ইবিতে মধ্যরাতে মারামারি ঘটনায় একজনের আবাসিকতা বাতিল, অপরজনকে শোকজ
মধ্যরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে মারামারির ঘটনায় একজনের আবাসিকতা বাতিল এবং অপরজনকে হল ছাড়ার পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে হল প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হলের এক সভায় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের দায়ে হল নীতিমালার ৭ (ঙ) ধারা অনুযায়ী হলের ৪০৩ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের জোবায়দুর রহমান জ্যোতির আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও অপর অভিযুক্ত একই বর্ষের অর্থনীতি বিভাগের সাকিল খান শোভন লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না হওয়া সত্ত্বেও হলে অবস্থান এবং বাইরে থেকে কয়েকজনকে ডেকে এনে মারধরের ঘটনায় কেন যুক্ত ছিলেন – এ মর্মে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, মারামারির ঘটনায় উভয়পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। আজ আমরা হল বডি বসে একজনের আবাসিকতা বাতিল, অপরজনকে শোকজের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের চিঠি আকারে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ রাত আড়াইটার দিকে রুমমেটদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির জেরে উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে জোবায়ের রহমান জ্যোতি তার রুমমেট সাকিল খান শোভন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মেহেদীসহ ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন। অপরদিকে শোভন জ্যোতির বিরুদ্ধে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমনের চেষ্টা ও উদ্ধার করতে আসা বন্ধুদের উপর আক্রমনের অভিযোগ করে।
এ ঘটনায় ১৩ মার্চ সকালে উভয়পক্ষই নিজেদেরকে মারধরের শিকার বলে দাবি করে হল প্রভোস্ট ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। এছাড়াও জ্যোতির বিরুদ্ধে হলের পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরিত আরেকটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে প্রভোস্ট কক্ষটিতে তল্লাশী করে জ্যোতিকে তার পরিবারের হাতে সোপর্দ করে।