ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধার তুলশিঘাটে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র

মাসুদ রানা, গাইবান্ধা

বাংলার ষড়্ঋতুর রঙ্গমঞ্চে একটি উল্লেখযোগ্য জায়গা জুড়ে শীতের অবস্থান। হেমন্তের সোনালি ডানায় ভর দিয়ে, হিমেল হাওয়া কে সঙ্গী করে ও কুয়াশার চাদর আবৃত করে আগমন ঘটে শীতকালের। পৌষ ও মাঘেও সে তার হিমেল চাদর বিছিয়ে রাখে বাংলার বুকে।

দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য শীতকাল বড় কষ্টের। শীতকাল এলেই দরিদ্র অসহায় মানুষ শীতে জবুথবু হয়ে যায়। খাবারের চেয়েও তাদের শীত নিবারণ অতীব প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
শৈত্যপ্রবাহের রুক্ষতা থেকে রক্ষা পাওয়ার ন্যূনতম ব্যবস্থাপনাও তাদের থাকে না। ফলে অসহায় ও হতদরিদ্রদের কষ্ট কেবল বেড়েই যায়। বৃদ্ধ, শিশু ও ফুটপাতের গরিব মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে মারাও যায়। হাড় কাঁপানো শীতের কবল থেকে তাদের রক্ষা করা এবং সামর্থ্যের ভিত্তিতে সাহায্য-সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা প্রত্যেক মুমিনের ঈমানি দায়িত্ব। এটা অন্যতম একটি ইবাদতও বটে।

বেশ কয়েক দিন থেকে গাইবান্ধাসহ সারা দেশে তীব্র শীত বয়ে যাচ্ছে। এই শীতে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র ।

প্রশিকা তুলসীঘাট শাখার আয়োজনে দরিদ্র ও শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রশিকা বাংলাদেশের একটি বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা। ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রশিকার প্রধান নির্বাহী জনাব সিরাজুল ইসলামের পৃষ্টপোষকতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মসুচির আওতায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও গাইবান্ধা জেলার জন্য ১২০০টি কম্বল বরাদ্দ করেছেন। এই কম্বলগুলো গাইবান্ধা জেলার গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা ও পলাশবাড়ী উপজেলায় প্রশিকার বিভিন্ন শাখা অফিস থেকে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে।

 

(১৭জানুয়ারী) বুধবার বিকাল ৩ ঘটিকায় ৪র্থ দিনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার তুলসীঘাট শাখা কার্যালয় থেকে ২০০ টি কম্বল বিতরণ করা হয়। উক্ত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলার সুযোগ্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) জনাব, সুশান্ত কুমার মাহাতো, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা জনাব, মোঃ মাছুদার রহমান, সাহাপাড়া ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব, মোঃ মশিউর রহমান সরকার,প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের উপপরিচালক জনাব, মোঃ কামরুজ্জামান সামাদ ।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জোনের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক জনাব, আনন্দ মোহন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গাইবান্ধা উন্নয়ন এলাকার এলাকা ব্যবস্থাপক জনাব, মোঃ রিপন খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মদনেরপাড়া শাখা ব্যবস্থাপক জনাব সুরেশ চন্দ্র রায়, সুন্দরজাহানের শাখা ব্যবস্থাপক আলেয়া জেসমিন, উন্নয়ন কর্মী খোকন,আলীম,তানিয়া,লতিফ,আশাদুল,হিরা খাতুন রিপন, সবুজ, মেরাজুল, পাপিয়া, আলতাফ, নাছরিন প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জনাব সুশান্ত কুমার মাহাতো, বলেন প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র দীর্ঘদিন থেকে ভালো কাজ করে আসছে। শীতে কম্বল দিয়ে অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করছে।

এই ভালো উদ্যোগের কারণে দরিদ্ররা উপকৃত হচ্ছেন। ভালো কাজের উদ্যোগ অব্যাহত রাখলে দেশের মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবেন।

এসময় প্রশিকার বিভিন্ন কর্মসূচির ভুয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন প্রশিকা গাইবান্ধা উন্নয়ন এলাকার সকল স্তরের কর্মীবৃন্দ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
২৫৯ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধার তুলশিঘাটে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র

