হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসের বিরুদ্ধে ২ মাস পর মামলা সিটি করপোরেশনে
নারায়ণগঞ্জ শেখ রাসেল পার্কের অভ্যন্তরে অবস্থিত পার্ক ল্যান্ডের সামনে এসএসসি ৯৫ ব্যাচের আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনার প্রায় ২ মাস পরে মামলা দায়ের করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
এতে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান ও দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার বাসিন্দা নাঈম মুন্সীকে। এছাড়াও মামলায় আরো একশ থেকে দেড়শ জন অজ্ঞাতনামা উচ্ছৃঙ্খল যুবককে আসামী করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি হামলার ঘটনা ঘটলেও গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ১নং আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় স্বাক্ষী করা হয়েছে পার্ক ল্যান্ড রেষ্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী আব্দুল সাদিক আল আমিন, সোনালী ব্যাংক পিএলসি নিতাইগঞ্জ শাখার ম্যানেজার (পিও) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, দেওভোগ ডিপি রোড এলাকার বাসিন্দা মাসুদুর রহমানকে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারী শেখ রাসেল পার্কের অভ্যন্তরে পার্ক ল্যান্ডের সামনে এসএসসি ৯৫ ব্যাচের গ্রুপের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল এবং পার্কের মাঠে সোনালী ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ এর প্রিন্সিপাল অফিসার বার্ষিক ক্রীড়া এবং চারুকলা ইন্সটিটিউটের বসন্ত বরন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল।
ওই সময় গান বাজানোর অজুহাত তুলে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানের পরিকল্পনা, নির্দেশ ও সহযোগিতায় এবং নাঈম মুন্সীর নেতৃত্বে ডিআইটি রেলওয়ে জামে মসজিদের ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা উচ্ছৃঙ্খল যুবক সংঘবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে শেখ রাসেল পার্কে বেআইনী জনতাবদ্ধ হয়ে এবং বেআইনীভাবে অনুপ্রবেশ করে বর্ণিত আসামীগণ সোনালী ব্যাংক এর সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ইউনাইটেড ৯৫ সদস্যদের নারী ও শিশুদের লাঞ্ছিত করে।
সাউন্ড সিস্টেম পরিচালনাকারীকে চর থাপ্পড় ও ডাসা দ্বারা পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে। ওই সময় আসামীগণ ২ লাখ টাকা মূল্যের একটি জায়ান্ট স্ক্রীন ভেঙ্গে ফেলে।
কীবোর্ড, চারুকলার ভেতরে থাকা আলনা, ফ্রেম ও দুই শতাধিক চেয়ার, পার্ক ল্যান্ডের গ্লাস ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে যার আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকা।
আসামিরা র্যাফেল ড্রয়ের আনুমানিক ৩ লাখ টাকার জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়।