ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৮ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ পালনের দাবি

মইনুল ইসলাম রাজু, রাবি
১৮ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালনের দাবি জানিয়েছেন শহীদ শামসুজ্জোহা ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্সেস, রাজশাহী।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ ড. শামসুজ্জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এ দাবি জানান ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা মো. হেলাল উদ্দিন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা হেলাল উদ্দিন বলেন, শহীদ ড. শামসুজ্জোহা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী। পাকিস্তান সামরিক জান্তা সরকার কর্তৃক ড. শহীদ শামসুজ্জোহা স্যারের হত্যাকাণ্ডের ফলে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান ব্যাপী সামরিক সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়। এই আন্দোলনের তীব্রতা দেখে পাকিস্তান সামরিক সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলার অন্যতম আসামি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ফলশ্রুতিতে পূর্ব পাকিস্তান ব্যাপী সামরিক সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার হয় এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের পথকে ত্বরান্বিত করে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬৯ সালে জোহা স্যারের হত্যাকাণ্ডের পর ৫৫ বছর পেরিয়ে গেছে। তবুও বাংলাদেশ সরকার এই দিনটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেননি। প্রতিবছর ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এই দিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই দিনটিকে ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানানো হলেও আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোন স্বীকৃতি প্রদান করা হয়নি। আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করছি যাতে জোহা স্যারের আত্মত্যাগ স্মরণীয় করে রাখতে আজকের দিনকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় শোক র‍্যালী এবং ড. জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় শহীদ শামসুজ্জোহা ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্সেস এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
১৩৪ বার পড়া হয়েছে

১৮ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ পালনের দাবি

আপডেট সময় ০৮:৪৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
১৮ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালনের দাবি জানিয়েছেন শহীদ শামসুজ্জোহা ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্সেস, রাজশাহী।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ ড. শামসুজ্জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এ দাবি জানান ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা মো. হেলাল উদ্দিন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা হেলাল উদ্দিন বলেন, শহীদ ড. শামসুজ্জোহা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী। পাকিস্তান সামরিক জান্তা সরকার কর্তৃক ড. শহীদ শামসুজ্জোহা স্যারের হত্যাকাণ্ডের ফলে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান ব্যাপী সামরিক সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়। এই আন্দোলনের তীব্রতা দেখে পাকিস্তান সামরিক সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলার অন্যতম আসামি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ফলশ্রুতিতে পূর্ব পাকিস্তান ব্যাপী সামরিক সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার হয় এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের পথকে ত্বরান্বিত করে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬৯ সালে জোহা স্যারের হত্যাকাণ্ডের পর ৫৫ বছর পেরিয়ে গেছে। তবুও বাংলাদেশ সরকার এই দিনটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেননি। প্রতিবছর ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এই দিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই দিনটিকে ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানানো হলেও আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোন স্বীকৃতি প্রদান করা হয়নি। আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করছি যাতে জোহা স্যারের আত্মত্যাগ স্মরণীয় করে রাখতে আজকের দিনকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় শোক র‍্যালী এবং ড. জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় শহীদ শামসুজ্জোহা ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্সেস এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।