ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বজনীন পেনশন বাতিলের দাবিতে একক প্রতিবাদ নোবিপ্রবি শিক্ষকের

আবদুল্লাহ আল মামুন, নোবিপ্রবি 

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন নীতি কে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে একক প্রতিবাদ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফিশারিজ ও মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাকেব-উল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ৩ টায় প্লাকার্ড হাতে তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে দাঁড়িয়ে এ প্রতিবাদ জানান। এসময় প্ল্যাকার্ডটিতে লিখা ছিলো ‘সর্বজনীন পেনশন নীতি বৈষম্যমূলক। মানি না, বাতিল করতে হবে।’

সার্বজনীন পেনশন নীতিমালা কে ন্যাক্কারজনক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য চরম হতাশাজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন নীতিমালা একটি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। এটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিবারের জন্য লজ্জাজনক। বিসিএস ক্যাডারসহ অন্যন্য সরকারি চাকরিজীবিদের সর্বজনীন পেনশন এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের করা হয়েছে।’

এই ধরণের নীতিমালা দেশকে মেধাশূন্য করা ছাড়া অন্য কোন সুফল বয়ে আনবে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হয়। সেখানে তাদের সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত করে অন্য একটি শ্রেণি কে বেশি সুবিধা দিলে মেধাবীরা এ সেক্টরে আসবে না। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাইবে না। পরিণামে জাতি মেধাশূন্য হবে, সামনে অগ্রসর হতে পারবে না।’

তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ জানান যেন তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য অযৌক্তিক এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে এবং পূর্বের পেনশন নীতিমালা বহাল রাখা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এ পেনশন নীতিমালা প্রত্যহারের দাবি জানানো হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:১৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
১৭৬ বার পড়া হয়েছে

সর্বজনীন পেনশন বাতিলের দাবিতে একক প্রতিবাদ নোবিপ্রবি শিক্ষকের

আপডেট সময় ১১:১৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন নীতি কে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে একক প্রতিবাদ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফিশারিজ ও মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাকেব-উল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ৩ টায় প্লাকার্ড হাতে তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে দাঁড়িয়ে এ প্রতিবাদ জানান। এসময় প্ল্যাকার্ডটিতে লিখা ছিলো ‘সর্বজনীন পেনশন নীতি বৈষম্যমূলক। মানি না, বাতিল করতে হবে।’

সার্বজনীন পেনশন নীতিমালা কে ন্যাক্কারজনক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য চরম হতাশাজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন নীতিমালা একটি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। এটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিবারের জন্য লজ্জাজনক। বিসিএস ক্যাডারসহ অন্যন্য সরকারি চাকরিজীবিদের সর্বজনীন পেনশন এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের করা হয়েছে।’

এই ধরণের নীতিমালা দেশকে মেধাশূন্য করা ছাড়া অন্য কোন সুফল বয়ে আনবে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হয়। সেখানে তাদের সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত করে অন্য একটি শ্রেণি কে বেশি সুবিধা দিলে মেধাবীরা এ সেক্টরে আসবে না। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাইবে না। পরিণামে জাতি মেধাশূন্য হবে, সামনে অগ্রসর হতে পারবে না।’

তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ জানান যেন তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য অযৌক্তিক এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে এবং পূর্বের পেনশন নীতিমালা বহাল রাখা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এ পেনশন নীতিমালা প্রত্যহারের দাবি জানানো হয়।