ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৯ হাজার ১১৫ কেজি ধান বীজ গোপালগঞ্জসহ ৩ জেলায় বিতরণ

দেশবার্তা ২৪ নিউজ, ডেস্ক নিউজ :

 

গোপালগঞ্জসহ ৩ জেলায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনামূল্যে ৯ হাজার ১১৫ কেজি ধান বীজ বিতরণ করেছে।

এ বীজ দিয়ে ৩ জেলার ৮০০ কৃষক ৮০০টি প্রদর্শনী প্লটে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত উফশী ও হাইব্রিড ধানের চাষাবাদ করবেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়  গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ব্রি উদ্ভাবিত উফশী এবং হাইব্রিড ধানের জাত কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় করতে কাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বোরো মৌসুমে আমরা ৩ জেলায় উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান৯২, ব্রি ধান৯৬, ব্রি ধান৯৭, ব্রি ধান৯৯, বঙ্গবন্ধু ধান১০০, ব্রি ধান১০১, ব্রি ধান১০২, ব্রি ধান১০৪, ব্রি ধান১০৫ জাতের ধান বীজ ৬ হাজার ৪৬৫ কেজি বিনামূল্যে বিতরণ করেছি। এছাড়া ব্রি হাইব্রিড ধান১০৩, ব্রি হাইব্রিড ধান১০৫ ও ব্রি হাইব্রিড ধান১০৮ জাতের ২ হাজার ৬৫০ কেজি বিতরণ করেছি। এসব ধান দিয়ে কৃষক বীজতলা তৈরী করেছে। তারা ৮০০ বিঘা জমিতে এ ধানের প্রদশর্নী প্লট করে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন। এতে দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৃজন চন্দ্র দাস বলেন, গত ৫ বছর ধরে আমরা গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলায় ব্রি উদ্ভাবিত উফশী এবং হাইব্রিড ধানের জাত কৃষকদের চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করে আসছি। কৃষক আমাদের কাছ থেকে বীজ, পরামর্শ, প্রশিক্ষণ  ও অন্যান্য সহযোগিতা নিয়ে ধান উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। এতে তারা লাভবান হচ্ছেন। প্রতি বছরই ৩ জেলার কৃষকদের কাছে ব্রি উদ্ভাবিত উফশী এবং হাইব্রিড ধানের জাতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আরজ আলী বলেন, আমি গত ৪ বছর ধরে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ধান আবাদ করছি। আগে ধান আবাদ করে লাভের মুখ দেখতাম না। এখন ব্রি উদ্ভাবিত ধানের চাষাবাদ করে আমি লাভ করতে পারছি ।  গত আমন মৌসুমে ব্রি ধান১০৩ আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছি। ব্রি আমাদের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। এতে একদিকে যেমন ফসলের উৎপাদন বাড়ছে, তেমনি আমরা লাভবান হতে পারছি । দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ গ্রামের কৃষক আলী আশরাফ বলেন, ধান গবেষণার বীজের মান সর্বোৎকৃষ্ট । তাদের পরামর্শে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড ধানের চাষাবাদ করে বোরো ও আমন মৌসুমে অধিক ধানের ফলন পেয়ে লাভবান হয়েছি। চলতি বোরো মৌসুমেও আমি ব্রি উদ্ভাবিত উপশী জাতের ধান ১০ বিঘা জমিতে আবাদ করব। কিছু ধান কৃষি গবেষণা থেকে বিনামূল্যে পেয়েছি। বাদবাকী ধান বীজ আমি গত বছর সংরক্ষণ করেছিলাম।  ইতিমধ্যে বীজতলা তৈরী করেছি। এখন জমি থেকে আগাছ সরিয়ে ফেলছি। এরপর জমি চাষ দিয়ে ধান রোপণ করে দেব।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৩১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
১১৭ বার পড়া হয়েছে

৯ হাজার ১১৫ কেজি ধান বীজ গোপালগঞ্জসহ ৩ জেলায় বিতরণ

আপডেট সময় ০৫:৩১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

 

গোপালগঞ্জসহ ৩ জেলায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনামূল্যে ৯ হাজার ১১৫ কেজি ধান বীজ বিতরণ করেছে।

এ বীজ দিয়ে ৩ জেলার ৮০০ কৃষক ৮০০টি প্রদর্শনী প্লটে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত উফশী ও হাইব্রিড ধানের চাষাবাদ করবেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়  গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ব্রি উদ্ভাবিত উফশী এবং হাইব্রিড ধানের জাত কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় করতে কাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বোরো মৌসুমে আমরা ৩ জেলায় উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান৯২, ব্রি ধান৯৬, ব্রি ধান৯৭, ব্রি ধান৯৯, বঙ্গবন্ধু ধান১০০, ব্রি ধান১০১, ব্রি ধান১০২, ব্রি ধান১০৪, ব্রি ধান১০৫ জাতের ধান বীজ ৬ হাজার ৪৬৫ কেজি বিনামূল্যে বিতরণ করেছি। এছাড়া ব্রি হাইব্রিড ধান১০৩, ব্রি হাইব্রিড ধান১০৫ ও ব্রি হাইব্রিড ধান১০৮ জাতের ২ হাজার ৬৫০ কেজি বিতরণ করেছি। এসব ধান দিয়ে কৃষক বীজতলা তৈরী করেছে। তারা ৮০০ বিঘা জমিতে এ ধানের প্রদশর্নী প্লট করে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন। এতে দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৃজন চন্দ্র দাস বলেন, গত ৫ বছর ধরে আমরা গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলায় ব্রি উদ্ভাবিত উফশী এবং হাইব্রিড ধানের জাত কৃষকদের চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করে আসছি। কৃষক আমাদের কাছ থেকে বীজ, পরামর্শ, প্রশিক্ষণ  ও অন্যান্য সহযোগিতা নিয়ে ধান উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। এতে তারা লাভবান হচ্ছেন। প্রতি বছরই ৩ জেলার কৃষকদের কাছে ব্রি উদ্ভাবিত উফশী এবং হাইব্রিড ধানের জাতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আরজ আলী বলেন, আমি গত ৪ বছর ধরে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ধান আবাদ করছি। আগে ধান আবাদ করে লাভের মুখ দেখতাম না। এখন ব্রি উদ্ভাবিত ধানের চাষাবাদ করে আমি লাভ করতে পারছি ।  গত আমন মৌসুমে ব্রি ধান১০৩ আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছি। ব্রি আমাদের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। এতে একদিকে যেমন ফসলের উৎপাদন বাড়ছে, তেমনি আমরা লাভবান হতে পারছি । দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ গ্রামের কৃষক আলী আশরাফ বলেন, ধান গবেষণার বীজের মান সর্বোৎকৃষ্ট । তাদের পরামর্শে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড ধানের চাষাবাদ করে বোরো ও আমন মৌসুমে অধিক ধানের ফলন পেয়ে লাভবান হয়েছি। চলতি বোরো মৌসুমেও আমি ব্রি উদ্ভাবিত উপশী জাতের ধান ১০ বিঘা জমিতে আবাদ করব। কিছু ধান কৃষি গবেষণা থেকে বিনামূল্যে পেয়েছি। বাদবাকী ধান বীজ আমি গত বছর সংরক্ষণ করেছিলাম।  ইতিমধ্যে বীজতলা তৈরী করেছি। এখন জমি থেকে আগাছ সরিয়ে ফেলছি। এরপর জমি চাষ দিয়ে ধান রোপণ করে দেব।