ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় খুলনায় কৃষক লীগ নেত্রীসহ আটক ১৬

মামুনুর রশীদ রাজু, ব্যুরো চিফ

খুলনার খালিশপুর থানা এলাকার একটি বাসা থেকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক হালিমা খাতুনসহ ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা এবং আসামি ধরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন।

জানা যায়, শুক্রবার রাতে খালিশপুর থানার বাস্তুহারা এলাকায় একটি মারামারি হয়। এ ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের ধরতে হালিমার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে লিফটের সুইচ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া এজাহারভুক্ত আসামিদের ধরতে বাধা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে রাত বারোটার দিকে একাধিক পুলিশ ফোর্স দিয়ে বাসা থেকে হালিমা সহ ১৬ জনকে আটক করে।

খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আসামিরা পালিয়ে হালিমের বাড়িতে যায়। আমরা হালিমার বাড়িতে যাওয়ার সময় দারোয়ান বাধা দেয়। এমনকি লিফটে ওঠার পর সেটার কে বা কারা সুইচ বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ সময় আমরা লিফটের ভেতর আটকা ছিলাম। লিফট থেকে বেরোনোর পর হালিমার নেতৃত্বে দলবল আমাদের কাজে বাধা দেয় এমনকি শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। আমরা মামলায় দায়েরকৃত আসামিদের আটক করার পর তারা আসামি ছিনিয়ে নিয়ে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালে তারা এসে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং হালিমাসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৫৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
৭৫ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় খুলনায় কৃষক লীগ নেত্রীসহ আটক ১৬

আপডেট সময় ০৯:৫৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

খুলনার খালিশপুর থানা এলাকার একটি বাসা থেকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক হালিমা খাতুনসহ ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা এবং আসামি ধরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন।

জানা যায়, শুক্রবার রাতে খালিশপুর থানার বাস্তুহারা এলাকায় একটি মারামারি হয়। এ ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের ধরতে হালিমার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে লিফটের সুইচ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া এজাহারভুক্ত আসামিদের ধরতে বাধা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে রাত বারোটার দিকে একাধিক পুলিশ ফোর্স দিয়ে বাসা থেকে হালিমা সহ ১৬ জনকে আটক করে।

খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আসামিরা পালিয়ে হালিমের বাড়িতে যায়। আমরা হালিমার বাড়িতে যাওয়ার সময় দারোয়ান বাধা দেয়। এমনকি লিফটে ওঠার পর সেটার কে বা কারা সুইচ বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ সময় আমরা লিফটের ভেতর আটকা ছিলাম। লিফট থেকে বেরোনোর পর হালিমার নেতৃত্বে দলবল আমাদের কাজে বাধা দেয় এমনকি শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। আমরা মামলায় দায়েরকৃত আসামিদের আটক করার পর তারা আসামি ছিনিয়ে নিয়ে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালে তারা এসে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং হালিমাসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়।