ইবিতে বসন্ত বরণে ‘বসন্ত উৎসব’ পালন
‘বাতাসে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিলো নেশা। কারা যে ডাকিলো পিছে, বসন্ত এসে গেছে’ -কবির সৃষ্ট শব্দের ন্যায় ঋতুরাজ বসন্তের সৌন্দর্য বরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে ‘বসন্ত উৎসব-১৪৩০’।
‘নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগল, বসন্তে সৌরভের শিখা জাগলো” স্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় উৎসবের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনুষদ ভবন সংলগ্ন বিভাগীয় বাংলামঞ্চে এসে শেষ হয়। এরপর বাংলা মঞ্চে আলোচনা সভা, নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ বসন্ত উৎসব পালিত হয়।
এসময় বাংলা সভাপতি অধ্যাপক গাজী মোঃ মাহবুব মুর্শিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ এমতাজ হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকি বিল্লাহ বিকুল, রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম আহমেদ ও ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. বর্ণালী মৈত্র।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সঞ্চিতা সোমা বলেন, প্রথমবার বসন্ত বরণ উৎসবে এসে আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। আমরা হলুদ, বাসন্তী রঙের শাড়ি, ছেলেরা পাঞ্জাবি পড়ে র্যালি করেছি৷ এখানে কালচারাল অনুষ্ঠান হচ্ছে, এগুলো খুব ই ভালো লাগছে। আমরা বাঙ্গালি, এজন্য সবার আগে আমাদের বাঙ্গালি উৎসবকেই প্রায়োরিটি দেওয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বাঙ্গালী, বাঙ্গালীত্ব ও বাংলা কৃষ্টি-কালচার সমুন্নত রেখে দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার যত আচার, অনুষ্ঠান আছে তার মধ্যে অন্যতম এই বসন্ত উৎসব। এই সংস্কৃতি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ। আমার প্রত্যাশা থাকবে অনাগত দিন গুলোতে এই আয়োজন আরো প্রাণোচ্ছলভাবে, বৃহৎ আকারে আয়োজিত হবে এবং বাঙ্গালী সংস্কৃতি সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।