ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইডেন কলেজের নেত্রীর ধর্ষণ মামলা

নিজস্ব সংবাদ

 

সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ছাত্রসংগঠনটির ইডেন কলেজ শাখার এক নেত্রী (২৯)। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক শামসুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন। 

 

এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে হাজারীবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মাহিন এলাহি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই তরুণী ২০১৩-১৪ সেশনে ইডেন মহিলা কলেজে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে বান্ধবীদের নিয়ে টিএসসিতে আড্ডা দিতে যান। সেখানে গিয়ে ফুয়াদ হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারা ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন। যোগাযোগের একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তারা কক্সবাজার ঘুরতে যান। সেখানে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে কাজির মাধ্যমে বিয়ে রেজিস্ট্রি করার প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে নিয়মিত ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা।

 

অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তিনি ফুয়াদ হোসেন তা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানান। এসময় ফুয়াদ বাচ্চাটি নষ্ট করতে বলে। ভুক্তভোগী এতে রাজি না হলে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে ভিকটিমের বাচ্চা নষ্ট হওয়ার ওষুধ মিশিয়ে জুস খেতে দেয় আসামি। জুস খাওয়ার পরে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়।

 

এরপরও আসামি ভুক্তভোগীকে বিয়ে রেজিস্ট্রি প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ করা হয়।

 

ওই তরুণীর ভাষ্য, ২০২২ সালের মার্চ মাসে ভিকটিম বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য চাপ দিলে ফুয়াদ জানায়, সে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০২২ সালে সংগঠনের সম্মেলন শেষ হলে বিয়ে রেজিস্ট্রি করবে। ২০২২ সালে ফুয়াত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ পায়। পরে ফুয়াদের নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, ফুয়াদ অন্য একজনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আবারও ধর্ষণ করলে আসামিকে বিয়ের চাপ প্রয়োগ দেন ওই তরুণী। পরে তাকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে চলে যায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
১২ বার পড়া হয়েছে

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইডেন কলেজের নেত্রীর ধর্ষণ মামলা

আপডেট সময় ০৫:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

 

সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ছাত্রসংগঠনটির ইডেন কলেজ শাখার এক নেত্রী (২৯)। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক শামসুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন। 

 

এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে হাজারীবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মাহিন এলাহি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই তরুণী ২০১৩-১৪ সেশনে ইডেন মহিলা কলেজে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে বান্ধবীদের নিয়ে টিএসসিতে আড্ডা দিতে যান। সেখানে গিয়ে ফুয়াদ হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারা ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন। যোগাযোগের একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তারা কক্সবাজার ঘুরতে যান। সেখানে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে কাজির মাধ্যমে বিয়ে রেজিস্ট্রি করার প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে নিয়মিত ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা।

 

অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তিনি ফুয়াদ হোসেন তা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানান। এসময় ফুয়াদ বাচ্চাটি নষ্ট করতে বলে। ভুক্তভোগী এতে রাজি না হলে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে ভিকটিমের বাচ্চা নষ্ট হওয়ার ওষুধ মিশিয়ে জুস খেতে দেয় আসামি। জুস খাওয়ার পরে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়।

 

এরপরও আসামি ভুক্তভোগীকে বিয়ে রেজিস্ট্রি প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ করা হয়।

 

ওই তরুণীর ভাষ্য, ২০২২ সালের মার্চ মাসে ভিকটিম বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য চাপ দিলে ফুয়াদ জানায়, সে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০২২ সালে সংগঠনের সম্মেলন শেষ হলে বিয়ে রেজিস্ট্রি করবে। ২০২২ সালে ফুয়াত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ পায়। পরে ফুয়াদের নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, ফুয়াদ অন্য একজনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আবারও ধর্ষণ করলে আসামিকে বিয়ের চাপ প্রয়োগ দেন ওই তরুণী। পরে তাকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে চলে যায়।