আচরণবিধি লঙ্ঘন: শোকজের জবাব দিলেন ব্যারিস্টার সুমন
হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সশরীরে হবিগঞ্জ আদালতে জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ সবুজ পালের কাছে শোকজের লিখিত জবাব দেন।
চুনারুঘাট উপজেলার জনাকীর্ণ বাজারে প্রচারে গিয়ে রাস্তা বন্ধ করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন করার অভিযোগে তাকে সোমবার নোটিশ দেন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ সদর আদালতের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ সবুজ পাল।
শোকজের জবাব দেওয়ার পর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এর সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত না। আমার সেখানে কোনো প্রোগ্রামও ছিল না। আমি জবাবে এটাও বলেছি- যেহেতু আমি আইনের মানুষ, আমি খেয়াল রাখি যেন কোনো বিধি লঙ্ঘন না হয়।”
তার উত্তরে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি সন্তুষ্ট হয়েছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি আমার উত্তর দিয়েছি। কমিটি সন্তুষ্ট হয়েছে কি-না, তা পরে জানা যাবে।”
অভিযোগ সম্পর্কে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, “একটি রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও পুলিশকে না জানানোর জন্য আমাকে শোকজ করা হয়। আমার তো সেখানে কোনো অনুষ্ঠানই ছিল না যে পুলিশকে জানাব। আমার যদি কোনো প্রচার ব্যানার থাকত বা এখানে আগে থেকে প্রোগ্রাম করার কোনো লিফলেট থাকত, তাহলে তো পুলিশকে ইনফর্ম করার বিষয়টা আসত। আমি আসলে ওইদিকে যাচ্ছিলাম।”
এর আগে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির দেওয়া পত্রে বলা হয়, ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আসামপাড়া বাজারে এক নির্বাচনি জনসভা করেন সুমন।
প্রথমত, স্থানটি একটি জনাকীর্ণ বাজার। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনী সমাবেশের জন্য বাজারের তিন রাস্তার মোড়সহ বাজারের ওপর দিয়ে চলাচলকারী প্রধান তিনটি সড়ক বন্ধ করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়। তৃতীয়ত, উক্ত নির্বাচনি সমাবেশের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়নি।
ফলে, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি- ০৬ (খ, গ, ঘ) ভঙ্গ করা হয়েছে বলে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সুমনকে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।