ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্ট করেও থামছে না ইবির র‍্যাগিং

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

শত চেষ্টাতেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) থামানো যাচ্ছে না র‍্যাগিংয়ের মতো ন্যাক্কারজনক ও অপরাধমূলক ঘটনা। একের পর এক র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় আতঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীরা, সেই সাথে র‍্যাগিং থামাতে না পেরে বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গেল বছরের ইবির র‍্যাগিংয়ের ঘটনা হাইকোর্ট অব্দি গড়ানোর পরে হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে র‍্যাগিংসহ এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে ৬টি নির্দেশনা দিলেও ইবিতে র‍্যাগিং যেন থামছেই না।

র‍্যাগিং বন্ধে প্রতি বছর ইবিতে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা দিয়ে সচেতনতামূলক মাইকিং করে প্রশাসন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগগুলোতে র‍্যাগিং একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, ক্যাম্পাসে র‍্যাগিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ জানিয়ে প্রক্টর অফিস থেকে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু র‍্যাগিং বন্ধে প্রশাসনের শত চেষ্টার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন র‍্যাগিং থামছেই না।

খোজ নিয়ে জানা যায়, দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় ইবিতেও অনেক আগে থেকেই সিনিয়র-জুনিয়র বন্ডিং এবং নবীন শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের আদব-কায়দা শেখানোর প্রথা ছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি পরিচয় পর্ব শেখানোর গন্ডি পেরিয়ে র‍্যাগিংয়ে পরিণত হয় যা ক্রমাগত ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। ইবিতে র‍্যাগিংয়ের ভয়াবহতা প্রথম সম্মুখে আসে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ফুলপরী নামক এক শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে রাতভর র‍্যাগিংয়ের মধ্যে দিয়ে। পরে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সহসভাপতিসহ পাঁচ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়েন অভিযুক্তরা। হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনও।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ্ হলের গণরুমে আবারো এক নবীন শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে দুই সিনিয়রের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাগর লালন শাহ হলের ১১৬ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। তবে জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা বিষয়টি ঘরোয়াভাবে সমাধান করায় প্রশাসনের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

এরও আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমান তারই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে রাগিংয়ের অভিযোগ করেন। ঘটনায় বর্ণনায় ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, জিমনেশিয়ামের পাশে তাকে এমন সময় রাগিং করা হচ্ছিল যখন পাশেই সে র‍্যাগিং বিরোধী মাইকিং শুনতে পাচ্ছিল। পরদিন ব্যবসার প্রশাসন অনুসূদের ডিমকে আহ্বায়ক করে কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করে প্রশাসন।

তবে ইবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ সর্বপ্রথম জনসম্মুখে আসে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সমাজকল্যাণ বিভাগের তিন ছাত্রীকে র‍্যাগ দেওয়ার ঘটনায়। এসময় একই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কেন র‍্যাগিং থামানো যাচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, “র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ১ম বর্ষের ক্লাস শুরুর আগের দিনেই সাংবাদিক ফোরামসমূহে চিঠি দেয়া হয়েছিল এবং প্রায় ২০ টা পত্রিকায় র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে উল্লেখ করে নিউজ হয়েছিল। ক্যাম্পাসে নতুন ব্যাচ পা রাখার সাথে সাথেই মাইকিংয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। এছাড়াও বিভাগের সভাপতি, ডিন, প্রভোস্টদের কাছে প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে।বিলবোর্ডে র‍্যাগিংবিরোধী প্রচার রয়েছে। একাধিক র‍্যালি করা হয়েছে। এরপরেও শিক্ষার্থীরা কেন এরকম র‍্যাগিং কান্ডে জড়াচ্ছে আমি বুঝে উঠতে পারছি না।

তিনি আরো বলেন, র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে তদন্ত কমিটি হয়েছে। আমি বিভাগীয় সভাপতি, ইবি থানার ওসিকে ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি। সহকারী প্রক্টরকে সার্বক্ষণিক দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছি। তাছাড়া, হল প্রভোস্টরাও ভুক্তভোগীদের সিট দিয়েছেন। আমার মনে হয়, চেষ্টার কোনও ত্রুটি করা হয় নাই। তবুও, এসব ঠেকানো দূরহ হয়ে উঠছে। তবে আমি আশাবাদি, সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় একদিন র‍্যাগিং বন্ধ হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, র‍্যাগিং একটি শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ। যারা র‍্যাগিংয়ের মতো জঘন্য কাজ করে তারা সাধারণত নৈতিকতার অভাবেই করে। র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা প্রথম থেকেই জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। কেউ যদি এর সাথে জড়িত থাকে, সে যেই হোক না কেন মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
১৭২ বার পড়া হয়েছে

