ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হল ছাড়বেন না ঢাবি শিক্ষার্থীরা, টিএসসিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

নিজস্ব সংবাদ

 

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের গেট থেকে বেরিয়ে টিএসসি পর্যন্ত আসে। সেখানে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন।

সাউন্ড গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা ভিসি চত্বর, মল চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে টিএসসিতে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে শিক্ষার্থীরা এমন নির্দেশনা মানতে নারাজ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সার্জিস আলম বলেন,  দেশে কোনো মহাদুর্যোগ বা এ রকম কিছু চলছে না। শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। হল ছাড়তে শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়ার মানে হলো আন্দোলন নষ্ট করা। আমরা এমন সিদ্ধান্ত মানব না। আমরা হল ছাড়ব না। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।

গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে ৬ শিক্ষার্থী নিহত হন। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হলগুলো থেকে ছাত্রলীগের নেত্রীদের বের করে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকালে ছেলেদের বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও শাখা নেতাকর্মীদের কক্ষে ভাঙচুর চালানোসহ তাদের জিনিসপত্র পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন, দফায় দফায় সংঘর্ষের পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ার বিষয়ে নির্দেশনা দিতে উপাচার্যদের চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এ প্রেক্ষাপটে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়। সেই সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
১১০ বার পড়া হয়েছে

হল ছাড়বেন না ঢাবি শিক্ষার্থীরা, টিএসসিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

আপডেট সময় ০২:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

 

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের গেট থেকে বেরিয়ে টিএসসি পর্যন্ত আসে। সেখানে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন।

সাউন্ড গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা ভিসি চত্বর, মল চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে টিএসসিতে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে শিক্ষার্থীরা এমন নির্দেশনা মানতে নারাজ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সার্জিস আলম বলেন,  দেশে কোনো মহাদুর্যোগ বা এ রকম কিছু চলছে না। শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। হল ছাড়তে শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়ার মানে হলো আন্দোলন নষ্ট করা। আমরা এমন সিদ্ধান্ত মানব না। আমরা হল ছাড়ব না। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।

গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে ৬ শিক্ষার্থী নিহত হন। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হলগুলো থেকে ছাত্রলীগের নেত্রীদের বের করে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকালে ছেলেদের বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও শাখা নেতাকর্মীদের কক্ষে ভাঙচুর চালানোসহ তাদের জিনিসপত্র পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন, দফায় দফায় সংঘর্ষের পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ার বিষয়ে নির্দেশনা দিতে উপাচার্যদের চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এ প্রেক্ষাপটে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়। সেই সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।