ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবিতে খাবারের মানোন্নয়নে ডাইনিং ম্যানেজারদের সাথে মতবিনিময় সভা

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

 

 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে হলের ডাইনিংয়ের পরিবেশ সুন্দর ও খাবার মানোন্নয়নে প্রতিটি আবাসিক হলের ডাইনিং ম্যানেজারদের সাথে উন্মুক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের ডাইনিংয়ে হল ম্যানেজারদের সাথে এই উন্মুক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সাদ্দাম হোসেন হল, লালন শাহ হল, শেখ রাসেল হল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, বেগম খালেদা জিয়া হলের ডাইনিং ম্যানেজারদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াসিরুল কবীর, গোলাম রাব্বানীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ, ইবি শাখার নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে হলের খাবার মান এবং পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন এবং ম্যানেজারদের কাছে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এসময় ম্যানেজারেরা দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, ভর্তুকির অভাব, প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা না পাওয়া, বাকী খেয়ে টাকা না দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করেন।

এসময় লালন শাহ হল ডাইনিং ম্যানেজার সাবু মিয়া বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা হলেই ভর্তুকি দেওয়া হয় হলের প্রতি সিট হিসেবে ১০০ টাকা। এই টাকা দিয়ে শিক্ষার্থীরা যে মানের খাবার চায় তা দেওয়া সম্ভব না। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও ভর্তুকি বাড়ে নাই। আবার, প্রভাবশালী অনেকেই বাকী খেয়ে টাকা দেয় নাই। যে দামে বিক্রি করি আমরা তাতে নিজেদের সংসার চালানোও কষ্টকর।

শেখ হাসিনা হলের ডাইনিং ম্যানেজার বলেন, আমাদের খাবার সরবারাহ করার জন্য যেসব সরঞ্জাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দিয়েছিলো তার অনেকাংশ নষ্ট বা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে আছে। অফিসে নতুন মালামাল থাকলেও আমাদের তা দেয়া হচ্ছে না ব্যবহার করার জন্য। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ সেটা আমরা পুরোপুরি পাচ্ছিও না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা প্রশাসনের কেউ না। ডাইনিং ম্যানেজার এবং শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে প্রশাসনের সাথে কথা বলে বিষয়গুলো সমাধান করবো। তবে খাবারের মানোন্নয়নে ডাইনিং ম্যানেজারদের সদিচ্ছা থাকতে হবে। ডাইনিং ম্যানেজারদের উদ্দেশ্যে বলবো আপনারা খাবারের মান ও পরিবেশনের সুন্দর পরিবেশের দিকে নজর দিবেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও নিজ নিজ অধিকার ও কর্তব্যের দিকে সচেতন থাকতে হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
১৩৬ বার পড়া হয়েছে

ইবিতে খাবারের মানোন্নয়নে ডাইনিং ম্যানেজারদের সাথে মতবিনিময় সভা

আপডেট সময় ০১:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

 

 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে হলের ডাইনিংয়ের পরিবেশ সুন্দর ও খাবার মানোন্নয়নে প্রতিটি আবাসিক হলের ডাইনিং ম্যানেজারদের সাথে উন্মুক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের ডাইনিংয়ে হল ম্যানেজারদের সাথে এই উন্মুক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সাদ্দাম হোসেন হল, লালন শাহ হল, শেখ রাসেল হল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, বেগম খালেদা জিয়া হলের ডাইনিং ম্যানেজারদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াসিরুল কবীর, গোলাম রাব্বানীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ, ইবি শাখার নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে হলের খাবার মান এবং পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন এবং ম্যানেজারদের কাছে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এসময় ম্যানেজারেরা দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, ভর্তুকির অভাব, প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা না পাওয়া, বাকী খেয়ে টাকা না দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করেন।

এসময় লালন শাহ হল ডাইনিং ম্যানেজার সাবু মিয়া বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা হলেই ভর্তুকি দেওয়া হয় হলের প্রতি সিট হিসেবে ১০০ টাকা। এই টাকা দিয়ে শিক্ষার্থীরা যে মানের খাবার চায় তা দেওয়া সম্ভব না। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও ভর্তুকি বাড়ে নাই। আবার, প্রভাবশালী অনেকেই বাকী খেয়ে টাকা দেয় নাই। যে দামে বিক্রি করি আমরা তাতে নিজেদের সংসার চালানোও কষ্টকর।

শেখ হাসিনা হলের ডাইনিং ম্যানেজার বলেন, আমাদের খাবার সরবারাহ করার জন্য যেসব সরঞ্জাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দিয়েছিলো তার অনেকাংশ নষ্ট বা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে আছে। অফিসে নতুন মালামাল থাকলেও আমাদের তা দেয়া হচ্ছে না ব্যবহার করার জন্য। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ সেটা আমরা পুরোপুরি পাচ্ছিও না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা প্রশাসনের কেউ না। ডাইনিং ম্যানেজার এবং শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে প্রশাসনের সাথে কথা বলে বিষয়গুলো সমাধান করবো। তবে খাবারের মানোন্নয়নে ডাইনিং ম্যানেজারদের সদিচ্ছা থাকতে হবে। ডাইনিং ম্যানেজারদের উদ্দেশ্যে বলবো আপনারা খাবারের মান ও পরিবেশনের সুন্দর পরিবেশের দিকে নজর দিবেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও নিজ নিজ অধিকার ও কর্তব্যের দিকে সচেতন থাকতে হবে।