ঢাকা ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী শাহ্ মখদুম বিমান বন্দরের ম্যানেজারকে আইনগত নোটিশ

মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী

 

 

রাজশাহী শাহ মখদুম বিমান বন্দরের ম্যানেজার দিলারা পারভীনের কর্মক্ষেত্রে অনিয়ম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আবাসন বানিজ্য, উন্নয়ন প্রকল্পে বেআইনীভাবে অর্থ আদায় কেলেঙ্কারির সংবাদ বাংলাদেশের জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশি হয়।

 

গত ২১ আগষ্ট প্রকাশিত এ সংবাদের উপর ভিত্তি করে স্বেচ্ছায় প্রনোদিত হয়ে শাহ্ মখদুম বিমান বন্দরের ম্যানেজার দিলারা পারভীনকে আইনগত নোটিশ দিয়েছেন রাজশাহী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী এডভোকেট মামুনুর রশিদ জন।

তিনি তাঁর লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করেন, আমি এডভোকেট মামুনুর রশিদ জন স্বেচ্ছায়, স্ব-প্রণোদিত হইয়া এই মর্মে আপনাকে লিগ্যাল নোটিশ মারফত জানাইতেছি যে, বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানিতে পারি যে, আপনি শাহমখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহীর ম্যানেজার হইতেছেন। ম্যানেজার এর দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়া আবাসন বাণিজ্যের মাধ্যমে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ, ঠিকাদারদের নিকট হইতে ২০-২৫ শতাংশ অর্থ আদায়, প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিনা টেন্ডারে ক্রয়-বিক্রয় করিয়াছেন।

বিভিন্ন প্রকল্পে কমিশন বাণিজ্যের মত গুরুতর অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে পাওয়া যাইতেছে। যাহা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হইতেছে। অতএব সরকারী অর্থ আত্মসাৎ এবং বে-আইনীভাবে অর্থ গ্রহণ করিবার কারণে আপনার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে না তাহা আপনাকে জানানোর জন্য অবগত করা হইল।

উল্লেখ্য এডভোকেট মামুনুর রশিদ জন এই লিগ্যাল নোটিশের অনুলিপি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এর উপদেষ্টা, সিভিল এভিয়েশন অর্থরিটি অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক রাজশাহীকে ডাক যোগে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে এডভোকেট মামুনুর রশিদ জন বলেন, গত ৫ আগষ্ট শৈরাচার সরকার পতনের পর রাষ্ট্রের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এই সংস্কার সমাজের নিচু স্তর থেকে শুরু করে সর্বোচ্য মহলে হওয়া উচিত। তাই খবরের কাগজে এ ধরনের অনিয়মের খবর দেখে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে চুপ থাকতে পারিনা। সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে কোন গোষ্ঠি সিন্ডিকেট তৈরি করে দূর্নীতি ও অধস্তনদের হয়রানি করে ন্যায্য হক থেকে বঞ্চিত করতে পারবেনা। তাকে সম্মানের সাথে নোটিশ দিয়েছি, সঠিক কোন কারণ জানাতে ব্যর্থ হলে ভবিষতে মামলা দায়ের করবো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
৩৫ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী শাহ্ মখদুম বিমান বন্দরের ম্যানেজারকে আইনগত নোটিশ

আপডেট সময় ০৮:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

 

 

রাজশাহী শাহ মখদুম বিমান বন্দরের ম্যানেজার দিলারা পারভীনের কর্মক্ষেত্রে অনিয়ম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আবাসন বানিজ্য, উন্নয়ন প্রকল্পে বেআইনীভাবে অর্থ আদায় কেলেঙ্কারির সংবাদ বাংলাদেশের জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশি হয়।

 

গত ২১ আগষ্ট প্রকাশিত এ সংবাদের উপর ভিত্তি করে স্বেচ্ছায় প্রনোদিত হয়ে শাহ্ মখদুম বিমান বন্দরের ম্যানেজার দিলারা পারভীনকে আইনগত নোটিশ দিয়েছেন রাজশাহী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী এডভোকেট মামুনুর রশিদ জন।

তিনি তাঁর লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করেন, আমি এডভোকেট মামুনুর রশিদ জন স্বেচ্ছায়, স্ব-প্রণোদিত হইয়া এই মর্মে আপনাকে লিগ্যাল নোটিশ মারফত জানাইতেছি যে, বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানিতে পারি যে, আপনি শাহমখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহীর ম্যানেজার হইতেছেন। ম্যানেজার এর দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়া আবাসন বাণিজ্যের মাধ্যমে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ, ঠিকাদারদের নিকট হইতে ২০-২৫ শতাংশ অর্থ আদায়, প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিনা টেন্ডারে ক্রয়-বিক্রয় করিয়াছেন।

বিভিন্ন প্রকল্পে কমিশন বাণিজ্যের মত গুরুতর অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে পাওয়া যাইতেছে। যাহা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হইতেছে। অতএব সরকারী অর্থ আত্মসাৎ এবং বে-আইনীভাবে অর্থ গ্রহণ করিবার কারণে আপনার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে না তাহা আপনাকে জানানোর জন্য অবগত করা হইল।

উল্লেখ্য এডভোকেট মামুনুর রশিদ জন এই লিগ্যাল নোটিশের অনুলিপি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এর উপদেষ্টা, সিভিল এভিয়েশন অর্থরিটি অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক রাজশাহীকে ডাক যোগে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে এডভোকেট মামুনুর রশিদ জন বলেন, গত ৫ আগষ্ট শৈরাচার সরকার পতনের পর রাষ্ট্রের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এই সংস্কার সমাজের নিচু স্তর থেকে শুরু করে সর্বোচ্য মহলে হওয়া উচিত। তাই খবরের কাগজে এ ধরনের অনিয়মের খবর দেখে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে চুপ থাকতে পারিনা। সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে কোন গোষ্ঠি সিন্ডিকেট তৈরি করে দূর্নীতি ও অধস্তনদের হয়রানি করে ন্যায্য হক থেকে বঞ্চিত করতে পারবেনা। তাকে সম্মানের সাথে নোটিশ দিয়েছি, সঠিক কোন কারণ জানাতে ব্যর্থ হলে ভবিষতে মামলা দায়ের করবো।