আপডেট সময় ০৮:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলার ষড়্ঋতুর রঙ্গমঞ্চে একটি উল্লেখযোগ্য জায়গা জুড়ে শীতের অবস্থান। হেমন্তের সোনালি ডানায় ভর দিয়ে, হিমেল হাওয়া কে সঙ্গী করে ও কুয়াশার চাদর আবৃত করে আগমন ঘটে শীতকালের। পৌষ ও মাঘেও সে তার হিমেল চাদর বিছিয়ে রাখে বাংলার বুকে।

দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য শীতকাল বড় কষ্টের। শীতকাল এলেই দরিদ্র অসহায় মানুষ শীতে জবুথবু হয়ে যায়। খাবারের চেয়েও তাদের শীত নিবারণ অতীব প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
শৈত্যপ্রবাহের রুক্ষতা থেকে রক্ষা পাওয়ার ন্যূনতম ব্যবস্থাপনাও তাদের থাকে না। ফলে অসহায় ও হতদরিদ্রদের কষ্ট কেবল বেড়েই যায়। বৃদ্ধ, শিশু ও ফুটপাতের গরিব মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে মারাও যায়। হাড় কাঁপানো শীতের কবল থেকে তাদের রক্ষা করা এবং সামর্থ্যের ভিত্তিতে সাহায্য-সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা প্রত্যেক মুমিনের ঈমানি দায়িত্ব। এটা অন্যতম একটি ইবাদতও বটে।

বেশ কয়েক দিন থেকে গাইবান্ধাসহ সারা দেশে তীব্র শীত বয়ে যাচ্ছে। এই শীতে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র ।

প্রশিকা তুলসীঘাট শাখার আয়োজনে দরিদ্র ও শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রশিকা বাংলাদেশের একটি বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা। ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রশিকার প্রধান নির্বাহী জনাব সিরাজুল ইসলামের পৃষ্টপোষকতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মসুচির আওতায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও গাইবান্ধা জেলার জন্য ১২০০টি কম্বল বরাদ্দ করেছেন। এই কম্বলগুলো গাইবান্ধা জেলার গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা ও পলাশবাড়ী উপজেলায় প্রশিকার বিভিন্ন শাখা অফিস থেকে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে।

 

(১৭জানুয়ারী) বুধবার বিকাল ৩ ঘটিকায় ৪র্থ দিনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার তুলসীঘাট শাখা কার্যালয় থেকে ২০০ টি কম্বল বিতরণ করা হয়। উক্ত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলার সুযোগ্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) জনাব, সুশান্ত কুমার মাহাতো, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা জনাব, মোঃ মাছুদার রহমান, সাহাপাড়া ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব, মোঃ মশিউর রহমান সরকার,প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের উপপরিচালক জনাব, মোঃ কামরুজ্জামান সামাদ ।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জোনের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক জনাব, আনন্দ মোহন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গাইবান্ধা উন্নয়ন এলাকার এলাকা ব্যবস্থাপক জনাব, মোঃ রিপন খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মদনেরপাড়া শাখা ব্যবস্থাপক জনাব সুরেশ চন্দ্র রায়, সুন্দরজাহানের শাখা ব্যবস্থাপক আলেয়া জেসমিন, উন্নয়ন কর্মী খোকন,আলীম,তানিয়া,লতিফ,আশাদুল,হিরা খাতুন রিপন, সবুজ, মেরাজুল, পাপিয়া, আলতাফ, নাছরিন প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জনাব সুশান্ত কুমার মাহাতো, বলেন প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র দীর্ঘদিন থেকে ভালো কাজ করে আসছে। শীতে কম্বল দিয়ে অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করছে।

এই ভালো উদ্যোগের কারণে দরিদ্ররা উপকৃত হচ্ছেন। ভালো কাজের উদ্যোগ অব্যাহত রাখলে দেশের মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবেন।

এসময় প্রশিকার বিভিন্ন কর্মসূচির ভুয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন প্রশিকা গাইবান্ধা উন্নয়ন এলাকার সকল স্তরের কর্মীবৃন্দ।