সাড়ে ১৫ বছরে জমানো জঞ্জাল রাতারাতি শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনা সহজ নয়
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘সাড়ে ১৫ বছরে জমানো জঞ্জাল রাতারাতি শৃঙ্খলায় আনা সম্ভব নয়। সেজন্য তাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) সময় দিতে হবে। তাদের এজন্য বেগও পেতে হচ্ছে। তারা চেষ্টা করছেন কিন্তু জনগণের প্রত্যাশা তো অনেক বেশি। আমরাও হয়ত একটু বেশি প্রত্যাশা রাখি। তবে সার্বিকভাবে সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়ার পক্ষে আমরা।
তিনি বলেন, ‘ডালে ডালে যদি প্যাঁচা বসে থাকে তাহলে ময়না পাখি বসার জায়গা কোথায়? সেই প্যাঁচা সরানোর সুযোগ তো দিতে হবে। পতিত আওয়ামী লীগের দোসর, ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী দলকানা কর্মকর্তাদের সরানো না গেলে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সুফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে জনগণ।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চাওয়া-পাওয়া ও প্রত্যাশার ডুলি খুলে বসেছে। অনেকে রাতারাতি অনেক কিছুরই হিসাব মেলাতে চাইছেন।
তবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দুই মাস পূর্তিতে জামায়াত আমির প্রতিক্রিয়া জানান সাবধানী ও কৌশলী হয়ে। তাতে সরকারকে যেমন সমর্থন করেছেন তেমনি জনগণের প্রত্যাশা ও চাপ বৃদ্ধির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সরকারকে।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘মানুষ শতভাগ পারফেক্ট নয়। আমিও না, আপনিও না। মানুষ মাত্রই ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। এটা পার্সোনালি থাকে, কালেক্টিভলি থাকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের সক্ষমতা ও আন্তরিকতার জায়গা থেকে শতভাগ চেষ্টা করছেন বলেই আমরা আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছরের জমানো জঞ্জাল তো, এগুলো শৃঙ্খলায় আনতে তাদের সময় দিতে হবে। তাদেরও বেগ পেতে হচ্ছে। তারা তো তাদের মতো করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমরাও হয়ত একটু বেশি প্রত্যাশা রাখি। কিন্তু জনগণের সব প্রত্যাশা একটা নির্বাচিত সরকারও পূরণ করতে পারে না। সেটা ফেয়ার গর্ভমেন্ট হলেও। তবে আনফেয়ার হলে তো কথাই নেই।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এদিক থেকে আমরা তাদের জন্য বলেছি যৌক্তিক সময়ের বিষয়ে। কী কাজ করতে হবে তা তো বুঝে উঠবে, যাকে দিয়ে কাজ করাবেন তাকে তো সেটা বুঝে ওঠার সময় দিতে হবে। সেই সময়টা হয়ত তার নিচ্ছেন। কিন্তু সেটা দেরি হয়ে যাক তা আমরা চাই না। আমরা চাই তারা ফুল সুইংয়ে তাদের কাজটা করুক।’
সরকারের সফলতা ব্যর্থতার সার্বিক মূল্যায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সফলতা বা ব্যর্থতার বিষয়টি আসলে মোটা দাগে বলা যায় না। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থতা বলার সময় এখনো আসেনি।’