কূটনৈতিক বার্তা বিষয়ক মামলা থেকে বেকসুর খালাস: ইমরান খান
রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায় খালাস পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মেহমুদ কুরেশি। সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্ট (আইএইচসি) এক রায়ে আলোচিত এই মামলা থেকে দু’জনকে রেহাই দিয়েছেন।
বড় স্বস্তি পেলেন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত সাইফার মামলা বা কূটনৈতিক বার্তা বিষয়ক মামলা থেকে তাকে ও তার দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। ওই আদালতের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক, বিচারক মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেব এই রায় ঘোষণা করেন।
এ বছর জানুয়ারিতে ইমরান ও কুরেশি প্রতিজনকে অভিযুক্ত করে ১০ বছর করে জেল দিয়েছিল আদালত। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তারা আবেদন করেছিলেন। তার সংক্ষিপ্ত রায়ে শাস্তি বাতিল করে আদালত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। মামলায় অভিযোগ তোলা হয় যে, ওয়াশিংটনে নিয়োজিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইসলামাবাদে সরকারের কাছে গোপনীয় তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন বলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রকাশ্যে দাবি করেন।
এর আগে ১৫ই মে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি সেটেলমেন্ট রেফারেন্সে ১৯ কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে ইমরানের জামিন আবেদন অনুমোদন করে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এরপর সোমবার বড় এক স্বস্তি পেলেন ইমরান।অনাস্থা ভোটে হেরে ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতা হারান ইমরান খান। তারপর তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। তাতে এখন তিনি কারাগারে আছেন।