ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবিতে রক্তিমার ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচী

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

“নিরাপদ হোক রক্তদান, আমার রক্তে বাঁচুক প্রাণ” স্লোগান কে সামনে রেখে বৃক্ষরোপণ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর মাধ্যমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন রক্তিমা’র ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের সামনে বৃক্ষরোপণ করা হয়। পরবর্তীতে টিএসসিসির ২১৬ নং কক্ষে সদস্যদের মাঝে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করে সংগঠনটি।

রক্তিমার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রক্তিমার উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মেহের আলী, অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, রক্তিমার সভাপতি সিরাজুম মুনিরা, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সহ সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ।

রক্তিমার সভাপতি সিরাজুম মনিরা বলেন, রক্তিমার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সদস্য, শুভাকাঙ্ক্ষী সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। ক্যাম্পাসে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চালু না হওয়ায় এবার আমরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে বড় কোন আয়োজন করিনি। আমরা ছোট পরিসরে প্রশিক্ষণ কর্মসূচী রেখেছি যাতে প্রজন্মের প্রজন্ম কাজ শিখতে পারে এবং রক্তিমাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে৷ গত ৭ বছরের ন্যায় সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে রক্তিমা যেন সামনে এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।

উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, রক্তিমার শুরু থেকেই মুমূর্ষ মানুষদের চাহিদা মাত্র রক্ত দেওয়া হচ্ছে। এখানে একঝাঁক উদ্যমী তরুণ তরুণী যাদের কোন চাওয়া-পাওয়ার আশা নেই, তারা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবায় বিভিন্ন ভৎসনা সহ্য করেও মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে৷ রক্ত দিতে যেয়ে অনেকেই অসুস্থতার স্বীকার হয়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেই রক্তিমা আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাক এটাই প্রত্যাশা।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মেহের আলী বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রক্তিমার বিভিন্ন পর্যায়ের শুভাকাঙ্ক্ষী ও বিভিন্ন সদস্য যাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় রক্তিম এতদূর এসেছে, রক্তিমার সেই অগ্রযাত্রা সামনেও অব্যাহত থাকবে। আমরা রক্তিমাকে কীভাবে আরো বৃহৎ আকারে গড়ে তোলা যায় এবং কিভাবে আরো বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় সেই প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে। রক্তিমার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৪৭:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৩ বার পড়া হয়েছে

ইবিতে রক্তিমার ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচী

আপডেট সময় ০৫:৪৭:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

“নিরাপদ হোক রক্তদান, আমার রক্তে বাঁচুক প্রাণ” স্লোগান কে সামনে রেখে বৃক্ষরোপণ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর মাধ্যমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন রক্তিমা’র ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের সামনে বৃক্ষরোপণ করা হয়। পরবর্তীতে টিএসসিসির ২১৬ নং কক্ষে সদস্যদের মাঝে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করে সংগঠনটি।

রক্তিমার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রক্তিমার উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মেহের আলী, অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, রক্তিমার সভাপতি সিরাজুম মুনিরা, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সহ সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ।

রক্তিমার সভাপতি সিরাজুম মনিরা বলেন, রক্তিমার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সদস্য, শুভাকাঙ্ক্ষী সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। ক্যাম্পাসে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চালু না হওয়ায় এবার আমরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে বড় কোন আয়োজন করিনি। আমরা ছোট পরিসরে প্রশিক্ষণ কর্মসূচী রেখেছি যাতে প্রজন্মের প্রজন্ম কাজ শিখতে পারে এবং রক্তিমাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে৷ গত ৭ বছরের ন্যায় সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে রক্তিমা যেন সামনে এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।

উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, রক্তিমার শুরু থেকেই মুমূর্ষ মানুষদের চাহিদা মাত্র রক্ত দেওয়া হচ্ছে। এখানে একঝাঁক উদ্যমী তরুণ তরুণী যাদের কোন চাওয়া-পাওয়ার আশা নেই, তারা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবায় বিভিন্ন ভৎসনা সহ্য করেও মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে৷ রক্ত দিতে যেয়ে অনেকেই অসুস্থতার স্বীকার হয়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেই রক্তিমা আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাক এটাই প্রত্যাশা।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মেহের আলী বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রক্তিমার বিভিন্ন পর্যায়ের শুভাকাঙ্ক্ষী ও বিভিন্ন সদস্য যাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় রক্তিম এতদূর এসেছে, রক্তিমার সেই অগ্রযাত্রা সামনেও অব্যাহত থাকবে। আমরা রক্তিমাকে কীভাবে আরো বৃহৎ আকারে গড়ে তোলা যায় এবং কিভাবে আরো বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় সেই প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে। রক্তিমার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।