ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী নগরী ভাঙচুর ,আগুন সহ লুটপাট – কিন্তু কারা এর পিছনে

মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী

 

বাংলাদেশের মধ্যে সুন্দর আর শান্তি প্রিয় জেলা থেকে থাকল সেটা রাজশাহী মহানগর । রাজশাহীকে শান্তি প্রিয় বানাতে পরিশ্রম করেছ বিএনপির সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু। আর সুন্দরে পরিনত করেছে বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়ুজ্জামান লিটনের।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর শুরু হয় জনগণের ক্ষোভ। সেই রাগে তারা লীগের অফিস আর বাসায় চালিয়েছে হামলায় দিয়েছে আগুন। এই রাগের হাত থেকে বাঁচতে পারে নাই পুলিশ ফাঁড়ি আর থানা। জনগণ হামলা করে চলে গেলে সুযোগের অপেক্ষায় থাকে কিছু খেটে খাওয়া মানুষ ও বিভিন্ন এলাকার টোকাই গুলি। আগুন শান্ত হলেই এড়া শুরু করে লুটপাট। একদিকে জনগণ সহ বিভিন্ন রাজনেতিক দল বিজয় মিছিলে ব্যস্ত আর খেটে খাওয়া মানুষ ও টোকাইরা লুটপাটে ব্যস্ত। এমনকি রাস্তার লাইটের পিলার পর্যন্ত তুলে নিয়ে ভাংড়ি পট্টিতে বিক্রি করে। যেগুলি মোটেই ছাত্র আর অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা করতে পারে না। তারা সুন্দর দেশ চেয়েছে এমন লুটপাটের বাংলাদেশ নয়।

দেশের বাইরে থেকে শেখ হাসিনার পুত্র জয় ও ইন্ডিয়াতে গুজব ছড়ায় বাংলাদেশ নাকি হিন্দুদের উপর এবং মন্দিরের ওপর হামলা চলছে। যেই বাংলাদেশ সব সময় হিন্দু, মুসলিম ,বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান মিলে বসবাস করছে একে অপরকে নিজের ভাই হিসেবে পরিচয় দিয়ে চলাচল করে সে দেশে এমনটা কখনোই হওয়ার কথা না। বিশেষ করে রাজশাহীতে কখনও সম্ভব না। রাজশাহীবাসীর সব সময় একই পরিবার ভেবেই চলছে এত বছর। কোনো বাপ মা তাঁদের সন্তান দের বলে নাই হিন্দু দের হতে দূরে অথবা ঘৃণা করো। রাজশাহীর বিএনপির ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচছাসেবক দল তারা কিছু ব্যক্তি রাজশাহী চিড়িয়াখানা ও জাদুঘরের যেনো কোনো ক্ষতি না হয় তাই সেখানে জীবন বাজী রেখে দাঁড়িয়ে ছিল। পড়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ায় এলাকার কিছু মেয়ে সহ ছেলেরাও। রাস্তায় যত নোংরা হয়ছে সেগুলি পরিষ্কার করতে নেমেছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা । তাঁদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। কোন বহিরাগত যেন রাতে মসজিদ , মন্দির ও গির্জায় কোন হামলা না দেয় সেজন্য মাদ্রাসার ছাত্র , শিবির ও ছাত্রদল রাতে পাহারা দেয় ।

আর্মির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্নেল শামীম জানান, রাজশাহীতে মন্দির বা মসজিদে হামলার কোন ঘটনা ঘটে নাই এলাকাবাসী, ছাত্র ও বিভিন্ন নেতাকর্মীরা সেগুলো পাহারা আছে । যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে আমরা তাৎক্ষণিক সেখানে ব্যবস্থা নেব। প্রশাসন কবে থেকে মাঠে নামবে সে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই উক্ততম কর্মকর্তারা সেগুলি দেখছে তারা নির্দেশ দিলে রাজশাহীতে সমস্ত শান্তিপূর্ণভাবে আবার চলমান হবে।

উল্লেখ্য যে রাজশাহীতে বড় ক্ষয়ক্ষতিগুলো হয়েছে, রাজশাহী আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় সহ বিভিন্ন কার্যালয় গুলি, মেয়র লিটনের বাসভবন ও নগর ভবন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের বাসা ও প্রতিষ্ঠান সরকার টাওয়ার, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রনির বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাজশাহীর সমস্ত থানা সহ পুলিশ ফাঁড়ি ও পুলিশ বক্স গুলি এছাড়া ছোটখাটো সমষ্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাসভবন ও অফিস ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:২৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪
৪৬ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী নগরী ভাঙচুর ,আগুন সহ লুটপাট – কিন্তু কারা এর পিছনে

