ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাহারি ফুলের সৌরভে মাতোয়ারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

 

ফুল প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর অলংকার। সজ্জিত বাগান, গোছানো টব, বাড়ির আঙিনা, অধুনা ছাদ বা ব্যালকনি কিংবা বন-বাদাড় ও ঝোপ-জঙ্গল যেখানেই হোক না কেন, এই অলংকার মনোযোগ আকর্ষণ করবেই। প্রতিটি ফুলই তার স্বতন্ত্র রূপ, রং ও গন্ধে অতুলনীয়৷ প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসের চারদিকে দেখা যায় রং-বেরঙের বাহারি ফুলের বিচিত্র এক সমারোহ। নানা রঙের ফুলের সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে সব স্থানে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছেঁয়ে গেছে বাহারি ফুলের আবরণে। শিক্ষার্থীদের তো বটেই, প্রাকৃতিক শোভা টেনে আনছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের মানুষদেরও।

প্রকৃতির স্বর্গরাজ্যে অবস্থিত এই ক্যাম্পাসটি তার অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য সকলের কাছেই পরিচিত। শীত মৌসুমে রঙ-বেরঙের ফুলের সৌরভে ক্যাম্পাসটি যেন স্বর্গীয় রূপ ধারণ করেছে। নজড়কাড়া এসব ফুলের স্নিগ্ধতা মুগ্ধ করছে সকলকে।রাস্তাধরে হাঁটলে মনে হয় যেনো ফুলেল গালিচা বিছানো রয়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে। এমন ফুলের সমারোহে প্রবেশ করে যেকোনো মানুষের মন ফুরফুরে হতে বাধ্য!!

গাছে গাছে এসেছে নতুন নতুন ফুল। রাস্তার কিনারা দিয়ে হাঁটতেই হয়তো আপনার চোখ আটকে যাবে সেই সব রঙ বেরঙের ফুলে। কোনোটা লাল, কোনোটা হলুদ, কোনোটা নীল আবার কোনোটা খয়েরি। মুগ্ধতায় তাকিয়ে থাকবেন কিংবা বাতাস আপনার কাছে এর সুগন্ধ পৌঁছে দিয়ে জানান দিবে ‘গাছে গাছে ফুল ফুটেছে’। যেন প্রকৃতি তার আপন সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে বসেছে এখানে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, প্রশাসন ভবন, কেন্দ্রীয় মসজিদ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিভিন্ন আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনসমূহের সামনের রাস্তায়, প্রকৌশল অফিসের চারপাশে, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্ত্বর ও ইবি লেকসহ প্রতিটি রাস্তার দুপাশে দেখা যায় রঙ বেরঙের বিভিন্ন ফুল। এছাড়াও নানা জাতের ফুল ফুটেছে উপাচার্যের বাস ভবনের ভেতরে, বাইরে এবং আবাসিক হলগুলোতে। ডালিয়া, জিনিয়া, হরেক রকম গাদা, গোলাপ, আকাশী সাদা স্নোবল, চন্দ্রমল্লিকা, ইনকা গাদা, চাইনিজ গাদা, জাম্বুস গাদা, ক্রিসমাস ট্রি, জুঁই, চামেলি, জবা ছাড়াও আছে টগর, বেলি ও হরেকরকম পাতাবাহার। এমন বাহারি জাতের ফুলের সৌরভে মাতোয়ারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী।

চোখ ধাঁধানো বর্ণিল ফুলেরা চারদিকে দ্যুতি ছড়াচ্ছে। আর ফুল থেকে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন পাখি এবং নানা রংয়ের প্রজাপতি। এরকম ফুলেল ক্যাম্পাস পেয়ে শিক্ষার্থীরাও অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। কেউ বিভিন্ন পোজে সেলফি তোলে, কেউ গ্রুপ ছবি এবং কেউবা সবুজ প্রকৃতির সাথে মিশে থাকা ফুলের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করে বন্ধুবান্ধবদের সাথে। ফুলের সুবাসে মাতোয়ারা হয়ে আড্ডা, গান-গল্পে মেতে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের মানুষেরাও যেন অনাবিল আনন্দে হারিয়ে যান ফুলের এই স্বর্গরাজ্যে এসে।

জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, এমনিতেও ফুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ক্যাম্পাসের সদ্য ফোটা ফুলের দিকে তাকালে অন্যরকম একটা মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। স্নিগ্ধ ফুলগুলোর সংস্পর্শে গেলে আপনা আপনি ই সারাদিনের কান্তি দূর হয়ে যায়। এটি একটি মনোমুগ্ধকর অনুভূতি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:০৩:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
১৭২ বার পড়া হয়েছে

