ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধামইরহাটে কনকনে ঠান্ডায় থমকে আছে জনজীবন

মাসুদ সরকার, ধামইরহাট (নওগাঁ)

নওগাঁয় ধামইরহাটসহ আশ-পাশে জেঁকে বসেছে শীত। সঙ্গে রয়েছে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশা। তাপমাত্রা কমে আশায় শীতে নাকাল এ অঞ্চলের জনপদ। খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন অনেকে। গত কয়েক দিন ধরে শীত পড়ায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূলের মানুষ। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কনকনে শীতের কারণে কাজে বের হতে পারছেনা অনেকেই।

তবে পেটের তাগিদে আবার অনেকেই বিভিন্ন ধরণে কাজ যেমন কৃষি কাজ, ভ্যানগাড়ি চালানো,  দিনমজুর খেত খামারে কাজ করছে শীতকে অপেক্ষা করে। কয়েক দিন ধরে কনকনে শীত বয়ে যাচ্ছে বা অনুভুত হচ্ছে। এই কন কনে শীতে হাত পা অবশ হয়ে আসে। তারপরও দু’মুঠো খাবার পরিবারের সদস্যদের মুখে তুলে দিতে এই প্রচন্ড ঠান্ডা অপেক্ষা করে কাজ করতে হচ্ছে অল্প আয়ের মানুষকে। স্থানীয়রা জানান, গত হটাৎ করেই ঠান্ডার দাপট বেড়ে গেছে। আগের থেকে তাপ মাত্রা অনেক নিচে নেমে আশায় শীতের প্রভাব বেড়ে গেছে।
এ অঞ্চলটি হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় শীতের মাত্রা অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশী। বিকেল গড়ালেই ঠান্ডা লাগতে শুরু করে। সুর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়া শীত অনেক গুণে বেশী পড়ে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের চোখ রাঙ্গানো বেশী দেখা যায়। এদিকে পাল্লা দিয়ে শীত বাড়ায় শীত জনিত রোগ-বালাই যেমন, জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন রোগী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশীর ভাগ শিশু ও বৃদ্ধ। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতেই শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবানুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীত জনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্ট বেশী হয়ে থাকে। এদের মধ্যে  শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীত জনিত রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
৯১ বার পড়া হয়েছে

ধামইরহাটে কনকনে ঠান্ডায় থমকে আছে জনজীবন

আপডেট সময় ০৬:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

নওগাঁয় ধামইরহাটসহ আশ-পাশে জেঁকে বসেছে শীত। সঙ্গে রয়েছে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশা। তাপমাত্রা কমে আশায় শীতে নাকাল এ অঞ্চলের জনপদ। খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন অনেকে। গত কয়েক দিন ধরে শীত পড়ায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূলের মানুষ। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কনকনে শীতের কারণে কাজে বের হতে পারছেনা অনেকেই।

তবে পেটের তাগিদে আবার অনেকেই বিভিন্ন ধরণে কাজ যেমন কৃষি কাজ, ভ্যানগাড়ি চালানো,  দিনমজুর খেত খামারে কাজ করছে শীতকে অপেক্ষা করে। কয়েক দিন ধরে কনকনে শীত বয়ে যাচ্ছে বা অনুভুত হচ্ছে। এই কন কনে শীতে হাত পা অবশ হয়ে আসে। তারপরও দু’মুঠো খাবার পরিবারের সদস্যদের মুখে তুলে দিতে এই প্রচন্ড ঠান্ডা অপেক্ষা করে কাজ করতে হচ্ছে অল্প আয়ের মানুষকে। স্থানীয়রা জানান, গত হটাৎ করেই ঠান্ডার দাপট বেড়ে গেছে। আগের থেকে তাপ মাত্রা অনেক নিচে নেমে আশায় শীতের প্রভাব বেড়ে গেছে।
এ অঞ্চলটি হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় শীতের মাত্রা অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশী। বিকেল গড়ালেই ঠান্ডা লাগতে শুরু করে। সুর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়া শীত অনেক গুণে বেশী পড়ে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের চোখ রাঙ্গানো বেশী দেখা যায়। এদিকে পাল্লা দিয়ে শীত বাড়ায় শীত জনিত রোগ-বালাই যেমন, জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন রোগী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশীর ভাগ শিশু ও বৃদ্ধ। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতেই শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবানুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীত জনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্ট বেশী হয়ে থাকে। এদের মধ্যে  শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীত জনিত রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।