আপডেট সময় ০৬:২৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

 

বাংলাদেশের মধ্যে সুন্দর আর শান্তি প্রিয় জেলা থেকে থাকল সেটা রাজশাহী মহানগর । রাজশাহীকে শান্তি প্রিয় বানাতে পরিশ্রম করেছ বিএনপির সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু। আর সুন্দরে পরিনত করেছে বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়ুজ্জামান লিটনের।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর শুরু হয় জনগণের ক্ষোভ। সেই রাগে তারা লীগের অফিস আর বাসায় চালিয়েছে হামলায় দিয়েছে আগুন। এই রাগের হাত থেকে বাঁচতে পারে নাই পুলিশ ফাঁড়ি আর থানা। জনগণ হামলা করে চলে গেলে সুযোগের অপেক্ষায় থাকে কিছু খেটে খাওয়া মানুষ ও বিভিন্ন এলাকার টোকাই গুলি। আগুন শান্ত হলেই এড়া শুরু করে লুটপাট। একদিকে জনগণ সহ বিভিন্ন রাজনেতিক দল বিজয় মিছিলে ব্যস্ত আর খেটে খাওয়া মানুষ ও টোকাইরা লুটপাটে ব্যস্ত। এমনকি রাস্তার লাইটের পিলার পর্যন্ত তুলে নিয়ে ভাংড়ি পট্টিতে বিক্রি করে। যেগুলি মোটেই ছাত্র আর অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা করতে পারে না। তারা সুন্দর দেশ চেয়েছে এমন লুটপাটের বাংলাদেশ নয়।

দেশের বাইরে থেকে শেখ হাসিনার পুত্র জয় ও ইন্ডিয়াতে গুজব ছড়ায় বাংলাদেশ নাকি হিন্দুদের উপর এবং মন্দিরের ওপর হামলা চলছে। যেই বাংলাদেশ সব সময় হিন্দু, মুসলিম ,বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান মিলে বসবাস করছে একে অপরকে নিজের ভাই হিসেবে পরিচয় দিয়ে চলাচল করে সে দেশে এমনটা কখনোই হওয়ার কথা না। বিশেষ করে রাজশাহীতে কখনও সম্ভব না। রাজশাহীবাসীর সব সময় একই পরিবার ভেবেই চলছে এত বছর। কোনো বাপ মা তাঁদের সন্তান দের বলে নাই হিন্দু দের হতে দূরে অথবা ঘৃণা করো। রাজশাহীর বিএনপির ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচছাসেবক দল তারা কিছু ব্যক্তি রাজশাহী চিড়িয়াখানা ও জাদুঘরের যেনো কোনো ক্ষতি না হয় তাই সেখানে জীবন বাজী রেখে দাঁড়িয়ে ছিল। পড়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ায় এলাকার কিছু মেয়ে সহ ছেলেরাও। রাস্তায় যত নোংরা হয়ছে সেগুলি পরিষ্কার করতে নেমেছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা । তাঁদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। কোন বহিরাগত যেন রাতে মসজিদ , মন্দির ও গির্জায় কোন হামলা না দেয় সেজন্য মাদ্রাসার ছাত্র , শিবির ও ছাত্রদল রাতে পাহারা দেয় ।

আর্মির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্নেল শামীম জানান, রাজশাহীতে মন্দির বা মসজিদে হামলার কোন ঘটনা ঘটে নাই এলাকাবাসী, ছাত্র ও বিভিন্ন নেতাকর্মীরা সেগুলো পাহারা আছে । যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে আমরা তাৎক্ষণিক সেখানে ব্যবস্থা নেব। প্রশাসন কবে থেকে মাঠে নামবে সে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই উক্ততম কর্মকর্তারা সেগুলি দেখছে তারা নির্দেশ দিলে রাজশাহীতে সমস্ত শান্তিপূর্ণভাবে আবার চলমান হবে।

উল্লেখ্য যে রাজশাহীতে বড় ক্ষয়ক্ষতিগুলো হয়েছে, রাজশাহী আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় সহ বিভিন্ন কার্যালয় গুলি, মেয়র লিটনের বাসভবন ও নগর ভবন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের বাসা ও প্রতিষ্ঠান সরকার টাওয়ার, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রনির বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাজশাহীর সমস্ত থানা সহ পুলিশ ফাঁড়ি ও পুলিশ বক্স গুলি এছাড়া ছোটখাটো সমষ্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাসভবন ও অফিস ।