বাহারি ফুলের সৌরভে মাতোয়ারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট সময় ০৪:০৩:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

 

ফুল প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর অলংকার। সজ্জিত বাগান, গোছানো টব, বাড়ির আঙিনা, অধুনা ছাদ বা ব্যালকনি কিংবা বন-বাদাড় ও ঝোপ-জঙ্গল যেখানেই হোক না কেন, এই অলংকার মনোযোগ আকর্ষণ করবেই। প্রতিটি ফুলই তার স্বতন্ত্র রূপ, রং ও গন্ধে অতুলনীয়৷ প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসের চারদিকে দেখা যায় রং-বেরঙের বাহারি ফুলের বিচিত্র এক সমারোহ। নানা রঙের ফুলের সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে সব স্থানে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছেঁয়ে গেছে বাহারি ফুলের আবরণে। শিক্ষার্থীদের তো বটেই, প্রাকৃতিক শোভা টেনে আনছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের মানুষদেরও।

প্রকৃতির স্বর্গরাজ্যে অবস্থিত এই ক্যাম্পাসটি তার অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য সকলের কাছেই পরিচিত। শীত মৌসুমে রঙ-বেরঙের ফুলের সৌরভে ক্যাম্পাসটি যেন স্বর্গীয় রূপ ধারণ করেছে। নজড়কাড়া এসব ফুলের স্নিগ্ধতা মুগ্ধ করছে সকলকে।রাস্তাধরে হাঁটলে মনে হয় যেনো ফুলেল গালিচা বিছানো রয়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে। এমন ফুলের সমারোহে প্রবেশ করে যেকোনো মানুষের মন ফুরফুরে হতে বাধ্য!!

গাছে গাছে এসেছে নতুন নতুন ফুল। রাস্তার কিনারা দিয়ে হাঁটতেই হয়তো আপনার চোখ আটকে যাবে সেই সব রঙ বেরঙের ফুলে। কোনোটা লাল, কোনোটা হলুদ, কোনোটা নীল আবার কোনোটা খয়েরি। মুগ্ধতায় তাকিয়ে থাকবেন কিংবা বাতাস আপনার কাছে এর সুগন্ধ পৌঁছে দিয়ে জানান দিবে ‘গাছে গাছে ফুল ফুটেছে’। যেন প্রকৃতি তার আপন সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে বসেছে এখানে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, প্রশাসন ভবন, কেন্দ্রীয় মসজিদ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিভিন্ন আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনসমূহের সামনের রাস্তায়, প্রকৌশল অফিসের চারপাশে, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্ত্বর ও ইবি লেকসহ প্রতিটি রাস্তার দুপাশে দেখা যায় রঙ বেরঙের বিভিন্ন ফুল। এছাড়াও নানা জাতের ফুল ফুটেছে উপাচার্যের বাস ভবনের ভেতরে, বাইরে এবং আবাসিক হলগুলোতে। ডালিয়া, জিনিয়া, হরেক রকম গাদা, গোলাপ, আকাশী সাদা স্নোবল, চন্দ্রমল্লিকা, ইনকা গাদা, চাইনিজ গাদা, জাম্বুস গাদা, ক্রিসমাস ট্রি, জুঁই, চামেলি, জবা ছাড়াও আছে টগর, বেলি ও হরেকরকম পাতাবাহার। এমন বাহারি জাতের ফুলের সৌরভে মাতোয়ারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী।

চোখ ধাঁধানো বর্ণিল ফুলেরা চারদিকে দ্যুতি ছড়াচ্ছে। আর ফুল থেকে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন পাখি এবং নানা রংয়ের প্রজাপতি। এরকম ফুলেল ক্যাম্পাস পেয়ে শিক্ষার্থীরাও অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। কেউ বিভিন্ন পোজে সেলফি তোলে, কেউ গ্রুপ ছবি এবং কেউবা সবুজ প্রকৃতির সাথে মিশে থাকা ফুলের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করে বন্ধুবান্ধবদের সাথে। ফুলের সুবাসে মাতোয়ারা হয়ে আড্ডা, গান-গল্পে মেতে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের মানুষেরাও যেন অনাবিল আনন্দে হারিয়ে যান ফুলের এই স্বর্গরাজ্যে এসে।

জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, এমনিতেও ফুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ক্যাম্পাসের সদ্য ফোটা ফুলের দিকে তাকালে অন্যরকম একটা মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। স্নিগ্ধ ফুলগুলোর সংস্পর্শে গেলে আপনা আপনি ই সারাদিনের কান্তি দূর হয়ে যায়। এটি একটি মনোমুগ্ধকর অনুভূতি।