ঢাকা ০২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্পে ঢাবির মুহসীন হলে খসে পড়ল পলেস্তারা

নিজস্ব সংবাদ

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫.৬ রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূকম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ- উত্তর দক্ষিণে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।

সরজমিনে দেখা যায়, ভূমিকম্পে হলটির কয়েকটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে, দোতলার বারান্দার কার্নিশের একটি অংশ এবং রিডিং রুমের দরজার কাচ ভেঙে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে হলের বাইরে নেমে আসেন।

প্রাচীন এ হলটির এমনিতেই জরাজীর্ণ অবস্থা। মাঝেমধ্যেই পলেস্তারা খসে পড়ে। এজন্য বেশ কয়েকবার হলটিতে সংস্কারও করেছে হল কর্তৃপক্ষ। এর মাঝে মাঝারি মাত্রার এ ভূমিকম্পে হলটির অবস্থা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বড় মাত্রার কোন ভূমিকম্প হলে সহজেই ভেঙে পড়তে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

মুহসীন হলের শিক্ষার্থী আবদূর রহমান জানান, সকালে হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে ভয়ে দৌড়াতে থাকি। কিন্তু নিজেকে রক্ষা করার মত জায়গা ছিল না। মাত্র কয়েকজন নিচে নামতে পেরেছিল। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে আমার হাত ছিলে গেছে। এ ভূমিকম্পেই ভবনের কয়েকটি জায়গার প্লাস্টার খসে পড়েছে। আরও বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে কি হবে জানি না, তবে এটা নিশ্চিত অনেক শিক্ষার্থীসহ ভবনটি ধসে পড়তে পারে সহজেই।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৩২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
৪১৫ বার পড়া হয়েছে

ভূমিকম্পে ঢাবির মুহসীন হলে খসে পড়ল পলেস্তারা

আপডেট সময় ১০:৩২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫.৬ রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূকম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ- উত্তর দক্ষিণে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।

সরজমিনে দেখা যায়, ভূমিকম্পে হলটির কয়েকটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে, দোতলার বারান্দার কার্নিশের একটি অংশ এবং রিডিং রুমের দরজার কাচ ভেঙে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে হলের বাইরে নেমে আসেন।

প্রাচীন এ হলটির এমনিতেই জরাজীর্ণ অবস্থা। মাঝেমধ্যেই পলেস্তারা খসে পড়ে। এজন্য বেশ কয়েকবার হলটিতে সংস্কারও করেছে হল কর্তৃপক্ষ। এর মাঝে মাঝারি মাত্রার এ ভূমিকম্পে হলটির অবস্থা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বড় মাত্রার কোন ভূমিকম্প হলে সহজেই ভেঙে পড়তে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

মুহসীন হলের শিক্ষার্থী আবদূর রহমান জানান, সকালে হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে ভয়ে দৌড়াতে থাকি। কিন্তু নিজেকে রক্ষা করার মত জায়গা ছিল না। মাত্র কয়েকজন নিচে নামতে পেরেছিল। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে আমার হাত ছিলে গেছে। এ ভূমিকম্পেই ভবনের কয়েকটি জায়গার প্লাস্টার খসে পড়েছে। আরও বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে কি হবে জানি না, তবে এটা নিশ্চিত অনেক শিক্ষার্থীসহ ভবনটি ধসে পড়তে পারে সহজেই।