউর রহমান মতিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। পরকীয়ার জেরেই এ হত্যাকান্ড। আমরা আসামীকে নিয়ে র‍্যাব-৫ (রাজশাহী) থেকে আশুলিয়া থানায় ফিরছি। মতিনকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে। এর আগে নিহতের স্ত্রী খাদিজা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।