ইবির শাপলা ফোরামের নেতৃত্বে ড. পরেশ ও ড. রবিউল
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরামের পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ রবিউল হোসেন। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টায় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ২৩৬ নং কক্ষে অনুষ্ঠিত শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৩ এর পরিচালনা কমিটির তত্ত্বাবধানে গত ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৩ এ নির্বাচিত ১৫ জন সদস্যের উপস্থিতিতে পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে এক সভায় প্রস্তাব-সমর্থন পদ্ধতিতে সর্বসম্মতভাবে এই পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়াও কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব জয়শ্রী সেন এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম। এছাড়া, প্রাপ্ত ভোট সংখ্যার ক্রমানুসারে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবর রহমান, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রহমান, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, বায়োটেকনোলজী অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাঃ আনোয়ারুল হক, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুল আরফিন, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সকল কাজ করবে এবং সেক্ষেত্রে আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অনিয়ম থাকলে সেগুলো নিরাময়ের চেষ্টা থাকবে। সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স প্রায় ৫০ বছর হলেও যে পরিমাণে অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিল তা আমরা অর্জন করতে পারিনি। প্রশাসনিক ও একাডেমিক উভয়ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়টি আরো প্রগতিশীল হওয়া প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমগুলোতে স্মার্টনেস আনা প্রয়োজনযাতে করে শিক্ষা ও প্রশাসনিক উভয়ক্ষেত্রে কার্যক্রম বেগবান করা যায়। এরই আলোকে শাপলা ফোরামের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিকনির্দেশনা ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হবে।