ইবিতে ‘জুলাইয়ের দিনগুলো’ নামক স্মৃতিচারণ মূলক সভা
শিক্ষার্থীদের রক্তে রঞ্জিত জুলাই মাসের স্মরণে ‘জুলাইয়ের দিনগুলো’ নামক স্মৃতিচারণমূলক সভা করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আন্দোলনে ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইটের সভাপতিত্বে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তানভীর মন্ডলের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দা’ওয়াহ অ্যান্ড ইসয়ালামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাঃ কামরুজ্জামান সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা রক্তাক্ত জুলাইয়ের পর অর্জিত স্বাধীনতা নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে বলেন, এই বিজয় অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার ফলে অর্জিত হয়েছে। আমাদের অগণিত ভাই বোনদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। কোন প্রকার অপশক্তি যেন নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেদিকে সচেতন থেকে সাম্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই বিজয় অর্জনে যারা মাঠে ছিলাম তাদের পাশাপাশি বাসায় থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা করে যারা সহায়তা করেছে তাদের অবদানও সমান ছিলো। সবাইকে একসাথে যোগ করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দা’ওয়াহ অ্যান্ড ইসয়ালামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাঃ কামরুজ্জামান বলেন, অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই তোমরা যা দেখিয়েছো তা অভূতপূর্ব ছিলো। বাংলার দামাল ছেলেরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কারফিউ ভেঙে রাজপথে থেকে দেশ স্বাধীন করেছিলো। যখন তোমরা কারফিউ ভেঙে রাজপথে নেমেছিলে তখন আমি আশাবাদী ছিলাম তোমরা এ যাত্রায় বিজয়ী হবেই। অবশেষে তোমরা এই জেনারেশন তোমাদের অধিকার এবং বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছো। আমরা তোমাদের জেনারেশনের না হতে পারায় আফসোস হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, যেকোন ব্যাপারে ভবিষ্যতে আমরা সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবো। আন্দোলন পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রচুর গুজব ছড়াচ্ছে। দয়া করে কেও গুজব ছড়াবেন না। এই ছাত্র আন্দোলনে কাদের কি অবদান তা আমি সম্যক অবগত৷ ইবির ১৪-১৫ সেশন থেকে ২২-২৩ পর্যন্ত সবার সাথেই আমার পরিচয় আছে, তারা জানে আমি সবার মতকে শ্রদ্ধা করি৷ কিন্তু শ্রদ্ধাশীলতাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল হবে। যারা গুজব ছড়াচ্ছেন তারা বন্ধ না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।