হাইকোর্ট করেও থামছে না ইবির র‍্যাগিং

আপডেট সময় ০২:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

শত চেষ্টাতেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) থামানো যাচ্ছে না র‍্যাগিংয়ের মতো ন্যাক্কারজনক ও অপরাধমূলক ঘটনা। একের পর এক র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় আতঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীরা, সেই সাথে র‍্যাগিং থামাতে না পেরে বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গেল বছরের ইবির র‍্যাগিংয়ের ঘটনা হাইকোর্ট অব্দি গড়ানোর পরে হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে র‍্যাগিংসহ এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে ৬টি নির্দেশনা দিলেও ইবিতে র‍্যাগিং যেন থামছেই না।

র‍্যাগিং বন্ধে প্রতি বছর ইবিতে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা দিয়ে সচেতনতামূলক মাইকিং করে প্রশাসন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগগুলোতে র‍্যাগিং একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, ক্যাম্পাসে র‍্যাগিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ জানিয়ে প্রক্টর অফিস থেকে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু র‍্যাগিং বন্ধে প্রশাসনের শত চেষ্টার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন র‍্যাগিং থামছেই না।

খোজ নিয়ে জানা যায়, দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় ইবিতেও অনেক আগে থেকেই সিনিয়র-জুনিয়র বন্ডিং এবং নবীন শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের আদব-কায়দা শেখানোর প্রথা ছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি পরিচয় পর্ব শেখানোর গন্ডি পেরিয়ে র‍্যাগিংয়ে পরিণত হয় যা ক্রমাগত ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। ইবিতে র‍্যাগিংয়ের ভয়াবহতা প্রথম সম্মুখে আসে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ফুলপরী নামক এক শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে রাতভর র‍্যাগিংয়ের মধ্যে দিয়ে। পরে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সহসভাপতিসহ পাঁচ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়েন অভিযুক্তরা। হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনও।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ্ হলের গণরুমে আবারো এক নবীন শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে দুই সিনিয়রের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাগর লালন শাহ হলের ১১৬ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। তবে জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা বিষয়টি ঘরোয়াভাবে সমাধান করায় প্রশাসনের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

এরও আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমান তারই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে রাগিংয়ের অভিযোগ করেন। ঘটনায় বর্ণনায় ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, জিমনেশিয়ামের পাশে তাকে এমন সময় রাগিং করা হচ্ছিল যখন পাশেই সে র‍্যাগিং বিরোধী মাইকিং শুনতে পাচ্ছিল। পরদিন ব্যবসার প্রশাসন অনুসূদের ডিমকে আহ্বায়ক করে কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করে প্রশাসন।

তবে ইবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ সর্বপ্রথম জনসম্মুখে আসে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সমাজকল্যাণ বিভাগের তিন ছাত্রীকে র‍্যাগ দেওয়ার ঘটনায়। এসময় একই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কেন র‍্যাগিং থামানো যাচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, “র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ১ম বর্ষের ক্লাস শুরুর আগের দিনেই সাংবাদিক ফোরামসমূহে চিঠি দেয়া হয়েছিল এবং প্রায় ২০ টা পত্রিকায় র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে উল্লেখ করে নিউজ হয়েছিল। ক্যাম্পাসে নতুন ব্যাচ পা রাখার সাথে সাথেই মাইকিংয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। এছাড়াও বিভাগের সভাপতি, ডিন, প্রভোস্টদের কাছে প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে।বিলবোর্ডে র‍্যাগিংবিরোধী প্রচার রয়েছে। একাধিক র‍্যালি করা হয়েছে। এরপরেও শিক্ষার্থীরা কেন এরকম র‍্যাগিং কান্ডে জড়াচ্ছে আমি বুঝে উঠতে পারছি না।

তিনি আরো বলেন, র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে তদন্ত কমিটি হয়েছে। আমি বিভাগীয় সভাপতি, ইবি থানার ওসিকে ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি। সহকারী প্রক্টরকে সার্বক্ষণিক দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছি। তাছাড়া, হল প্রভোস্টরাও ভুক্তভোগীদের সিট দিয়েছেন। আমার মনে হয়, চেষ্টার কোনও ত্রুটি করা হয় নাই। তবুও, এসব ঠেকানো দূরহ হয়ে উঠছে। তবে আমি আশাবাদি, সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় একদিন র‍্যাগিং বন্ধ হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, র‍্যাগিং একটি শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ। যারা র‍্যাগিংয়ের মতো জঘন্য কাজ করে তারা সাধারণত নৈতিকতার অভাবেই করে। র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা প্রথম থেকেই জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। কেউ যদি এর সাথে জড়িত থাকে, সে যেই হোক না কেন মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবো।