ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত ৯৬৬

নিজস্ব সংবাদ

এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১০ জন। এ সময়ে নতুন করে ৯৬৬ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৩১০ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ১৬৫ জন।

শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চারজন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, ঢাকা বিভাগে একজন, খুলনা একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন বাসিন্দা। ফলে চলতি বছর মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১০ জনে।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৫২ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭১ জন, বরিশাল বিভাগে ১২৫ জন, খুলনা বিভাগে ৮১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০ জন, রাজশাহীতে ২১ জন, এবং সিলেট বিভাগে ৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৬৩ হাজার ১৬৫ জন। যাদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ৩১০ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৩০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৭০ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:০০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
২৩ বার পড়া হয়েছে

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত ৯৬৬

আপডেট সময় ০৭:০০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১০ জন। এ সময়ে নতুন করে ৯৬৬ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৩১০ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ১৬৫ জন।

শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চারজন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, ঢাকা বিভাগে একজন, খুলনা একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন বাসিন্দা। ফলে চলতি বছর মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১০ জনে।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৫২ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭১ জন, বরিশাল বিভাগে ১২৫ জন, খুলনা বিভাগে ৮১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০ জন, রাজশাহীতে ২১ জন, এবং সিলেট বিভাগে ৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৬৩ হাজার ১৬৫ জন। যাদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ৩১০ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৩০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৭০ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান