ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইবি শিক্ষকদের র‍্যালি ও সমাবেশ

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও আমজনতার উপর নির্বিচারে গুলি, হত্যা, গুম, নিপীড়ন এবং গণগ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকেরা৷

শনিবার (৩ আগস্ট) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন ও বৈষম্যবিরোধী সচেতন শিক্ষক সমাজের ব্যানারে বেলা ১১টায় মাথায় লাল কাপড় বেঁধে একত্রিত হয়ে রাজপথে নামেন ইবি শিক্ষকবৃন্দ। প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি র‍্যালি বের করে ডায়না চত্বর হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে যেয়ে সংহতি সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. একেএম মতিনুর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, অধ্যাপক ড. মোহাঃ তোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এবিএম জাকির হোসেনসহ অর্ধশত শিক্ষক।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজকে আমরা গোটা জাতি বাকরুদ্ধ। আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই আজকের পর থেকে যদি আমাদের কোন শিক্ষার্থীর বুকে গুলি চালানো হয়, কাউকে বেআইনিভাবে হয়রানি করা হয় আমরা শিক্ষক সমাজ কিন্তু বসে থাকবো না। আমরা জানি অনুমতি ছাড়া একজন পুলিশ সদস্যেরও গুলি করবার ক্ষমতা নেই। এত অল্প সময়ে এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রাণহানীর ঘটনা আমরা ইতিহাসে কখনোই খুঁজে পাবো না।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনেও ছাত্ররা এতো প্রাণ দেয় নাই আজকের ছাত্রসমাজ যতটা প্রাণ দিয়েছে। আমি গত ১০দিন ধরে ঘুমাতে পারছি না। আমার সন্তান যখন বলে আমাকে কেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামতে দিচ্ছো না, তখন আমার উত্তর দেয়ার জায়গা থাকে না। ২৬৬ টি প্রাণের বিনিময়ে কোটা মেনে নিলেও তাদের এই রক্তঝরা তাজা প্রাণের সাথে নাটক করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলকে আহ্বান জানাচ্ছি। যদি সেটি করতে আপনি ব্যর্থ হন তাহলে সকল দায়দায়িত্ব ছেড়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করুন৷

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:২০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
১৩১ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইবি শিক্ষকদের র‍্যালি ও সমাবেশ

আপডেট সময় ০১:২০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও আমজনতার উপর নির্বিচারে গুলি, হত্যা, গুম, নিপীড়ন এবং গণগ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকেরা৷

শনিবার (৩ আগস্ট) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন ও বৈষম্যবিরোধী সচেতন শিক্ষক সমাজের ব্যানারে বেলা ১১টায় মাথায় লাল কাপড় বেঁধে একত্রিত হয়ে রাজপথে নামেন ইবি শিক্ষকবৃন্দ। প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি র‍্যালি বের করে ডায়না চত্বর হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে যেয়ে সংহতি সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. একেএম মতিনুর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, অধ্যাপক ড. মোহাঃ তোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এবিএম জাকির হোসেনসহ অর্ধশত শিক্ষক।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজকে আমরা গোটা জাতি বাকরুদ্ধ। আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই আজকের পর থেকে যদি আমাদের কোন শিক্ষার্থীর বুকে গুলি চালানো হয়, কাউকে বেআইনিভাবে হয়রানি করা হয় আমরা শিক্ষক সমাজ কিন্তু বসে থাকবো না। আমরা জানি অনুমতি ছাড়া একজন পুলিশ সদস্যেরও গুলি করবার ক্ষমতা নেই। এত অল্প সময়ে এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রাণহানীর ঘটনা আমরা ইতিহাসে কখনোই খুঁজে পাবো না।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনেও ছাত্ররা এতো প্রাণ দেয় নাই আজকের ছাত্রসমাজ যতটা প্রাণ দিয়েছে। আমি গত ১০দিন ধরে ঘুমাতে পারছি না। আমার সন্তান যখন বলে আমাকে কেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামতে দিচ্ছো না, তখন আমার উত্তর দেয়ার জায়গা থাকে না। ২৬৬ টি প্রাণের বিনিময়ে কোটা মেনে নিলেও তাদের এই রক্তঝরা তাজা প্রাণের সাথে নাটক করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলকে আহ্বান জানাচ্ছি। যদি সেটি করতে আপনি ব্যর্থ হন তাহলে সকল দায়দায়িত্ব ছেড়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করুন৷