‘থার্টি ফার্স্টে’ নানান নিষেধাজ্ঞা, কড়া হুুুশিয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে’ (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার পর ঢাকা মহানগরসহ দেশের কোথাও উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সে জন্যই এই বিধিনিষেধ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যাঁরা অনুষ্ঠান (থার্টি ফার্স্ট নাইট) করবেন, তাঁরা ঘরের ভেতর করবেন। বাইরে কাউকে আলাদাভাবে কিছু করতে দেওয়া হবে না। ওই দিন সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট (তল্লাশিচৌকি) থাকবে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, বারগুলো (পানশালা) প্রতিবারই থার্টি ফার্স্ট নাইটে বন্ধ রাখা হয়। এবারও বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে জোরে বাঁশি বাজানো, পটকা ফোটানো, আতশবাজি কিংবা ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বড়দিন উপলক্ষে গির্জাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যেকোনো ধরনের নাশকতা রোধে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওই সময় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।