ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুম কমিশনে জমা প্রায় দুই হাজার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ

গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, গুম সংক্রান্ত কমিশনে এক হাজার ৬০০-এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে।

 

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে কমিশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে এক হাজার ৬০০-এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৪০০টি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।

১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আসামিদের কীভাবে অ্যারেস্ট করবে, তার ডিটেলস গাইড লাইন আছে। কিন্তু সেটা ফলো করা হয়নি। আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে নেওয়ার কথা থাকলেও মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর আইনের তোয়াক্কা না করে আটকে রাখা হতো।

তিনি আরও বলেন, গুমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত সদস্যকে ডাকা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত অন্যদেরও ডাকা হবে।

রাজনৈতিক কারণেই বেশিরভাগ ব্যক্তিদের গুম করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে রাজনৈতিক কারণ ছাড়া স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগের বাইরেও অনেককে গুম করা হয়।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২০০-এর বেশি গুম হওয়া মানুষকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি বলেও জানান তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলামের নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করে সরকার। গত ২৭ আগস্ট কমিশন গঠন করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৩৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
২৩ বার পড়া হয়েছে

গুম কমিশনে জমা প্রায় দুই হাজার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:৩৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, গুম সংক্রান্ত কমিশনে এক হাজার ৬০০-এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে।

 

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে কমিশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে এক হাজার ৬০০-এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৪০০টি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।

১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আসামিদের কীভাবে অ্যারেস্ট করবে, তার ডিটেলস গাইড লাইন আছে। কিন্তু সেটা ফলো করা হয়নি। আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে নেওয়ার কথা থাকলেও মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর আইনের তোয়াক্কা না করে আটকে রাখা হতো।

তিনি আরও বলেন, গুমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত সদস্যকে ডাকা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত অন্যদেরও ডাকা হবে।

রাজনৈতিক কারণেই বেশিরভাগ ব্যক্তিদের গুম করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে রাজনৈতিক কারণ ছাড়া স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগের বাইরেও অনেককে গুম করা হয়।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২০০-এর বেশি গুম হওয়া মানুষকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি বলেও জানান তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলামের নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করে সরকার। গত ২৭ আগস্ট কমিশন গঠন করা হয়।