দুটি কাজ দিয়ে ড. ইউনূসের শুরু
গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের স্বৈরাচারী নেতা শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন ক্ষুদ্রঋণের প্রবক্তা ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে তার তাৎক্ষণিক কাজ হবে দু’টি।
প্রথমত, ১৭ কোটি মানুষের এই দেশটিতে তাকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনঃস্থাপন করতে হবে। দ্বিতীয়ত অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা কি হবে তা তাকে নির্ধারণ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সহিংসতার আতঙ্ক দেখা দেয়া ও প্রতিবাদ বিক্ষোভকারীদের সুপারিশে ক্ষুদ্রঋণের প্রবক্তা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর প্রতিবাদ বিক্ষোভকারীদের মূল সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের সুপারিশে এই এই ঘোষণা এলো।
মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের একটি গ্রুপের সঙ্গে অন্যদের উপস্থিতিতে যে মিটিং হয় তাতে উপস্থিত ছিলেন নাহিদ। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ী সরকারের নেতৃত্বে আসবেন ৮৪ বছর বয়সী ড. ইউনূস।
তিনি বাংলাদেশে ব্যাপক সম্মানিত। এই সরকার বাংলাদেশে একটি নতুন নির্বাচনের মধ্যদিয়ে নতুন নেতা নির্বাচন না করা পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ম্যান্ডেট থাকবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রথমে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকার নৃশংস দমনপীড়ন চালায়। এতে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ফলে বিক্ষোভকারীরা তার পদত্যাগ দাবি করেন। সেই দাবিতেই তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের প্রধান গবেষক ফাহমিদা খাতুন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার হবে সহিংসতা ও ভাঙচুরের ঘটনার সমাধান ও শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা। তিনি বলেন, আপনি দেখবেন রাজপথে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেই।
পুলিশের ওপর আস্থার সংকটের কারণে এটা হয়েছে। এরই মধ্যে সম্পদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক স্মৃতি সিং বলেন, অতীতের ভুলের প্রতিশোধ না নিয়ে দেশের মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ ও সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি সুযোগ।